এই নামায দুই রাকাত এবং ওয়াজেবও বটে। যখন চন্দ্র বা সূৰ্য্য গ্রহণ, ভূমিকম্প, ভয়াবহ তুফান বা কোনও অস্বাভাবিক প্রাকৃতিক দুর্ঘটনা হইলে বা ঘটিলে দুই রাকাত নামায পড়া ওয়াজেব।
নামাযের সময়
গ্রহণ বা তুফান আরম্ভ হইবার পর হইতে শেষ হইবার সময় পর্যন্ত আদায়ের নিয়ত করিয়া পড়িতে হয় এবং সময়ের মধ্যে পড়িতে না পারিলে কাজার নিয়ত করিয়া পড়িতে হয়। গ্রহণের নামায সময় মত পড়িতে না পারিলে উহা দুই শর্তে কাজা পড়া ওয়াজেব হয়।
(১) যদি সম্পূর্ণ গ্রহণ হয় ও সময় মতে পড়িতে না পারে বা জানিতে না পারে ও পরে জানিতে পারে
(২) যদি অর্ধেক বা তার বেশী গ্রহণ হয় কিন্তু কম হইলে কাজা পড়িতে হইবে না। ভূমিকম্পের নামায সময় মত পড়া সম্ভব নয় বিধায় পরে আদায়ের নিয়তে পড়িতে হয় এবং কাজার নিয়তে নয়।
নিয়ত
“দুই রাকাত নামাযে আয়াত পড়িতেছি চন্দ্র, সূর্য গ্রহণ, তুফান বা ভুমিকম্পের জন্য আদা/কাজা ওয়াজেব কুরবাতান ইলাল্লাহ আল্লাহু আকবার।
নিয়ম
নিয়তের পর সূরায়ে হামদ্ ও অন্য যে কোন একটি সূরা পড়িয়া তাকবির বলিয়া রুকু করিয়া আবার দাড়াইয়া তাকবির বলিয়া পূর্বের ন্যায় সূরায়ে হামদ ও অন্য কোনও এক সূরা পড়িয়া তাকবির বলিয়া কুনুত পড়িয়া তাকবির বলিয়া রুকু করিতে হয়, আবার দাড়াইয়া তাকবির বলিয়া সূরাদি পড়িতে হয় এবং এই ভাবে পাঁচ রুকু ও দুই কুনুতের পর দুইবার জেকরে সজুদের সহিত সেজদা আদায় করিয়া আবার দাড়াইয়া প্রথম রাকাতের ন্যায় দ্বিতীয় রাকাত আরম্ভ করিয়া সূরায়ে হামদ ও অন্য সূরা পড়িয়া তকবির বলিয়া কুনুত পড়িয়া। রুকু করিতে হয় এবং আবার দাঁড়াইয়া তাকবির, সূরায়ে হামদ ও অন্য একটি সুরা পড়িয়া প্রথম রাকাতের ন্যায় আদায় করিতে হয় এইভাবে প্রথম রাকাতে ৫ রুকু ও দুই কুনুত ও দ্বিতীয় রাকাতে ৫ রুকু ৩ কুনুত হইবে অর্থাৎ প্রত্যেক দুই রুকুর পর এক কুনুত পড়িতে হয় এবং দুই রাকাত শেষ হইলে তাশহোদে ও সালাম পড়িয়া নামায শেষ করিতে হয়।