আহলুল বাইত ও তাদের বিরোধীদের সম্পর্কে যে বুদ্ধিমান মনের সে তার লক্ষ্যের দিকে দৃষ্টি রাখে। সে জানে তার রাস্তার কোনটি উচু আর কোনটি নিচু। আহ্বানকারী আহবান করেছে। মেষপালক তার মেষের পালকে ডাকছে। সুতরাং আহবানকারীর ডাকে সাড়া দাও এবং রাখালকে অনুসরণ করা। বিরোধীগণ বিভ্রান্তি ও গোলযোগের সমুদ্রে প্রবেশ করেছে এবং রাসুলের (সঃ) সুন্নাহর পরিবর্তে বেদা”ত মেনে চলছে। ইমানদারগণ দমে পড়েছে এবং গোমরাহ ও মিথ্যাবাদীরা বুক ফুলিয়ে কথা বলছে। আমরা রাসুলের (সঃ) আপনজন, তার সাহাবি, তার সম্পদ-ভাণ্ডার এবং তাঁর সুন্নাহর দরজা। দরজা ছাড়া কোন ঘরে প্রবেশ করা যায় না। যে ব্যক্তি দরজা ছাড়া অন্য পথে প্রবেশ করে সে চোর বলেই অভিহিত । আহলুল বাইত কুরআনের সূক্ষ্মতা এবং তারাই আল্লাহর ধন-ভান্ডার। তারা যখন কথা বলে—সত্য কথা বলে; কিন্তু যখন তাঁরা নিচুপ থাকে তখন কেউ কথা বলতে পারে না, যে পর্যন্ত না তারা কথা বলে। অগ্রদূত (যে ব্যক্তি আরেক ব্যক্তির আগমন সূচিত করেন)। তাঁর লোকজনের কাছে সঠিক প্রতিবেদন পেশ করবে, তার মানসিক ক্ষিপ্ৰতা রেখে যাবে এবং তাঁকে পরকালের সুযোগ্য সন্তান হতে হবে, কারণ তিনি যেখান থেকে এসেছেন সেখানেই প্ৰত্যাবর্তন করবেন। যে ব্যক্তি হৃদয় দিয়ে দেখে ও চোখ দিয়ে আমল করে, তার আমল শুরু হয় এটা মূল্যায়নের মধ্যে যে, সে আমলটি তার পক্ষে যাবে নাকি তার বিরুদ্ধে যাবে। যদি তা তার অনুকূলে যায়। তবে সে তা করবে। আর যদি তার প্রতিকূলে যায়। তবে সে তা থেকে দূরে থাকবে। কারণ কোন কিছু না জেনে আমল করা মানেই হলো পথ ছাড়া চলা। কাজেই পথ ছেড়ে চললে লক্ষ্য থেকে দূরে সরে যায়— লক্ষ্য অর্জিত হয় না এবং যে ব্যক্তি জ্ঞানানুসারে আমল করে সে ওই ব্যক্তির মতো যে সুস্পষ্ট পথে চলে। কাজেই যে দেখতে পারে তার দেখা উচিত; সে সামনে এগিয়ে যাবে নাকি ফিরে আসবে। জেনে রাখো, যেকোন জিনিসের জাহের যেমন বাতেনও তেমন। যে জিনিসের জাহের ভালো তার বাতেনও ভালো এবং যে জিনিসের জাহের মন্দ তার বাতেনও মন্দ। রাসুল (সঃ) বলেছেন, “আল্লাহ কোন লোককে ভালোবাসলেও তাঁর আমলকে ঘূণা করতে পারেন, আবার কোন আমলকে ভালোবাসলেও লোকটিকে ঘূণা করতে পারেন।” জেনে রাখো, প্রতিটি আমল অঙ্কুর উদগমের মতো। অন্ধুর যেমন পানি ছাড়া উদগম হতে পারে না; পানি আবার নানা রকম হয়ে থাকে। সুতরাং পানি যেখানে ভালো হয় চারাও সেখানে ভালো হয় এবং এর ফলও মিষ্ট হয়; যেখানে পানি খারাপ হয়। সেখানে চারাও খারাপ হবে এবং এর ফলও তিক্ত হবে।