এটা স্পষ্ট যে, পৃথিবীর ব্যাপক ঘটনাবলী কোরআনের ঐশী আয়াতের মধ্যে নিহিত রয়েছে এবং কেবলমাত্র যারা তার গভীরে পৌঁছতে পারবে তারাই এ সত্যকে উপলব্ধি করতে পারবে। তারা মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ও তাঁর পবিত্র আহলে বাইত (আ.) গণই হচ্ছেন কোরআনের প্রকৃত কর্ণধার ও মোফাস্সের।
আল্লাহর শেষ প্রতিনিধি হচ্ছে পৃথিবীর এক মহান সত্য, যার প্রতি
কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে ইঙ্গিত করা হয়েছে এবং ওই সকল আয়াতের ব্যাখ্যায়ও বহু রেওয়ায়াত বর্ণিত হয়েছে; নিম্নে তার কিছু তুলে ধরা হল:
যেমন: সূরা আম্বিয়ার ১০৫ নং আয়াতে বলা হচ্ছে:
﴿وَلَقَدْكَتَبْنَافِيالزَّبُورِمِنبَعْدِالذِّكْرِأَنَّالْأَرْضَيَرِثُهَاعِبَادِيَالصَّالِحُونَ﴾
নিশ্চয়ই আমরা তৌরাতের পর যাবুরে উল্লেখ করেছি যে, পৃথিবীর যোগ্যতা সম্পন্ন বান্দারা আমাদের উত্তরাধিকারী হবে।
ইমাম বাকের (আ.) বলেছেন:
ইমাম মাহদী (আ.) ও তাঁর সাহায্যকারীরা হচ্ছেন সেই যোগ্য বান্দা যারা পৃথিবীর উত্তরাধিকারী হবেন (তাফসীরে কুম্মী খণ্ড- ২, পৃ.-৫২)।
সূরা কাসাসের ৫ নং আয়াতে বর্ণিত হয়েছে:
﴿وَنُرِيدُأَننَّمُنَّعَلَىالَّذِينَاسْتُضْعِفُوافِيالْأَرْضِوَنَجْعَلَهُمْأَئِمَّةًوَنَجْعَلَهُمُالْوَارِثِينَ﴾
এবং আমরা ইচ্ছে করলাম যাদেরকে পৃথিবীর বুকে (বঞ্চিত) হীনবল করা হয়েছিল তাদেরকে নেতৃত্ব দান করতে এবং উত্তরাধিকারী করতে।
ইমাম আলী (আ.) বলেছেন:
বঞ্চিত বা হীনবল বলতে রাসূল (সা.)-এর আহলে বাইতকে বোঝানো হয়েছে। অনেক প্রচেষ্টা ও কষ্টের পর আল্লাহ এই বংশের মাহদী (আ.)-কে প্রেরণ করবেন এবং তাকে উচ্চ মর্যাদা দান করবেন এবং শত্রুদেরকে কঠিন ভাবে লাঞ্চিত করবেন (গাইবাতে শেখ তুসী হাদীস ১৪৩, পৃ.-১৮৪)।
সূরা হুদের ৮৬ নং আয়াতে বর্ণিত হয়েছে:
﴿بَقِيَّةُاللّهِخَيْرٌلَّكُمْإِنكُنتُممُّؤْمِنِينَ﴾
আল্লাহর গচ্ছিত সম্পদই তোমাদের জন্য যথেষ্ট যদি তোমরা মুমিন
হয়ে থাক।
ইমাম বাকের (আ.) বলেছেন:
ইমাম মাহদী (আ.) আবির্ভূত হওয়ার পর কাবা গৃহে হেলান দিয়ে প্রথমে উক্ত আয়াতটি তেলাওয়াত করবেন। অতঃপর বলবেন:
انابقيةاللهفیارضهوخليفتهوحجتهعليکم
আমিই পৃথিবীর বুকে আল্লাহর গচ্ছিত সম্পদ, তোমাদের প্রতি তাঁর উত্তরাধিকারী এবং হুজ্জাত।
অতঃপর যারা তাঁকে সালাম করবে তারা বলবে:
السلامعليکيابقيةاللهفیارضه
আপনার প্রতি সালাম, হে পৃথিবীর বুকে আল্লাহ্’র গচিছত সম্পদ (কামালুদ্ দ্বীন খণ্ড- ১, বাব ৩২, হাদীস ১৬, পৃষ্ঠা ৬০৩)।
সূরা হাদীদের ১৭ নং আয়াতে বর্ণিত হয়েছে:
﴿اعْلَمُواأَنَّاللَّهَيُحْيِيالْأَرْضَبَعْدَمَوْتِهَاقَدْبَيَّنَّالَكُمُالْآيَاتِلَعَلَّكُمْتَعْقِلُونَ﴾
জেনে রাখ আল্লাহই ধরিত্রীকে তার মৃত্যুর পর পুনর্জীবিত করেন। আমি নির্দশনগুলি তোমাদের জন্য বিশদভাবে ব্যক্ত করেছি যাতে তোমরা বুঝতে পার।
উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম জাফর সাদিক (আ.) বলেছেন:
আল্লাহ তাআলা ইমাম মাহদী (আ.)-এর নিষ্ঠার মাধ্যমে পৃথিবীকে পূনর্জীবিত করবেন। কেননা অত্যাচারিদের অত্যাচারের মাধ্যমে পৃথিবী মৃত্যুবরণ করেছিল।
Source: http://www.hussainidalan.com