ভবিষ্যৎ ঘটনা প্রবাহ সম্পর্কে তিনি আকাঙখাকে হেদায়েতের পথের দিকে পরিচালিত করবেন যখন মানুষ হেদায়েতকে আকাঙ্খার দিকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। তিনি মানুষের উদ্দেশ্যকে কুরআনমুখি করবেন যখন মানুষ কুরআনকে উদ্দেশ্য সাধনের হাতিয়ার করবে। মঙ্গলের এ আদেশদাতার” পূর্বেই পারিপার্শ্বিক অবস্থা সঙ্গীন হয়ে পড়বে। যুদ্ধ তার দাঁত বের করে সুমিষ্ট দুধ পূর্ণ বঁট অথচ তিক্ত অগ্রভাগসহ তোমাদের মধ্যে প্রচন্ডভাবে বিরাজ করবে। সাবধান, এটা হবে। আগামীকাল এবং সেদিন সহসাই আসবে এমন কিছু নিয়ে যা তোমরা জান না। সেই ক্ষমতাবান মানুষটি, যিনি এ জনতা থেকে হবেন না, পূর্ববতী সকলকে তাদের কুকর্মের জন্য বিচার করবেন এবং পৃথিবী তার অভ্যন্তরীণ সম্পদরাজী খুলে দিয়ে চাবি তার হাতে তুলে দেবে। তিনি তোমাদেরকে কেবলমাত্র আচরণ পদ্ধতি দেখিয়ে দেবেন এবং জীবনবিহীন কুরআন ও সুন্নাহকে পুনরুজ্জীবিত করবেন।
আমি যেন দেখতে পাচ্ছি। সেই পাপের আদেশদাতাকে । সে সিরিয়ায় চিৎকার করছে এবং কুফার উপকণ্ঠ পর্যন্ত তার ঝান্ডা প্রসারিত। উস্ত্রীর কামড়ের মতো সে এর দিকে বেঁকে আছে। সে নরমুন্ডে জমিন ঢেকে দিয়েছে। তার মুখগহবর প্রশস্থ এবং জমিনে তার পদচারণা ভারী হয়ে পড়েছে। বিস্তুত এলাকা নিয়ে তার অগ্রযাত্রা এবং তার আক্রমণ তীব্ৰ ।
আল্লাহর কসম, সে তোমাদেরকে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেবে এবং চোখের সুর্মর মতে তোমরা মুষ্টিমেয় কজন অবশিষ্ট থাকবে। আরব জাতির বোধশক্তি ফিরে না আসা পর্যন্ত এ অবস্থা চলবে। কাজেই তোমরা প্রতিষ্ঠিত পথ অনুসরণ কর, পাপ পরিষ্কার কর এবং নবুয়তের চিরস্থায়ী মহৎগুণাবলী অনুসরণ কর। মনে রেখো, শয়তান তার পথকে সহজ করেছে যাতে তোমরা পদে পদে তাকে অনুসরণ করতে পার ।
১। আমিরুল মোমেনিনের এই ভবিষ্যদ্বাণী দ্বাদশ ইমাম আবুল কাসেম মুহাম্মদ ইবনে হাসান আল মাহদীর আগমণ সম্পর্কে।
২। এটা আবদাল মালিক ইবনে মারওয়ানের প্রতি ইঙ্গিত। মারওয়ানের মৃত্যুর পর সে সিরিয়ার ক্ষমতা দখল করেছিল। তারপর সে মুসআব ইবনে জুবায়রের সাথে যুদ্ধে মুখতার ইবনে আবি উবায়েদ আছ-ছাকাফিকে হত্যা করে ইরাকের দিকে অগ্রসর হয়েছিল। সে কুফার উপকণ্ঠে দায়রুল যাছালিক-এর নিকটবতী মাসকিন নামক স্থানে মুসআবের বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করেছিল। মুসআবকে পরাজিত করে সে কুফায় প্রবেশ করে কুফাবাসীদের বায়াত আদায় করেছিলো। তারপর সে আব্দুল্লাহ ইবনে জুবায়রের সাথে যুদ্ধ করার জন্য হাজাজ ইবনে ইউছুফ আছছাকাফিকে মক্কায় প্রেরণ করেছিল। ফলে হাজ্জাজ মক্কা অবরোধ করে কাবা ঘরে পাথর নিক্ষেপ করেছিল। সে করে তার লাশ ফাঁসি কাষ্ঠে ঝুলিয়ে রেখেছিল। সে এমন নৃশধ্বংসতা সংঘটিত করেছিল যে, কেউ তার কথা মনে করলেই থারথার করে কেঁপে উঠতো।