উলিল আমর – কে নির্বাচিত করবেন —
কিছুদিন যাবত উলিল আমর নিয়ে কিছু ভ্রান্তির সৃস্টি করার চেস্টা করা হয়েছে ।
যদিও এই বিষয় বার ইমাময়া শীয়া আকীদা একেবারে স্বচ্ছ এবং আমাদের তরফ থেকে পরিষ্কার ভাবে এটা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের লক্ষ লক্ষ উলিল আমর আছেন এবং সেটা তারা স্বীকার করেন । যেহেতু দীর্ঘদিন বিভিন্ন বাতিল দলের আকীদা বিশ্বাস লালন পালন করে এসেছে ফলে সেই বাতিল আকীদা থেকে এখনও বের হতে পারেনি ।
অথবা এমন হতে পারে যে , ইচ্ছাকৃত ভাবে জনগনকে ধোঁকা দিতে চায় – কারন ঠিক যে ভাবে আহলে সুন্নাত হযরত আবু বকর , হযরত ওমর, হযরত উসমান , হযরত মুয়াবীয়া , হযরত ঈয়াযীদ , আব্দুল মালিককে উলিল আমর আর আমিরুল মুমিনিন এর পদক দেয় । উলিল আমরের অপব্যাখ্যা করে ঠিক সেই ভাবে ঠিক সেই একই যুক্তি দিয়ে এঁরা উলিল আমরের পদ পদবী নবীজীর (সাঃ) পবিত্র আহলে বাইত (আঃ) গনের বাহির থেকে এর জন্য বরাদ্ধ করে ।
পার্টি ইসলামের প্রবক্তা জামাতে ইসলামি তাদের তো অনেক উলিল আমর কারন যখন এদের internal election হয় নেতা নির্বাচনের জন্য তখন এই আয়াতটা পড়া হয়- যাতে নির্বাচিত নেতার আনুগত্যের গুরুত্ব বঝান যায় ।
এই মুখবন্ধ সামনে রেখে আমি নীচে উলিল আমরের ব্যাখ্যা করার চেস্টা করব ইনশাআল্লাহ ।
আলোচ্য আয়াতটা –
ا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الْأَمْرِ مِنْكُمْ ۖ فَإِنْ تَنَازَعْتُمْ فِي شَيْءٍ فَرُدُّوهُ إِلَى اللَّهِ وَالرَّسُولِ إِنْ كُنْتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ ۚ ذَٰلِكَ خَيْرٌ وَأَحْسَنُ تَأْوِيلًا
“ হে ঈমানদারগন ! অনুগত্য কর আল্লাহর , অনুগত্য কর রাসূলের এবং উলিল আমর তোমাদের মধ্য থেকে । তারপর যদি তোমরা কোন বিষয়ে বিবাদে প্রবৃত্ত হয়ে পড় , তাহলে তা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি প্রত্যর্পণ কর , যদি তোমরা আল্লাহ ও কেয়ামত দিবসের উপর বিশ্বাসী হয়ে থাক । আর এটাই কল্যাণকর এবং পরিণতির দিক দিয়ে উত্তম” ।
এই আয়াতে আল্লাহ পাক তিন শ্রেণীর সত্বাকে অনুগত্য করার হুকুম দিচ্ছেন –
১) – আল্লাহের ,
২) – রাসুলের ,
৩) – উলিল আমারের ।
এই তিন সত্বাকে অনুগত্য করার কথা বলা হচ্ছে ।
প্রথম বার আল্লহের জন্য একবার অনুগত্য শব্দ ব্যাবহার করা হয়েছে ।
দ্বিতীয়বার রাসুল ও উলিল আমরের জন্য ।
অর্থাৎ অনুগত্য করার ক্ষেত্রে রাসুল আর উলিল আমরের মধ্যে কোন তারতম্য নেই ।
দ্বিতীয়ত এই আয়াতে যে উলিল আমরের অনুগত্য করতে বলা হয়েছে তাদেরকে আমরা অর্থাৎ জনগন নির্বাচিত করতে পারে না ।
কারন প্রথমে আল্লহের অনুগত্য করতে বলা হয়েছে । আমরা কি আল্লাহকে নির্বাচিত করতে পারি ? পারি না । কারণ যদি আমরা নিজেদের আল্লাহকে নির্বাচিত করি তবে আমরা মুশরিক হয়ে যাব ।
আর আমরা রাসুল (সাঃ) কেও নির্বাচিত করতে পারি না ।
অনুরূপ ভাবে আমরা উলিল আমরগনকেও নির্বচিত করতে পারি না ।
কারন রাসুল (সাঃ) ও উলিল আমর (আঃ) গনের অনুগত্যের মাত্রা একই ।
আর আমরা জানি না যে উলিল আমর মনোনয়ন এবং নির্বচনের criteria কি কি ! ঠিক যেমনি ভাবে আমরা জানি না যে রাসুল (সাঃ) এর মনোনয়ন ও নির্বাচনের criteria গুলো কি কি।
উলিল আমর কি আছে ?
উত্তর খুবই সহজ । আল্লাহ এমন কিছুর নির্দেশ দিতে পারেন না যা নেই । অর্থাৎ আল্লাহ রাসুল (সাঃ) এর আনুগত্যের নির্দেশ দিতে পারেন না রাসুল (সাঃ) কে এই পৃথিবীে প্রেরন না করে ।
অনুরূপ ভাবে উলিল আমর নেই অথচ আল্লাহ উলিল আমরদের আনুগত্য করতে নির্দেশ করেছেন ! এটা আসলেই অবাস্তব ও অযৌক্তিক ব্যাপার হবে ।
তবে আল্লাহ পাপীদের অনুসরন ও আনুগত্য করতে নিষেধ করেছেন ।
فَاصْبِرْ لِحُكْمِ رَبِّكَ وَلَا تُطِعْ مِنْهُمْ آثِمًا أَوْ كَفُورًا
আর তাদের মধ্যে থেকে পাপী ও অকৃতজ্ঞদের অনুগত্য কর না ।
সুতারং একথা সবার ক্ষেত্রে প্রয্যেজ্য যে পাপীদের অনুসরন করা যাবে না ।
অপর দিকে আল্লাহ কোন পাপীকে নিরঙ্কুশ অনুগত্যের আদেশ দিতে পারেন না । কারন সেই নেতা যদি কোন ভুল কাজ বা পাপ করেন তবে সেটাকেও অনুগত্য করা ফরজ হবে ।
কিন্তু সেটা অসম্ভব । কারন আল্লাহ পাক তিনি কোন পাপ বা ভুল কাজের অানুগত্য করার নির্দেশ দিতে পারেন না ।
وَإِذَا فَعَلُوا فَاحِشَةً قَالُوا وَجَدْنَا عَلَيْهَا آبَاءَنَا وَاللَّهُ أَمَرَنَا بِهَا ۗ قُلْ إِنَّ اللَّهَ لَا يَأْمُرُ بِالْفَحْشَاءِ ۖ أَتَقُولُونَ عَلَى اللَّهِ مَا لَا تَعْلَمُونَ
“তারা যখন কোন মন্দ কাজ করে , তখন বলে আমরা বাপ-দাদাকে এমনি করতে দেখেছি এবং আল্লাহও আমাদেরকে এ নির্দেশই দিয়েছেন । আল্লাহ মন্দকাজের আদেশ দেন না । এমন কথা আল্লাহর প্রতি কেন আরোপ কর , যা তোমরা জান না”। (৭:২৮)
এখানে বাপ দাদার জায়গাতে যদি নেতাদের কথা বলা হয় তবে ব্যাপারটা একেবারে পরিষ্কার হয়ে যায় !
আহলে সুন্নাত উলিল আমরকে নির্বাচন করে আর যুক্তি দেয় যে আলোচ্য আয়াতে বলা হয়েছে وَأُولِي الْأَمْرِ مِنْكُمْ –ওয়া উলিল আমর মিনকুম- এবং উলিল আমর তোমাদের মধ্য থেকে ।
আহলে সুন্নার মতে “তোমাদের মধ্য থেকে” বলা হয়েছে উলিল আমরের ক্ষেত্রে । সুতারং আমরা উলিল আমর কে আমরা নিযুক্ত বা নির্বাচন করতে পারব ।
কিন্ত এটা একটা কষ্ট কল্পনা ছাড়া কিছুই নয়, কারন তোমাদের / তাদের মধ্য থেকে এই ব্যাক্য দ্বারা একথা কখনই বোঝায় না যে , উলিল আমরকে নিজেরাই মনোনীত এবং নির্বাচিত করা যায় !
তা সত্বেও যদি কেউ জেদ ধরে তবে তার জন্য বলছি যে , নবী রাসুলদের ক্ষেত্রে তোমাদের / তাদের মধ্য থেকে শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে ।
يَا مَعْشَرَ الْجِنِّ وَالْإِنْسِ أَلَمْ يَأْتِكُمْ رُسُلٌ مِنْكُمْ –
“হে জ্বিন ও মানব সম্প্রদায় , তোমাদের কাছে কি তোমাদের মধ্য থেকে পয়গম্বরগণ আগমন করেনি ”? ( ৭:১৩০)
ঠিক যেভাবে উলিল আমর মিনকুম বলা হয়েছে ঠিক তেমনি ভাবে রুসুলুন মিনকুম বলা হয়েছে ।
يَا بَنِي آدَمَ إِمَّا يَأْتِيَنَّكُمْ رُسُلٌ مِنْكُمْ يَقُصُّونَ عَلَيْكُمْ آيَاتِي فَمَنِ اتَّقَى وَأَصْلَحَ فَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ –
“ হে বনী-আদম , যদি তোমাদের কাছে তোমাদেরই মধ্য থেকে পয়গম্বর আগমন করে তোমাদেরকে আমার আয়াত সমূহ শুনায় , তবে যে ব্যক্তি সংযত হয় এবং সৎকাজ অবলম্বন করে , তাদের কোন আশঙ্কা নেই এবং তারা দুঃখিত হবে না”।( ৮:৩৫)
উপরে একই ভাবে রুসুলুন মিনকুম- রসুলগন তোমাদের মধ্য থেকে বলা হয়েছে ।
…… وَقَالَ لَهُمْ خَزَنَتُهَا أَلَمْ يَأْتِكُمْ رُسُلٌ مِنْكُمْ يَتْلُونَ عَلَيْكُمْ…
(৩৯:৭১) এখানেও রুসুলুন মিনকুম- রসুলগন তোমাদের মধ্য থেকে বলা হয়েছে ।
অনুরূপ ভাবে “তাদের মধ্য থেকে রাসূল” কোরআনে বেশ কয়েক জায়গাতে ব্যবহার করা হয়েছে । প্রবন্ধ ছোট রাখার জন্য সে গুলির উল্লেখ করলাম না ।
এইখানে অানুগত্য উলিল আমরের অনুগত্য কর বলতে আহলে বাইতের ইমাম (আঃ) গনকে বলা হয়েছে ।
যার শুরু ইমাম আলী (আঃ) থেকে ।
রাসূলে পাক (সাঃ) সহীহ হাদিস থেকে ইমাম আলী (আঃ) এর অানুগত্যকে নিজের অানুগত্যের সাথে যুক্ত করেছেন ।
قال رسول الله صلى الله عليه و سلم : من أطاعني فقد أطاع الله و من عصاني فقد عصي الله و من أطاع عليا فقد أطاعني و من عصي عليا فقد عصاني
هذا حديث صحيح الإسناد و لم يخرجاه
تعليق الذهبي قي التلخيص : صحيح
“ যে আমাকে অানুগত্য করল যে আল্লহের অানুগত্য করল , যে আমাকে অনুসরণ করল যে আল্লাহকে অনুসরণ করল, আর যে আলী কে অানুগত্য করল সে আমাকে অানুগত্য করল, যে আলীকে অনুসরণ করল সে আমাকে অনুসরণ করল ”।
মুস্তাদরক আল হাকিম – সহীহ
যাহাবি- সহিহ ।
উপরোক্ত সুন্নি হাদিস এবং এর আগে আলচনায় বিভিন্ন ভাই সুন্নি হাদিস উল্লেখ করেছেন যে যখন জাবির বিন আব্দুল্লাহ এই উলিল আমর কারা জিজ্ঞেস করেন । রাসূল (সাঃ) আহলে বাইতের ইমাম গনের নাম সহ বলে দেন ।
শীয়া হাদিসে ও পরিষ্কার ভাবে বর্ননা করা হয়েছে যে , এই আয়াতে উলিল আমর কাদের বুঝিয়েছে ।
ইবনে বাবাওয়াহ জাবির বিন আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণনা করেছেন একটা লম্বা হাদিস যাতে রাসূল পাক (সাঃ) কে উলিল আমর সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করা হলে রাসূল (সাঃ) এক এক করে ১২ জন ইমামের নাম বলে দেন ।
ইবনে জুফি থেকে বর্ণনা করেছেন ইমাম জাফর সাদেক (আঃ) কে এই আয়াতের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলাম “অনুগত্য কর আল্লাহর, অনুগত্য কর রাসূলের এবং উলিল আমর তোমাদের মধ্য থেকে ”।
তিনি বললেন “ইমামগন”।
সূত্র – তাফসির আইয়াশি ।
অনুরূপ অন্যান্য ভাবে ইমামগন থেকে উলিল আমরগণ আহলে বাইতের ইমাম (আঃ) গনকেই বুঝান হয়েছে ।
পবিত্র কোরআনে বর্নিত উলুল আমর শব্দের ব্যাখায় কোন শীয়া মুফাসসির গায়ের মাসুমেক নির্দেশ করেননি ।
আয়া, মাকারম শিরাজী, তাফসিরে নমুনা ।
অনুরূপ ভাবে সূরা নিসার আয়াত নং ৮৩ এ বলা হচ্ছে যে-
“আর যখন তাদের কছে পৌঁছে কোন সংবাদ শান্তি-সংক্রান্ত কিংবা ভয়ের , তখন তারা সেগুলোকে রটিয়ে দেয় । আর যদি সেগুলো পৌঁছে দিত রাসূল ও উলিল আমর পর্যন্ত তাদের মধ্য থেকে , তখন অনুসন্ধান করে দেখা যেত সেসব বিষয় , যা তাতে রয়েছে অনুসন্ধান করার মত । বস্তুতঃ আল্লাহর অনুগ্রহ ও করুণা যদি তোমাদের উপর বিদ্যমান না থাকত তবে তোমাদের অল্প কতিপয় লোক ব্যতীত সবাই শয়তানের অনুসরণ করতে শুরু করত !
-এই আয়াতে ও একই ভাবে ৫৯ নং আয়াতে যে উলিল আমরের কথা বলা হচ্ছে তাদেরকেই বোঝান হচ্ছে ।
কারন কোন গুজব যা ইসলামের নিরাপত্তাকে হুমকির সামনে দাঁড় করায় তার আসল রহস্য এবং তার থেকে সত্য মিথ্যা আলাদা করার জ্ঞান নবী (সাঃ) এর আছে এবং ইমাম (আঃ) গনের কাছে আছে ।
যদি এখানে কোন যুদ্ধদলের নেতার কথা বলা হত তবে সেক্ষেত্রে রাসুলের কাছে সেগুলো পৌঁছে দেওয়ার প্রশ্ন উঠতনা । কারণ নবীজী (সাঃ) এর যুগে ও যুদ্ধের একজন নেতা করে পাঠান হত । আর তারা হত সাময়িক ভাবে যুদ্ধ সংক্রান্ত ব্যাপারে নেতা এবং তাদের ও দ্বায়িত্ব ছিল নিরাপত্তাজনিত সংক্রান্ত কোন ঘটনা বা রটনা রাসুলের কাছে পৌঁছে দেওয়া । পরবর্তীতে উলুল আমরের কাছে পৌঁছে দিতে হবে ।
অনেক সালাফি তাফসির কারক গন তো উলিল আমরকে সমাজের গণ্য মান্য ব্যাক্তি বা বুদ্ধিজীবীগন বলে ব্যাক্ত করেছেন । যেটা যে কত অবাস্তব তা আর বলার আপেক্ষা রাখে না ।
সূরা নিসার ৮৩ নং আয়াতে দ্বিতীয় বদরের কাহিনী ও তার পরবর্তী কিছু ঘটনার সাথে যুক্ত আছে । যেখন মদীনার মধ্যে কিছু লোক গুজব ছড়াত যাতে মুসলিমদের মধ্যে বিভেদ, বা নৈ্রাজ্য সৃস্টি করা যায় । সেগুলির থেকে উদ্ধারের জন্য রাসূল বা উলিল আমরের নির্দেশ দরকার ।
আল কাফি এ ইমাম জাফর সাদিক (আঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছ তাতে সূরা নিসার ৫৯ আয়াতকে এই আয়াতের (৮৩) সাথে মিলিয়ে পড়েছেন এবং সমস্ত ব্যপার উলিল আমরদের দিকে রজু করতে হবে বলে বলেছেন ।
তাফসীরে আইয়াশে ইমাম জাফর সাদিক (আঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে , আল্লহের আয়াত ‘আর যদি সেগুলো পৌঁছে দিত রাসূল ও উলিল আমর পর্যন্ত তাদের মধ্য থেকে’ তিনি ( জাফর সাদিক আঃ) বললেন ‘তারা ইমামগন’।
এই ধরনের হাদিস প্রবিত্র ইমামগনদের থেকে বর্ণিত হয়েছে যে আয়াত নং ৮৩ তে উলিল আমর আহলুল বাইতের ইমাম (আঃ) গনকে বুঝান হয়েছে ।
এবং এই আয়াতে (৮৩) তে যে বলা হয়েছে-وَلَوْلَا فَضْلُ اللَّهِ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَتُهُ لَاتَّبَعْتُمُ الشَّيْطَانَ إِلَّا قَلِيلًا
– “বস্তুতঃ আল্লাহর অনুগ্রহ (ফজল) ও করুণা (রহমত) যদি তোমাদের উপর বিদ্যমান না থাকত তবে তোমাদের অল্প কতিপয় লোক ব্যতীত সবাই শয়তানের অনুসরণ করতে শুরু করত”!
এখানে যে আল্লহের ফজল আর রহমত এর কথা বলা হয়েছে –
রহমত মানে রাসূল (সাঃ) আর ফজল মানে আহলে বাইতের ইমাম (আঃ) গন।
অর্থাৎ এঁরা না থাকলে সামান্য কিছু লোক ছাড়া সবাই শয়তানের অনুসরণ করত ।
আহলে বাইতের প্রথম ইমাম হিসাবে ইমাম আলী (আঃ) এর নাম উল্লেখ করে ৭ম ইমাম (আঃ) থেকে বর্ণনা করা হয়েছে ।
ومحمد بن الفضيل عن العبد الصالح قال: الرحمة رسول الله عليه وآله السلام و الفضل علي بن أبي طالب.
ইবনে ফুদাইল আবদে সালহ ( মুসা আল কাজিম আঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন রহমত হচ্ছে আল্লহের রাসূল আর ফজল আলী ইবনে আবি তালিব”।
সূত্র – তাফসীরে আইইয়াশি ।
অনলআইন লিঙ্কঃ http://www.hodaalquran.com/rbook.php?id=5651&mn=1
এই সূরা নিসা এর ৫৪ নং আয়তে যে ফজল এর কথা আল্লাহ বলেছেন সেটাও আহলে বাইতের ইমাম (আঃ) গনের কথা বলা হয়েছে ।
তাবারাসি তার তাফসীরে এটাকে বর্ণনা করেছেন ।
অনলাইন লিংকঃ http://www.hodaalquran.com/rbook.php?id=2687&mn=1
সুতরাং উপরোক্ত আয়াত দ্বারা আহলে বাইতের ইমাম (আঃ) গন ছাড়া অন্য কাউকে প্রমান করার চেস্টা এক বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা ছাড়া কিছু নয় ।
আশা করি , প্রচলিত বিভ্রান্তি থেকে মুক্ত হয়েছেন ।
SKL