মুতাররাফ (রাঃ) থেকে বর্ণিত –
তিনি বলেন , আমি এবং ইমরান ইবনে হুসাইন , আলী ইবনে আবু তালেব (রাঃ) এর পিছনে কোন এক সময় নামায পড়লাম ।
দেখলাম , তিনি সিজদা করার সময় , সিজদা থেকে মাথা উঠানোর সময় এবং দু রাকাত শেষে দাঁড়ানোর সময় তাকবীর বললেন ।
তিনি নামাযের সালাম ফিরালে ইমরান আমার হাত ধরে বললেন , এ ব্যাক্তি (আলী) আমাদেরকে মুহাম্মাাদ (সাঃ) এর নামাযের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ নামায পড়ালেন ।
অথবা এ কথাটি না বলে তিনি বললেন , এ ব্যাক্তি (আলী) আমাকে মুহাম্মাাদ (সাঃ) এর নামাযের কথা স্মরন করিয়ে দিলেন । অর্থাৎ তিনি নবী (সাঃ) যেভাবে নামায পড়তেন ইনিও (আলী) সেভাবেই নামায পড়ালেন ।
সূত্র – সহীহ আল বুখারী , হাদিস ন – -৭৮০, পৃ -৩৫৪ , ৩৫৫, কিতাবুল আজান অধ্যায়, আধুনিক প্রকাশনী ।
উপসংহার – মহানবী (সাঃ) এর ইন্তেকালের পরে ওঁনার রেখে যাওয়া নামাযের মধ্যেও তাহলে বিকৃতি বা পরিবর্তন করা হয়েছে !
এ ঘটনা যে মহানবী (সাঃ) এর বেলাতেই ঘটেছে তা কিন্ত নয় । পূর্ববর্তী নবী রাসুলগনের ইন্তেকালের পরেও এ জাতীয় ভয়াবহ জঘন্য ঘটনা ঘটেছিল ।
দেখে নিন , পবিত্র কোরআন এ বিষয় কি বলে –
‘ — কিন্ত তাদের উত্তরাধিকারী হয়েছিল এক খারাপ বংশধর , যারা নামাযকে নষ্ট করল এবং অনুসরন করত (তাদের নীচ) ক্ষুধাগুলোকে । তাই শীঘ্রই তারা মুখোমুখি হবে বিকৃতির — ”
সুরা – মারইয়াম / ৫৯ ।
SKL