যখন আমিরুল মোমেনিনকে জানানো হলো যে, খারিজিরা সকলেই নিহত হয়েছে তিনি বল্লেনঃ আল্লাহর কসম, তারা এখনো সম্পূর্ণ শেষ হয় নি।
তারা এখনো পুরুষের ঔরসে ও নারীর গর্ভাশয়ে রয়েছে। যখনই তাদের মধ্য থেকে কোন নেতা গজিয়ে উঠবে তখনই তাকে কেটে ফেলা হবে যে পর্যন্ত না তাদের শেষ জন চোর ও ডাকাত হয়ে যায়”।
১। আমিরুল মোমেনিনের এ ভবিষ্যদ্বাণী অক্ষরে অক্ষরে সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। খারিজিদের প্রত্যেক নেতাকে হত্যা করা হয়েছে-তাদের কয়েক জন্মের
নাম নিম্মে উল্লেখ করা হলোঃ
১। নাফি ইবনে আজরাক। আল-হানাফি— সে আজারিকাহ নামক বিশাল খারিজি বাহিনী গড়ে তুলেছিল। মুসলিম ইবনে উবায়েস-এর সাথে যুদ্ধে সালামাহ আল-বাহিলির হাতে সে নিহত হয়েছিল।
২। নাজদাহ ইবনে আমির-খারিজিদের নাজাদাত আল আযিরিয়াহ সম্প্রদায় তার নামানুসারেই গঠিত। আবু ফুদায়েক আল-খারিজি তাকে হত্যা করেছিল।
৩। আবদুল্লাহ ইবনে ইবাদ আত-তামিমী—তাঁর নামানুসারেই খারিজিদের ইবাদিয়াহ সম্প্রদায়ের নামকরণ করা হয়। আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আতিয়ার সাথে যুদ্ধে সে নিহত হয়।
৪। আবু বায়হাস হায়সাম ইবনে জাবির আদ-দুবাই— তার নামানুসারে বায়হাসিয়াহ সম্প্রদায়ের নামকরণ করা হয়। মদিনার গভর্নর উসমান ইবনে হায়ান আল-মুররী তার হাত ও পা কেটে ফেলে এবং পরে তাকে হত্যা করে।
৫। উরওয়াহ ইবনে উদায়হ আত-তামিমী—মুয়াবিয়ার রাজত্বকালে জিয়াদ ইবনে আবিহ তাকে হত্যা করে ।
৬। কাতারি ইবনে ফুজাহ আল-মাজিনি আত-তামিমী—সুকীয়ান ইবনে আবরাদ আল-কালাবীর সৈন্যদের সাথে তাবারিস্থানের যুদ্ধে সে মাওরাহ ইবনে হুরীর আদ-দারিামীর হাতে নিহত হয়েছে।
৭। আবু বিলাল মিরদাস ইবনে উদায়হ আত-তামিমী—আব্বাস ইবনে আখদার আল-মাজিনির সাথে যুদ্ধে নিহত হয়েছিল।
৮। শাওয়াব আল-খারিজ আল-ইয়াশকুরী—সাঈদ ইবনে আমার আল-হারাশীর সাথে যুদ্ধে নিহত হয়েছে।
৯। হাওছারাহ ইবনে ওয়াদা আল-আসাদি—বনি তাঈ-এর একজন লোকের হাতে নিহত হয়েছিল।
১০। মুস্তাওয়ারিদ ইবনে উল্লাফাহ। আত-তায়মী—মুয়াবিয়ার রাজত্বকালে সাকিল ইবনে কায়েস আর রিয়াহির হাতে নিহত হয়েছিল।
১১। শাবিব ইবনে ইয়াজিদ। আশ-শায়বানী-নদীতে ডুবিয়ে হত্যা করা হয়েছিল।
১২। ইমরান ইবনে হারিছ আর-রাসিবী— দুলাবের যুদ্ধে নিহত হয়েছিল।
(১৩-১৪) জাহহাব আত-তাঈ এবং কুরায়েব ইবনে মুররাহ আল-অজদী—বনি তাহিয়ার সাথে যুদ্ধে নিহত হয়েছিল।
১৫। জুবায়র ইবনে আলী আস-সালিতী আত-তামিমী— আত্তাব ইবনে ওয়ারকা আর-রিয়াহীর সাথে যুদ্ধে নিহত হয়েছিল।
১৬। আলী ইবনে বশির ইবনে মাহুজ আল-ইয়ারাবুঈ— হাজাজ ইবনে ইউসুফ আছ-ছাকাফীর হাতে নিহত হয়েছিল।
১৭। উবায়দুল্লাহ ইবনে বশির— দুলাবের যুদ্ধে মুহাল্লাব ইবনে আবি সুফরার হাতে নিহত হয়েছিল।
১৮। আবুল ওয়াজী আর রাসিবী—বনি ইয়াশাকুরের কবরস্থানে একজন লোক দেয়াল চাপা দিয়ে হত্যা করেছিল।
১৯। আবদু রাব্বিহ আস সগির—মুহাল্লাবের সাথে যুদ্ধে নিহত হয়েছিল।
২০। ওয়ালিদ ইবনে তারিফ আশ-শায়বানী-ইয়াজিদ ইবনে মাজইয়াদ আশ-শায়বানীর সাথে যুদ্ধে নিহত হয়েছিল।
(২১-২৪) আবদুল্লাহ ইবনে ইয়াহিয়াহ আল-কিনদী, মুখতার ইবনে আউফ আল-অজদী, আব্রাহাহ ইবনে সাব্বাহ এবং বালয ইবনে উকবাহ আল-আসাদী— এরা সকলেই মারওয়ান ইবনে মুহাম্মদের (শেষ উমাইয়া খলিফা) রাজত্বকালে আবদাল মালিক ইবনে আতিয়াহ আস-সাদি কর্তৃক নিহত হয়েছিল ।