আমিরুল মোমেনিন লোকবল সংগ্রহ করে তাদেরকে জিহাদে উদ্ধৃদ্ধ করলেন কিন্তু তারা দীর্ঘদিন নিশূপ হয়ে বসে রইলো। তখন তিনি বললেন, “তোমাদের কী হয়েছে? তোমরা কি বোবা হয়ে গেলে?” একদল প্ৰত্যুত্তরে বললো, “হে আমিরুল মোমেনিন, যদি আপনি যুদ্ধে যান। তবে আমরাও আপনার সাথে যাবো ।” এতে আমিরুল মোমেনিন বললেনঃ
তোমাদের কী হয়েছে? তোমরা সঠিকভাবে পরিচালিত হতে পার না এবং সঠিক পথ দেখতে পাও না। বিদ্যমান অবস্থায় আমি কি যেতে পারি? বস্তৃত এ সময় আমি তোমাদের মধ্য থেকে একজন সাহসী ও নিৰ্ভিক ব্যক্তিকে মনোনীত করে তোমাদের সঙ্গে প্রেরণ করবো। সৈন্যবাহিনী, নগরী, বায়তুল মাল, জমির খাজনা— এসব অরক্ষিত অবস্থায় ত্যাগ করে আমার যাওয়া শোভা পায় না। তাছাড়া মুসলিমদের মধ্যে ন্যায়বিচার বিধান করা, জনগণের দাবি-দাওয়া দেখাশোনা করা, এদিক সেদিক একের পর এক বাহিনী প্রেরণ করা— এসব ছেড়ে আমার যাওয়া শোভনীয় হয় না।
আমি আটা-কলের মধ্য-শলাকা। আমি নিজের অবস্থানে থাকলে চাক্কি আমাকে কেন্দ্র করে ঘুরবে । যখনই আমি সরে যাব অমনি ঘুর্ণনে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে এবং নিচের পাথরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আল্লাহর কসম, (তোমরা যা বলেছে) এটা একটা মন্দ উপদেশ। আল্লাহর কসম, শত্রুর মোকাবেলায় যদি আমি শাহাদাতের আশা পোষণ না করতাম এবং তার সাথে আমার মোকাবেলা যদি পূর্বনির্ধারিত না হতো তবে আমি আমার বাহনে চড়ে তোমাদের কাছ থেকে বেরিয়ে পড়তাম এবং উত্তর ও দক্ষিণ আলাদা না হওয়া পর্যন্ত তোমাদের সাহায্য চাইতাম না।
তোমাদের সসংখ্যাধিক্য দ্বারা কোন লাভ নেই, কারণ তোমাদের হৃদয়ে ঐক্যের অভাব। আমি তোমাদেরকে স্বচ্ছ পথেই রেখেছি যেখানে তোমাদের কেউ ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে না, কেবলমাত্র যে নিজেকে ধ্বংস করে সে ছাড়া। যে ব্যক্তি এ পথে লেগে থাকবে সে বেহেশত লাভ করবে এবং যে এ পথ থেকে সরে যাবে সে দোযখে যাবে।