আমিরুল মোমেনিনের হাতে বায়াত গ্রহণের পর রাসুলের কতিপয় সাহাবি এতে আমিরুল মোমেনিন বললেনঃ হে ভ্ৰাতৃবৃন্দ, তোমরা যা জানো সে বিষয়ে আমি অজ্ঞ নই। কিন্তু যারা উসমানকে হত্যা করেছে তারা
ক্ষমতার উচ্চ শিখরে বসে আছে; তাদের শাস্তি দেয়ার শক্তি আমি কোথায় পাব। তাদের সৈন্য-সামন্ত ও সুযোগ-সুবিধা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি। তারা এখন এমন অবস্থানে আছে যে, তোমাদের ক্রীতদাস ও আরব বেদুইনগণ তাদের সাথে যোগ দিয়েছে। তারা এখন তোমাদের মাঝেই রয়েছে এবং যেমন খুঢশ তোমাদের ক্ষতিসাধন করে চলছে। তোমরা যে লক্ষ্য স্থির করেছে তা অর্জনের উপায় কি তোমরা আমাকে বলে দিতে পার? এ দাবি নিশ্চয়ই জাহেলিয়া যুগের এবং এ সমস্ত লোকের পিছনে অনেকের সমর্থন রয়েছে। আমরা এ ব্যাপারটি এখন হাতে নিলে মানুষ এ বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করবে। তোমরা যা ভাবছো একদল তা-ই ভাববে। কিন্তু অন্যদল তোমাদের সঙ্গে একমত হবে না। আবার অন্য এক দল হবে যারা এদিকও ভাববে না, ওদিকও ভাববে না। জনগণের শান্ত হওয়া ও তাদের হৃদয়ে স্থিরতা ফিরে আসা পর্যন্ত ধৈর্য ধারণ করা। তাতে অধিকার আদায় করা মানুষের জন্য সহজ হবে। আমার প্রতি আস্থা রাখা এবং দেখ আমি তোমাদের জন্য কী করতে পারি। এমন কিছু এখন করো না যা তোমাদের ক্ষমতাকে ভেঙ্গে চুরমার করে দেবে, তোমাদের শক্তিকে দুর্বল করে দেবে এবং যা তোমাদের মনোবল ও সম্মান ক্ষুন্ন করবে। এ ব্যাপারটা আমি যতটুকু সম্ভব নিয়ন্ত্রণ করবো এবং প্রয়োজনে শেষ চিকিৎসা হিসাবে উত্তপ্ত লোহার ছেকা দ্বারা (যুদ্ধের মাধ্যমে)। ফয়সালা করবো।









