আমরা অনেকেই ইমাম হুসাইন (আঃ) এর উদ্দেশকে বুঝেনি, আমরা মনে করলাম, শুধু সালাম দোয়া করলে ইমাম (আঃ) আমাদের পক্ষে যাবেন। তেমনি অনেকেই ইমাম মাহ্দী (আঃ) এর আসার অপেক্ষায় বসে আছি। কিন্তু ইমাম মাসুমীন (আ) দের উদ্দেশ্য কি সেটার প্রতি কোন লক্ষ্যও অগ্রসর নেই।
আমরা বুঝতে পারচ্ছি না ইমাম (আঃ) এর আগমন আমাদের জন্য লাভজনক বা ক্ষতিকর হবে। ইমাম (আঃফাঃ) আগমনের পর নিজের অনুসারীদের মাঝে টাকা পয়সা বিতরণ করবেন না। বরং তাদের কর্মের হিসাব দেখবেন কারা আমাদের আদেশ অনুযায়ী কাজ কর্ম ও আমল করেছে। আমাদের আদেশের উপর লাবাইক (হ্যাঁ) বলেছে, আর আমাদের নিষেধ থেকে নিজেকে রক্ষা করেছে।
যারা ইমাম মাসুমীনদের উদ্দেশ্যকে সফল করে তারা প্রায়ই চেষ্টা করে তাদের থেকে যেন কোন ধরনের ভুল-ভ্রান্তি না হয়। তারা সর্বদা চেষ্টা করে আয়েম্মা (আঃ) এর আদেশের ওপর আমল করতে।
তারা আল্লাহর আদেশকে অতিক্রম করতো না, আল্লাহর আদেশের মুখাপেক্ষী অন্য কারো আদেশকে আনতো না। তারা জানে রাসূলে পাক (সাঃ) ও আয়েম্মা মাসূমীনদের (আঃ) কে আল্লাহ তাআলা নির্বাচিত ও নির্ধারিত করেছেন। উনারা সবসময় আল্লাহর ইবাদত ও তাঁর জিকিরে মগ্ন থাকতেন। ওনারা জানতেন আল্লাহর নুর ব্যতিত এমন আর কোন নূর নেই যে পথ দেখাতে পারে। বরং ইমাম হুসাইন (আঃ) এরশাদ করলেন
নিকৃষ্ট সেই ব্যক্তি যে, বান্দাকে খুশি করার জন্য আল্লাহকে নিরাস করে দেয়।
আশুরার দিন – ফাটাফাটি যূদ্বের সময় যখন জালিমরা নামাজের জন্য যুদ্ধে বন্ধ করতে রাজি ছিল না তেমন অবস্থা ইমাম ও ইমামের সঙ্গী-সাথীরা নামাজকে আদায় করলেন। আজাদারী মানুষকে আল্লাহর নৈকট্য করে দেয়।
ইমাম হুসাইন (আঃ) এর আযাদারী মানুষকে দ্বীনকে জানা ও বুঝার জ্ঞান দেয়। আযাদারী মানুষকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নৈকট্য করে দেয়। আর গোনাহ থেকে দূরে রাখে। দ্বীন ও মানবতার বন্ধনকে আরো দৃঢ় করে দেয়। আর অন্তরকে তাওহীদের দিকে মজবুদ করে দেয়। অন্তরে কোরআন ও আহলে বাইতের ভালোবাসা বৃদ্ধি করে।
আজাদারী ইমাম হুসাইন আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টতা
মনে রাখা দরকার, ইমাম হুসাইন (আঃ)-এর আজাদারী আল্লাহর নিকট তখন সন্তুষ্টতার ও সওয়াবের কারণ হবে যখন আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের বন্দেগি সীমার মধ্যে থাকবে। সেটার মধ্যে কোন ছলনা এবং কোন নাজায়েজ ও অন্যায় কাজ না হয়। গুনাহ দ্বারা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ইবাদাত করা যায় না। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে সত্যিকারের আজাদারী যা তাঁর ও তাঁর নেক বান্দাদের সন্তুষ্টির কারণ হয়ে দাড়ায় করার তাওফিক দান করুন। ইমাম হুসাইন (আঃ) এরশাদ করেন, যারা দ্বীন থেকে বিচ্ছিন্নতা গ্রহণ করে,নিজের নিজের ধ্বংসের কারণ হয়ে দাড়ায় এবং আরো বলেন, আমি নেক, সালেহ এবং পরহেজগার ও পবিত্র লোককে ভালোবাসি। দরুদ ও সালাম বর্ষিত হউক। মুহাম্মদ (সা) ও আলে মুহাম্মাদ (আ) এর ওপর।