জেনে রাখো, বসরা এমন এক স্থান যেখানে শয়তান অবতরণ করে ও ফেতনা সংঘটিত হয়। সেখানকার জনগণকে ভালো ব্যবহার দ্বারা খুশি রেখো এবং তাদের মন থেকে ভয়ের গ্রন্থি খুলে ফেলো।
আমি জানতে পেরেছি। তুমি বনি তামিমের’ প্রতি কঠোর মনোভাব পোষণ কর এবং তাদের সাথে রূঢ় ব্যবহার কর । বনি তামিম এমন গোত্র যাদের জন্য একটা তারকা অস্ত গেলে অন্য একটা উদিত হয়। তারা প্রাক ইসলামি বা ইসলামােত্তর কোন যুদ্ধে কখনো সীমাতিক্রম করে নি। আমাদের সাথে তাদের বিশেষ জ্ঞাতিত্ব ও আত্মীয়তা আছে। যদি আমরা জ্ঞাতিত্বের মর্যাদা রক্ষা করি তবে আমরা পুরস্কৃত হবো এবং জ্ঞাতিত্বকে অস্বীকার করলে পাপী হিসাবে বিবেচিত হবো। হে আবুল আব্বাস, তোমার ওপর আল্লাহর করুণা বর্ষিত হোক; জনগণ সম্বন্ধে ভালো মন্দ কোন কিছু করা বা বলা থেকে নিজেকে বিরত রেখো। কারণ আমি ও তুমি উভয়ে এ দায়িত্বের অংশীদার। তোমার সম্পর্কে আমার যে ভালো ধারণা রয়েছে তা প্রমাণ কর এবং আমার সে ধারণাকে ভুল বলে প্রমাণ করো না। এখানেই শেষ করলাম।
১। তালহা ও জুবায়র বসরা পৌছলে বনি তামিম উসমানের রক্তের বদলা নেয়ার ব্যাপারে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করে এবং ফেতনা ছড়ানোর কাজে তারা অগ্রণী ছিল। সুতরাং আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস বসরার গভর্নর হবার পর তাদের শক্রতার কারণে তাদের প্রতি রূঢ় ব্যবহার করতে লাগলেন; কারণ তিনি মনে করতেন তারা রূঢ় ব্যবহার পাবার যোগ্য। কিন্তু এ গোত্রে আমিরাল মোমেনিনের কয়েকজন অনুসারী ছিল। তারা জারিয়া ইবনে কাদামার মাধ্যমে পত্ৰ পাঠিয়ে ইবনে আব্বাসের রূঢ় আচরণের কথা আমিরুল মোমেনিনকে জানালেন। ফলে আমিরুল মোমেনিন এ পত্রে তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করার জন্য ইবনে আব্বাসকে নির্দেশ দিলেন। বনি হাশিম ও বনি তামিমের জ্ঞাতিত্বের প্রতি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন। সে জ্ঞাতিত্ব হলো ইলিয়াস ইবনে মুদারের বংশধারা। হাশিম ছিলেন মুদ্রিকাহ ইবনে ইলিয়াসের বংশধর এবং তামিম ছিল তাবিখাহ ইবনে ইলিয়াসের
বংশধর ।