লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ = আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন মাবুদ নাই ,
মুহাম্মাাদুর রাসুল্লাল্লাহ = মুহাম্মাদ আল্লাহ প্রেরিত একজন রাসুল ,
আলী উন অলি উল্লাহ = আলী আল্লাহ প্রেরিত একজন অলী ।
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাাদুর রাসুল্লাল্লাহ আলী উন অলী উল্লাহ ।
বাংলা অর্থ – আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন মাবুদ নাই ,
মুহাম্মাাদ আল্লাহ কতৃক প্রেরিত একজন রাসুল ,
আলী আল্লাহ কতৃক প্রেরিত একজন অলী ।
সুপ্রিয় পাঠক ,
দয়া করে , সত্য ও নিরপেক্ষ মন নিয়ে বলুন তো , উপরে উল্লেখিত কথা বা বানীতে কোন প্রকার ভুল বা অন্যায্য কিছু আছে কি ?
উদাহরনস্বরুপ , কোন মুসলমান ভাই যদি বলেন যে , লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুসা রাসুল্লাল্লাহ ।
অর্থাৎ আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন মাবুদ নেই এবং মুসা (অাঃ) আল্লাহ প্রেরিত একজন নবী ও রাসুল ।
তাহলে এই কলেমা বা বানীটা বলা কি ভুল অথবা অন্যায় হবে কি ?
একই ভাবে কোন মুসলমান ভাই যদি বলেন যে , লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাাদুর রাসুল্লাল্লাহ ।
অর্থাৎ আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন মাবুদ নেই এবং মুহাম্মাাদ আল্লাহ প্রেরিত একজন নবী ও রাসুল ।
তাহলে এই কলেমা বা বানীটা বলা কি ভুল অথবা অন্যায় হবে কি ?
সহজ সরল সঠিক জবাব হচ্ছে যে , ভুল হওয়ার নূন্যতম কোন অবকাশ নেই । এই কলেমা বা বানী শতকরা একশত ভাগ সত্য ও সঠিক ।
তাহলে ঠিক একই ভাবে কোন মুসলমান ভাই যদি বলেন যে , আলী উন অলি উল্লাহ ।
অর্থাৎ আলী হচ্ছেন মহান আল্লাহ প্রেরিত একজন অলী ও আউলিয়া ।
পাঠক ,
বুকে হাত রেখে মাথা ঠান্ডা রেখে বলুন তো – এই কলেমা বা বানীটা বলা কি ভুল বা অন্যায্য কিছু কি ?
হযরত ইমাম আলী (আঃ) জগতের সকল অলী আউলিয়াগনের মহাওস্তাদ ও মহাসর্দার ।
হযরত ইমাম আলী (আঃ) হলেন মহান আল্লাহ কতৃক প্রেরিত , মনোনীত ও নির্বচিত সব থেকে বড় অলী ও আউলিয়া ।
হযরত ইমাম আলী (আঃ) হলেন একজন অতি উচ্চ পর্যায়ের অলী ও আউলিয়া – এই কলেমাটি বা বানীটি জগতের সকল মুসলিম , অমুসলিম নির্বিশষে মনে প্রানে বিশ্বাস করে থাকেন ।
চরম সত্য এই কলেমাটি বা বানীটি বার ইমামীয়া শীয়ারা বলে থাকেন ।
এবং হযরত ইমাম আলী (আঃ) এর সম্বন্ধে এই কলেমাটি বা বানীটি পৃথিবীর সকল মুসলমানগন মনে প্রানে বিশ্বাস করেন ।
তাহলে সবিনয় একটি জিজ্ঞাস্য যে , এই কলেমা বা বানীটি বলার কারনে বার ইমামীয়া শীয়াদেরকে কেন অযথা গালমন্দ করা হয় ?
প্রসঙ্গত একটি ঐতিহাসিক তথ্য দিচ্ছি যে , জনাব মূয়াবীয়া তার শাসন আমলে রাষ্ট্রীয় ফরমান জারী করে হযরত আলী (আঃ) এবং তাঁর পবিত্র বংশধরগনের প্রতি প্রত্যেকটি মসজিদের মেহরাব থেকে প্রতি জুমআর খুৎবাতে গালিগালাজ করার প্রথা চালু করেছিল । এবং গালিগালাজের এই ধারাটি প্রায় ৭০ বছর পর্যন্ত বলবৎ ছিল ।
পাঠক ,
কি অদ্ভুত মিল দেখুন ,
সেই একই ধারাবাহিকতায় ইমাম আলী (আঃ) এর অনুসারী বা শীয়াদের প্রতিও গালিগালাজের প্রথা এখনও অব্যাহত আছে !
সম্মাানীয় পাঠক ,
অনুগ্রহপূর্বক বলবেন কি , যিনি বা যারা বার ইমামীয়া শীয়াগনকে অযথাই গালিগালাজ করে যাচ্ছেন , ওনারা কি জনাব মূয়াবীয়া কতৃক চালুকৃত সুন্নাত বা প্রথা অনুসরন করছেন নয় কি !!
কেননা গালিগালাজের সুন্নত বা প্রথার আবিস্কারক জনাব মূয়াবীয়া বাদশাহ বাহাদুর ।
যা মূয়াবীয়ার অনুসারী বা শীয়াগন , মূয়াবীয়া কতৃক উদ্ভাবিত গালিগালাজের এই সুন্নাতটি সগর্বে এখনও পালন করে থাকেন !
SKL