মহান আল্লাহর চোখ ও হাত এবং ইমাম আলী (আঃ) প্রসংগ ——
হযরত আলী (আঃ) হচ্ছেন — ‘ আল্লাহর হাত ’ ,’ আল্লাহর চোখ ’
আল্লামা আমিনীর (রহঃ) সন্তোষজনক জবাব —
আল্লামা আমিনী (রহঃ) হচ্ছেন বার ইমামীয়া শীয়া মাযহাবের একজন বিশিষ্ট আলেম এবং তিনি হচ্ছেন অতি মুল্যবান গ্রন্থ “ আল-গাদীরের ” প্রনেতা ।
তিনি এক সফরে এক সমাবেশে অংশ গ্রহন করেন ।
সেখানে এক সুন্নী আলেম তাঁকে বলেন যে , আপনারা শীয়া সম্প্রদায়ের লোকেরা হযরত আলী (আঃ) এর ব্যাপারে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করে থাকেন ।
যেমন তাঁকে ‘আল্লাহর হাত’,’আল্লাহর চোখ’ ইত্যাদি এরকম অনেক উপাধিতে ভুষিত করে থাকেন । একজন সাহাবাকে এরুপ সম্বোধন করা অনুচিত ।
আল্লামা আমিনী তড়িৎ জবাব দিলেন , ঠিক আছে ভাই , আপাঃতত শীয়াদের কথা বাদ দিন ।
যদি উমর ইবনে খাত্তাব স্বয়ং নিজে , আলী (আঃ) কে ঐ উপাধিতে ভুষিত করে থাকেন সে ক্ষেত্রে কি বলবেন ?
সুন্নি আলেম বললেন , হযরত উমরের কথা আমাদের জন্য অবশ্যই দলীল স্বরুপ ।
আল্লামা আমিনী ঐ সমাবেশে আহলে সুন্নাতের একটি গুরুত্বপুর্ন গ্রন্থ আনতে বললেন ।
গ্রন্থটি আনা হলে তিনি ঐ বই থেকে উদ্বৃতি দিলেন ,
“ এক ব্যক্তি পবিত্র কা’বা গৃহ তাওয়াফের সময় এক নামাহরাম ( যার সাথে বিয়ে জায়েজ) মহিলার দিকে তাকালে হযরত আলী (আঃ) তাঁকে মুখমন্ডলে আঘাত করলেন । আর এভাবেই তাঁকে শাস্তি দিলেন ।
সেই ব্যক্তি অত্যন্ত রাগান্বিত হয়ে আলী (আঃ) এর বিরুদ্বে অভিযোগ করার লক্ষ্যে হযরত উমরের নিকট গিয়ে ঘটনাটি খুলে বলল ।
হযরত উমর উত্তরে বললেন , সত্যই আল্লাহর চোখ তা দেখেছে এবং আল্লাহর হাত আঘাত করেছে ।
এ কথার উদ্দেশ্য হচ্ছে যে , আলী (আঃ) এর চোখ কখনও ভুল দেখে না । কেননা তাঁর চোখ হচ্ছে আল্লাহর প্রতি অত্যন্ত পবিত্র বিশ্বাসে বিশ্বস্ত ।
তাই এমন চোখ কখনও ভুল করতে পারে না ।
আর আলী (আঃ) এর হাতও হচ্ছে ঐরুপ যে , আল্লাহকে রাজি ও খুশী করান ছাড়া তা প্রসারিত হয় না ।
প্রশ্নকারী তখন বিষয়টি বুঝতে পারল এবং চুপ হয়ে গেল ।
ব্যাখ্যা –
এরুপ উপাধি সমুহ হচ্ছে হযরত ঈসা (আঃ) ব্যাপারে যেরুপ ‘ রুহুল্লাহ ’ নামে ব্যবহার করা হত তাঁর অনুরুপ ।
আর এগুলো সম্মাান প্রদর্শনের স্বার্থে বলা হয়ে থাকে ।
এমনটি নয় যে , সত্য সত্যই আল্লাহর হাত বা চোখ আছে ।
SKL