বেহেস্তের সঙ্গী
নাসরীন সুলতানা
যখন তাদের সঙ্গীরা তাদের কাছে তখনই তাদেরকে কুমারী পাবে
فجعلناهن ابكارا (সূরা ওয়াকীয়া-৩৬)
আর সঙ্গীদেরকে অন্যকেও স্পর্শ করেনি।
لم يطمثهن انس قبلهم ولا جان (সূরা রাহমান-৫৬)
এই সঙ্গী সাথীরা নিজের সুচরিত্রকে রক্ষা করেছে।
حور مقصورت في الخيام(সূরা রাহমান-৭২)
হুরগুলো তাবুর ভিতর তাদের জন্য অপেক্ষারত। এত সুন্দর যে তারা লুলু মারজানের মত।
كانهن الياقوت و المرجان (সূরা রাহমান-৫৮)
যদি বহিৃক সুন্দর্যকে বাদ দেই সত্যিকার অর্থে বেহেস্তিদের সঙ্গী ও সাথী বেহেস্তবাসীরা হতে পারবে। তাদের উর্ধ্বতা পরিপূর্ণতার কারণে। কেননা তাদের মধ্যে কোন রকম পথভ্রষ্টতা ও ভুল ভ্রান্তি নেই তারা পাক পবিত্র।
لهم فيها ازواج مطهرة (সূরা নেসা-৫৭)
হুরদের সংখ্যা অসংখ্য অতপর হাদিসে বর্ণিত আছে যে, কেয়ামত দিন, তাদের শক্তি একশ জনের মত হয়ে যাবে। বেহেস্তে মহিলা সম্বন্ধে বলা হয়েছে, হাদিসে আমরা এবং পড়ি।
ما تلذذ الناس في الدنيا والاخرة بلذة
(ওসায়েলুশ শিয়া ১৪ খন্ড)
‘উত্তম নেয়ামত দুনিয়া ও আখেরাতের জন্য উত্তম সঙ্গী পাওয়া সেভাবে আত্মাধিক কামনা হল।’ আল্লাহর রেজওয়ান ও নূরকে পাওয়া এবং আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সম্মুখে সম্মুখীন হওয়া।
কোথায় এই নেয়ামতগুলো আর কোথায় জাহান্নামের আগুন?
কোরআন শরীফে কেয়ামত ও বেহেস্তের বিষয়ে অনেক কিছু বলা হয়েছে ও শত শত আয়াত রয়েছে। যেহেতু মানুষের অনন্ত জীবন হল সেখানে।
তার ওপর বিশ্বাস অস্থায়ী জীবনকে সুন্দর করে দেয়। কেননা বেহেস্ত পাওয়ার আশা এবং জাহান্নামের ভয় মানুষকে সঠিকভাবে সংশোধন করে।
আরো কিছু আয়াত এখানে আমরা বেহেস্তের বিষয়ে উল্লেখ করতে চাই।
বেহেস্ত আসনগুলো সুন্দরভাবে সজ্জিত রয়েছে।
فيها سرر مرفوعة (সূরা গাশিয়া-১৩)
এবং যেগুলোকে স্বর্ণ ও রৌপ কারুকার্য দ্বারা সজ্জিত করা হয়েছে।
واكواب موضوعة(সূরা গাশিয়া-১৪)
তার চারপাশে সুন্দর ডিজাইনের বালিশগুলোকে সাজানো হয়েছে হেলান দেয়ার জন্য।
و زرابي مبثوثة(সূরা গাশিয়া-১৬)
যেখানে সুন্দর সুন্দর কার্পেট দ্বারা সজ্জিত করা হয়েছে।
و نمارق مصفوفة (সূরা গাশিয়া-১৫)
ফল খাওয়ার জন্য গাছ থেকে পেরে খেতে হবে না, ইচ্ছে করলে ফল তাদের অধীনে হবে।
وذللت قطوفها تذليلا (সুরা ইনসান ১৪)
কোরআন শরীফে দুনিয়ার নদীগুলো, পাহাড়-পর্বত, খনিজ সম্পদগুলোকে খুবই নগণ্য বলা হল। কিন্তু বেহেস্তকে “মুলকুল ক্বাবির” অর্থাৎ বড় দুনিয়া বলা হয়েছে
واذا رأيت ثم رأيت نعيما و ملكا كبيرا (সুরা ইনসান ২০)
নবী (সাঃ), যখন আপনি বেহেশতের দিকে তাকাবেন অনেক নেয়ামত ও অসীম আসন, বড়রাজ্যকে দেখবেন।
আর একটি বিষয় যেটা কোরআন শরীফের অনেক আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে, সেটা হল আহলে বেহেস্ত একে অপরের সাথে দেখা সাক্ষাত করবে।
علي سرر موضونة متكئين عليها متقابلين (সূরা ওয়াক্বেয়া-১৫-১৬)