নবীগণের প্রশংসা
মহিমান্বিত আল্লাহ, যার সান্নিধ্যে কোন দুঃসাহসী পৌছুতে পারে না এবং কোন প্রকার বুদ্ধির তীক্ষতাও তাকে দেখতে পায় না। তিনি এমন প্রথম যার কোন শেষ সীমা নেই যে সীমারেখার মধ্যে তাকে আবদ্ধ করা যায়। তার কোন শেষ নেই যেখানে তিনি সমাপ্ত হতে পারেন।
আল্লাহ নবিগণকে জমা করে রেখেছিলেন জমা করার সর্বোৎকৃষ্ট স্থানে এবং তাদেরকে থাকতে দিয়েছিলেন থাকার জন্য সর্বোৎকৃষ্ট স্থানে। তিনি তাদেরকে সম্মানিত পূর্ব-পুরুষগণের উত্তরাধিকারিত্বে গর্ভাশয়সমূহ শুদ্ধ ও সংশোধণার্থে প্রেরণ করেছিলেন। যখনই তাদের মধ্যে একজন পূর্বসূরীর মৃত্যু হতো মুহাম্মদের (সঃ) আগমনের পূর্ব পর্যন্ত মহিমান্বিত আল্লাহ এ ব্যবস্থা চালু রেখেছিলেন। আল্লাহ তাকে বিশিষ্টতম মূলোৎস ও গাছ লাগানোর সর্বোৎকৃষ্ট স্থান থেকে বের করে আনলেন। যে সাজোরাহ থেকে তিনি অন্যান্য নবি বের করে এনেছিলেন এবং যে সাজারাহ থেকে তিনি তার আমানতদার মনোনীত করেছিলেন, সেই সাজারাহ থেকেই তিনি মুহাম্মদকে এনেছিলেন। মুহাম্মদের অধঃস্তন (ইতারাহ) অংশধরগণ সর্বোত্তম বংশধর, তার জ্ঞাতিগণ সর্বোত্তম এবং তার সাজারাহ সর্বোত্তম সাজোরাহ। এ সাজারাহ সুনামের মধ্যে জন্মেছিল এবং বৈশিষ্ট্যের মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছিল। এর শাখাসমূহ সুউচ্চ এবং ফল নাগালের বাইরে (অর্থাৎ কেউ সমকক্ষ হওয়ার যোগ্য নয়)। তিনি তাদের সকলের ইমাম (নেতা) যারা (আল্লাহর) ভয় অনুশীলন করে এবং তাদের জন্য আলোকবর্তিকা যারা হেদায়েত গ্রহণ করে। তিনি একটা প্রদীপ যার শিখা জুলছে, একটা উল্কা যার আলো উজ্জ্বল এবং একটা চকমকি পাথর যার ঝলক উজ্জ্বল। তাঁর আচরণ ন্যায়নিষ্ঠ, তার সুন্নাত পথ নির্দেশক, তাঁর বক্তব্য সিদ্ধান্তমূলক এবং তাঁর সিদ্ধান্ত ন্যায়ের প্রতীক। পূর্ববতী নবিগণ থেকে দীর্ঘদিনের বিরতির পর আল্লাহ তাকে প্রেরণ করেছেন যখন মানুষ আমলের ভুল-ভ্ৰান্তি ও অজ্ঞতায় নিপতিত হয়েছিল। তোমাদের ওপর রহমত স্বরূপ আল্লাহ তাকে প্রেরণ করেছেন। আল্লাহর রহমত তোমাদের ওপর বর্ষিত হোক। সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী অনুযায়ী আমল কর, কারণ পথ আলোকিত যা তোমাদেরকে শান্তি ও নিরাপত্তার ঘরের দিকে আহবান করছে। তোমরা এমন স্থানে আছে যেখানে আল্লাহর রহমত অনুসন্ধানের সময় ও সুযোগ তোমাদের আছে। এখন বই (তোমাদের কর্মকান্ড লিপিবদ্ধ করার) খোলা আছে, কলম (ফেরেশতার) ব্যস্ত (আমল রেকর্ড করতে) আছে, শরীর সুস্থ আছে, জিহ্বায় জড়তা নেই, তওবা কবুল হয় এবং আমল মঞ্জরী প্রাপ্ত হয়।









