ঈদুল ফিতর ও ঈদোজ্জাহার নামায ইমামে-জামানার উপস্থিতিতে ওয়াজেব এবং বর্তমানে ইমামের অনুপস্থিতিতে (গায়বতে) সুন্নত। ঈদায়নের নামায ও জুমার নামাযের ন্যায় জামাতে পড়া উচিত, তবে জামাত না পাইলে ঈদায়নের নামায একাকীও পড়া যায়।

ঈদের দিন কি কি মোস্তাহাব

(১) ঈদুল ফিতর অর্থাৎ রোযার ঈদে নামাযের পূর্বে খোর্মা দ্বারা ও ঈদুল আযহার দিন নামাযের পর কোরবানীর মাংস দ্বারা ইফতার করা।

(২) গোসল করা (খোলা আকাশের নিচে না হইলে ভাল হয়) ও তদপূর্বে নিন্মোক্ত দেওয়া পড়িতে হয়

بِسْمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحْمٰنِ ٱلرَّحِيمِ

اَللّٰهُم إِيمَاناً بِكَ وَتَصْدِيقاً بِكِتَابِكَ وَاتّبَاعَ سُنّةِ نَبِيّكَ مُحَمّدٍ صَلَّى اللّهُ عَلَيْهِ وَآلِهِ

আল্লাহোম্মা ঈমানান বেকা ওয়া তাসদিকান বে কেতাবেকা ওয়া এত্তবাআ সোন্নাতে নাৰিয়েকা মোহাম্মাদেন সাল্লাল্লাহো আলাইহে ওয়া আলেহি।

এবং গোসল শেষে এই দোয়া পড়িতে হয় -

بِسْمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحْمٰنِ ٱلرَّحِيمِ

اَللّٰهُم اجْعَلْهُ كَفَّارَةً لِذُنُوبِي وَطَهّرْ دِينِي. اللّهُمّ أَذْهِبْ عَنّي الدّنَس

আল্লাহুমাজ আলহো কাফফারাতান লে জুনুবি ওয়া তাহেরে দ্বীনি, আল্লাহুম্মা আজহেব আন্নিদ দানাস।

(৩) পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কাপড় পড়া।

(৪) সুগন্ধি ব্যবহার করা।

(৫) ঈদের নামাযের পর হযরত ইমাম হোসায়ন (আঃ)- এর জেয়ারত ও দুই রাকাত নামাযে জেয়ারত পড়া।

(৬) মোমিনদের সহিত আলিঙ্গন ও মোসাফেহা করা। নামাযের সময় ও সূৰ্য্যেদয় হইতে দুপুর পর্যন্ত।

নামাযের নিয়ম

প্রথম রাকাতে - সুরা ফাতেহা ১ বার তারপর সুরা আ-লা (৮৭ নং সুরা) ৫ বার কুনুত, রুকু ও সিজদা।

দ্বিতীয় রাকাতে - সুরা ফাতেহা ১ বার তারপর সুরা শামস (৯১ নং সুরা) ৪ বার কুনুত, রুকু, সিজদা তাশাহুদ ও সালাম।

আযান ও আকামতের পরিবর্তে তিনবার ‘আসসালাত' বলা হয় তারপর "নিয়ত করিতে হয় “দুই রাকাত নামাযে ঈদুল ফিতর/ঈদুল আযহা পড়িতেছি সুন্নাত কোরবাতান ইলাল্লাহ ”আল্লাহু আকবার, তারপর সূরা ফাতিহার পর সূরা আ-লা (৮৭ নং সুরা)

بِسْمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحْمٰنِ ٱلرَّحِيمِ

﴿١﴾ سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَ ﴿٢﴾ الَّذِي خَلَقَ فَسَوَّىٰ ﴿٣﴾ وَالَّذِي قَدَّرَ فَهَدَىٰ ﴿٤﴾ وَالَّذِي أَخْرَجَ الْمَرْعَ ﴿٥﴾ فَجَعَلَهُ غُثَاءً أَحْوَىٰ ﴿٦﴾ سَنُقْرِئُكَ فَلَا تَنْسَىٰ ﴿٧﴾ إِلَّا مَا شَاءَ اللَّهُ ۚ إِنَّهُ يَعْلَمُ الْجَهْرَ وَمَا يَخْفَىٰ ﴿٨﴾ وَنُيَسِّرُكَ لِلْيُسْرَىٰ ﴿٩﴾ فَذَكِّرْ إِنْ نَفَعَتِ الذِّكْرَىٰ ﴿١٠﴾ سَيَذَّكَّرُ مَنْ يَخْشَ ﴿١١﴾ وَيَتَجَنَّبُهَا الْأَشْقَى ﴿١٢﴾ الَّذِي يَصْلَى النَّارَ الْكُبْرَىٰ ﴿١٣﴾ ثُمَّ لَا يَمُوتُ فِيهَا وَلَا يَحْيَىٰ ﴿١٤﴾ قَدْ أَفْلَحَ مَنْ تَزَكَّ ﴿١٥﴾ وَذَكَرَ اسْمَ رَبِّهِ فَصَلَّىٰ ﴿١٦﴾ بَلْ تُؤْثِرُونَ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا ﴿١٧﴾ وَالْآخِرَةُ خَيْرٌ وَأَبْقَ ﴿١٨﴾ إِنَّ هَٰذَا لَفِي الصُّحُفِ الْأُولَىٰ ﴿١٩﴾ صُحُفِ إِبْرَاهِيمَ وَمُوسَىٰ

সাব্বে হেসমা রাব্বেকাল আ'লাল্লাজি খালাকা ফাসাউওয়া, ওয়াল-লাজিকাদ্দারা ফাহাদা, ওয়াল-লাজি আখরাজাল মার’আ। ফাজা আলাহু গোসাআন আহওয়া সানোক রেয়োকা ফালা তানসা। ইল্লামাশাআ লাহো, ইন্নাহু ইয়ালামোল যাহরা ওমা ইয়াখ ফা। ওয়া নোইয়াস সেরোকা লেল ইয়ুসরা। ফাজাক্কের ইন নাফা আতেজ জেকরা। সাইয়াজ জাকারো মাই ইয়াখশা। ওয়া ইয়্যাতা জান্নাবোহাল আশকাল - লাজি ইয়াস লান নারাল কোবরা। সোম্মা লা ইয়ামুতো ফিহা ওয়ালা ইয়াহ ইয়া। কাদ আফলাহা মান তাজাক্কা। ওয়া জাকারাসমা রাব্বেহি ফাসাল্লা। বাল তু সেরুনা হায়াতাদ দুনিয়া। ওয়াল আখেরাতো খায়রোওঁ ওয়া আবকা। ইন্না হাজা লাফিছ ছোহোফেল উলা। ছোহোফে ইবরাহীমা ওয়া মূসা।

তারপর তাকবির বলিয়া হস্তদ্বয় উঠাইয়া নিম্নোক্ত দোয়ায়ে কুনুত পড়িতে হয়।

بِسْمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحْمٰنِ ٱلرَّحِيمِ

اَللّٰهُمَّ اَهْلَ الْكِبْرِيَاۤءِ وَ الْعَظَمَةِ وَ اَهْلَ الْجُوْدِ وَ الْجَبَرُوْتِ وَ اَهْلَ الْعَفْوِ وَ الرَّحْمَةِ وَ اَهْلَ التَّقْوٰى وَ الْمَغْفِرَةِ اَسْاَلُكَ بِحَقِّ هٰذَا الْيَوْمِ الَّذِيْ جَعَلْتَهُ لِلْمُسْلِمِيْنَ عِيْدًا وَ لِمُحَمَّدٍ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَ اٰلِهِ ذُخْرًا وَ شَرَفًا وَ مَزِيْدًا اَنْ تُصَلِّيَ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَ اٰلِ مُحَمَّدٍ وَ اَنْ تُدْخِلَنِيْ فِيْ كُلِّ خَيْرٍ اَدْخَلْتَ فِيْهِ مُحَمَّدًا وَ اٰلَ مُحَمَّدٍ وَ اَنْ تُخْرِجَنِيْ مِنْ كُلِّ سُوْۤءٍ اَخْرَجْتَ مِنْهُ مُحَمَّدًا وَ اٰلَ مُحَمَّدٍ صَلَوَاتُكَ عَلَيْهِ وَ عَلَيْهِمْ اَجْمَعِيْنَ اَللّٰهُمَّ اِنِّيْۤ اَسْاَلُكَ خَيْرَ مَا سَاَلَكَ مِنْهُ عِبَادُكَ الصَّالِحُوْنَ وَ اَعُوْذُ بِكَ فِيْهِ مِمَّا اسْتَعَاذَ مِنْهُ عِبَادُكَ الصَّالِحُوْنَ وَ اَعُوْذُ بِكَ مِمَّا اسْتَعَاذَ مِنْهُ عِبَادُكَ الْمُخْلِصُوْنَ

আল্লাহোম্মা আহলিল কিবরিয়ায়ে ওয়াল আজামাতে ওয়া আহলাল জুদে ওয়াল জাবারুতে ওয়া আহলাল আফওয়ি ওয়ার রাহমাতি ওয়া আহলাত তাকওয়া ওয়াল মাগফিরাতি আস আলোকা বিহাক্কি হাজাল ইউমেল লাজি জাআলতাহু লিল মোসলিমিনা ঈদান ওয়ালি মুহাম্মদিন সাল্লাল্লাহো আলাইহি ওয়া আলিহি জোখরাওঁ ওয়া কারামাতাওঁ শারাফাওঁ ওয়া মাজিদান আনতু সাল্লি-য় আলা মোহাম্মাদিওঁ ওয়া আলি মোহাম্মাদিও ওয়া আন তোদখেলানি ফি কোলেখায়রিন আদ খালতা ফিহে মোহাম্মাদেওঁ ওয়া আলা মোহাম্মাদেওঁ ওয়া আন্ তোখরে জানি মিন কোল্লে-সুয়েন আখরাজতা মিনহো মোহাম্মাদেওঁ ওয়া আলা মোহাম্মাদেন সালাওয়াতুকা আলাইহে ওয়া আলাইহিম আজমায়িনা, আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলোকা খায়রা মা সা আলাকা বিহি এবাদোকাস সালিহুন। ওয়া আউজোবিকা মেম্মাস তা-আজা মিনহু এবাদোকাল মোখলিসুন।

তারপর তাকবির বলিয়া উপরোক্ত কুনুতই পড়িতে হইবে এবং প্রত্যেক কুনুতের পর তাকবির বলিতে হইবে। এই ভাবে পাঁচবার কুনুত ও পাঁচবার তাকবির বলিবার পর রুকু ও সুজুদ আদায় করিয়া দ্বিতীয় রাকাতের জন্য। “বেহাওলি-হিওয়া কুওয়াতেহি আকুমো ওয়া আকওদ বলিয়া সোজা দাঁড়াইয়া সূরা ফাতিহা পড়িয়া নিম্নোক্ত সূরায়ে ওয়াস্ সামসে পড়িতে হইব।

بِسْمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحْمٰنِ ٱلرَّحِيمِ

﴿١﴾ وَالشَّمْسِ وَضُحَاهَا ﴿٢﴾ وَالْقَمَرِ إِذَا تَلَاهَا ﴿٣﴾ وَالنَّهَارِ إِذَا جَلَّاهَا ﴿٤﴾ وَاللَّيْلِ إِذَا يَغْشَاهَا ﴿٥﴾ وَالسَّمَاءِ وَمَا بَنَاهَا ﴿٦﴾ وَالْأَرْضِ وَمَا طَحَاهَا ﴿٧﴾ وَنَفْسٍ وَمَا سَوَّاهَا ﴿٨﴾ فَأَلْهَمَهَا فُجُورَهَا وَتَقْوَاهَا ﴿٩﴾ قَدْ أَفْلَحَ مَنْ زَكَّاهَا ﴿١٠﴾ وَقَدْ خَابَ مَنْ دَسَّاهَا ﴿١١﴾ كَذَّبَتْ ثَمُودُ بِطَغْوَاهَا ﴿١٢﴾ إِذِ انْبَعَثَ أَشْقَاهَا ﴿١٣﴾ فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ نَاقَةَ اللَّهِ وَسُقْيَاهَا ﴿١٤﴾ فَكَذَّبُوهُ فَعَقَرُوهَا فَدَمْدَمَ عَلَيْهِمْ رَبُّهُمْ بِذَنْبِهِمْ فَسَوَّاهَا ﴿١٥﴾ وَلَا يَخَافُ عُقْبَاهَا

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

ওয়াশ-শামসি ওয়াজ জোহাহা ওয়াল কামারে ইজা তালাহা-ওয়ান্নাহরিজা জাল-হাওয়াল লায়লি এজা য়্যাখশাহা, ওয়াস সামায়ে ওমা বানাহা, ওয়াল আরজ্বি ওমা তাহাহা ওয়া নাফছেওঁ ওমা সাউওয়াহা ফা আলহামাহা ফজুরাহা ওয়া তাওয়াহা কাদ আফলাহা মান। জাকাহা, ওয়াকাদ খাবা মান দাসসাহা, কাজ জাবাত সামুদো বিঘওয়াহা, এজিম বা আসা আশকাহা, ফাকালা লাহোম রাসূলোল হিনাকাতাল-হি ওয়া সোকইয়াহা, ফাকাজ জাবুহো ফাআকারুহা, ফাদাম দামা আলাইহিম রাব্বোহোম বিজাম বিহিমি ফাসাও ওয়াহা, ওয়ালা য়্যাখাফো অহা।

তারপর পূর্বের ন্যায় চারবার উপরোক্ত কুনুত এবং তাকবির বলিয়া রুকু ও সুজুদ আদায় করিযা তাশাহোদ ও সালাম পড়িয়া নামায শেষ করিতে হয়। ঈদুল আযহার নামায ও এইভাবেই পড়িতে হয় এবং উভয় নামাযের পর দুই খোতবা পড়িতে হয়। নামায একা পড়িলে খোতবা পড়িতে হইবে না।