সর্বপ্রথম শোক , মাতম পালনকারী ব্যক্তি হলেন —
হযরত মুহাম্মাাদ (সাঃ) —
নাতি ইমাম হোসেন (আঃ) এর জন্য রাসুল (সাঃ) এর শোক, মাতম এবং ক্রন্দন —

আহলে সুন্নাতের বিখ্যাত হাদিস সমূহে এসেছে –
হারিসের কন্যা উম্মুল ফাযল থেকে বর্ননা করেন যে , তিনি মহানবী (সাঃ) এর কাছে গেলেন এবং বললেন যে , হে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) ! আমি গতরাতে এক দুঃস্বপ্ন দেখেছি ।
রাসুল (সাঃ) বললেন , কি দেখেছ ?
জবাব দিলেন , খুব কঠিন এক স্বপ্ন ।
মহানবী (সাঃ) বললেন , কি হয়েছে ?
তখন বললেন , আমি দেখলাম আপনার শরীরের একটি টুকরো আপনার থেকে বিছিন্ন হয়ে আমার আঁচলে এসে পড়ল !
আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বললেন , তুমি খুব ভাল স্বপ্ন দেখেছ । আল্লাহর ইচ্ছায় ফাতেমার একটি পুত্র সন্তান জন্ম হবে এবং তোমার আঁচলে জায়গা নেবে ।
এই ঘটনার কিছুদিন পর রাসুল (সাঃ) এর বর্ননামতে ইমাম হোসেন (আঃ) এর জন্ম হল এবং তিনি (সাঃ) আমার আঁচলে স্থান দিলেন ।
একদিন মহানবী (সাঃ) এর নিকট গেলাম এবং ইমাম হোসেন (আঃ) কে তাঁর কোলে রাখলাম ।
এর কিছুক্ষন পরে নবীজী (সাঃ) এর দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরে গেল ।
হঠাৎ দেখলাম যে , নবীজী (সাঃ) এর দুই চোখ বেয়ে অঝোরে অশ্রুধারা বয়ে চলেছে । তিনি (সাঃ) শিশুর মত ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছেন ।
অবাক হয়ে আমি তাঁকে বললাম , হে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) ! আমার পিতামাতা আপনার জন্য উৎসর্গ হোক । আপনি কাঁদছেন কেন ? আপনার কি হয়েছে ?
মহানবী (সাঃ) বললেন , এইমাত্র জীবরাঈল (আঃ) আমকে খবর দিয়ে গেলেন যে , আমার উম্মত খুব শীঘ্রই আমার এই বংশধরকে হত্যা করবে ।
আমি বললাম , এই শিশুকে !
রাসুল (সাঃ) বললেন , হ্যাঁ , জীবরাঈল (আঃ) আমার জন্য সেই হত্যা স্থানের রক্তিম কিছু মাটিও এনেছেন ।
তথ্যসূত্র – মুসতাদরাকে সহীহাইন , ৩য় খন্ড , পৃ- ১৭৬ , ১৭৯ / তারিখে ইবনে আসাকির , হাদিস নং – ৬৩১, ৬৩০ / মাজমাউয যাওয়ায়েদ , ৯ম খন্ড , পৃ- ১৭৯ / মাকতালে খাওয়ারেযমী , ১ম খন্ড , পৃ- ১৫৯ , ১৬২ / তারিখে আসির , ৬ষ্ঠ খন্ড , পৃ- ২৩০ , ৮ম খন্ড , পৃ- ১৯৯ / আমালীয়ে শাজায়ী , পৃ- ১৮৮ / ফুসলুল মুহিম্মাাহ , ইবনে সাব্বাগ মালিকী, পৃ- ১৪৫ / রাওদান নাদ্বির , ১ম খন্ড , পৃ- ৮৯ / সাওয়ায়েক , পৃ- ১১৫ এবং অন্য সংস্করনে পৃ- ১৯০ / কানযুল উম্মাাল , ৬ষ্ঠ খন্ড , পৃ- ২২৩ (১ম সংস্করন) / আল খাসায়েসুল কোবরা , ২য় খন্ড , পৃ- ১২৫ / আহলে বাইত (আঃ) অনুসারীদের গ্রন্থ সমূহে , মুসিরুল আহযান , পৃ- ৮ / ইবনে তাউস , পৃ- ৬ এবং ৭ ।
বিঃদ্রঃ – মুসতাদরাকে সহীহাইনের হাদিস লেখক বলেন যে , এই হাদিসটি বুখারী এবং মুসলিমের শর্তানুসারে সহীহ হাদিস । কিন্ত কোন এক অজ্ঞাত কারনে তারা এটি বর্ননা করেন নি ।
 
পবিত্র কোরআন ও সুন্নাতের আলোকে মৃত ব্যক্তির জন্য ক্রন্দন ,
মূল লেখক – আল্লামা সাইয়্যেদ মূর্তাজা আসকারী ,
পৃষ্ঠা – ৮ থেকে সংগৃহীত ।
SKL