ইসলাম সম্পর্কে
প্রশধ্বংসিত ও মহিমান্বিত আল্লাহর সান্নিধ্য সন্ধানকারীরা যে প্রকৃষ্ট উপায়ে তাঁর সান্নিধ্য অনুসন্ধান করে তা হলো-আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি প্রগাঢ় ইমান ও আল্লাহর পথে জিহাদ কারণ তা ইসলামের সর্বোচ্চ চূড়া; কালিমাতুল ইখলাছে বিশ্বাস কারণ তা ইসলামের ফেন্ত্রাত; সালাত-কায়েম কারণ তা সমাজ; জাকাত প্রদান কারণ তা বাধ্যতামূলক দায়িত্ব; রমজান মাসে সিয়াম সাধনা কারণ তা শাস্তির বিরুদ্ধে ঢাল; হজ্ব ও উমরাহ পালন কারণ তা দারিদ্রতা মুছে ফেলে ও পাপ ধুয়ে ফেলে; আত্মীয়-স্বজনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ কারণ তা সম্পদ ও জীবনের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করে; গোপন-দান কারণ তা ক্রটি বিচূতি ঢেকে দেয়; প্রকাশ্য-দান কারণ তা সায়াত (শঙ্কাকুল মৃত্যু) থেকে রক্ষা করে এবং সুযোগ-সুবিধা সকলের মধ্যে বন্টন কারণ তা আমর্যাদাকর অবস্থা থেকে রক্ষা করে।
পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহ সম্পর্কে
আল্লাহর জেকেরে এগিয়ে যাও কারণ এটাই সর্বোত্তম জেকের এবং ধার্মিকদের প্রতি তিনি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তার আশা পোষণ করো কারণ তাঁর প্রতিশ্রুতি সর্বাপেক্ষা সত্য। রাসুলের (সঃ) পথ অনুসরণ করো কারণ তা সকল আচরণবিধি অপেক্ষা সঠিক। কুরআন শিক্ষা করো কারণ এটা সুন্দরতম ধর্মোপদেশ এবং কুরআনকে বিশদভাবে বুঝতে চেষ্টা করো কারণ এটা সর্বোত্তমভাবে হৃদয়কে প্রস্ফুটিত করে। সুন্দরভাবে কুরআন তেলাওয়াত করো কারণ এটা অতি সুন্দর বর্ণনা। নিশ্চয়ই, একজন বিজ্ঞ লোক তার জ্ঞানানুসারে আমল না করলে সে মস্তিষ্কহীন অজ্ঞের সামিল হয়, সে তার অজ্ঞতা থেকে মুক্তির পথ খুঁজে পায় না। জ্ঞানীগণের ওপর আল্লাহর ওজর বেশি; তাদের দায়িত্বও বেশি এবং আল্লাহর সম্মুখে তারাই বেশি দোষারোপযোগ্য।