ওহী ( কোরআন ) লিপিবদ্বকরন ও সংরক্ষন —
ওহী ( কোরআন মজীদ ) লিপিবদ্বকরন , ঐতিহাসিক রাজনৈতিক সনদ প্রস্তুতকরন এবং তাবলীগ বা ইসলাম প্রচারের জন্য পত্র লিখন ইত্যাদি ছিল হযরত আলী ( আঃ) এর অপর গুরুত্বপূর্ন , স্পশকাতর ও অতি মূল্যবান কাজ ।
আমীরুল মুমিনীন হযরত আলী (আঃ) মক্কা ও মদীনায় নাজিল হওয়া কোরআন মজীদের সকল আয়াতই মহানবী ( সাঃ) এর জীবদ্দশায়ই অত্যন্ত সর্তকতার সাথে লিপিবদ্ব ও মুখস্ত করেন ।
আর এ কারনেই তিনি ওহী লেখকগনের ( কাতেবুল ওহী ) ও কোরআনের হাফেযগনের অন্যতম বলে পরিগনিত হন ।
অনুরুপভাবে ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক সনদ প্রস্ততকরন এবং ইসলাম প্র্রচারের জন্য পত্র লিখনের কারনে – যেগুলো এখনও বিভিন্ন সীরাত গ্রন্থে ও ইতিহাসে সংরক্ষিত আছে ।
ইমাম আলী (আঃ) ইসলামের সর্বপ্রথম সচিব বলে পরিগনিত ।
এমনকি ঐতিহাসিক হুদায়বিয়ার সন্ধিনামা মহানবী (সাঃ) এর নির্দেশনায় হযরত আলী (আঃ) এর হস্তে লেখা হয়েছিল ।
ইমাম আলী (আঃ) এর তাত্ত্বিক , জ্ঞানগত ও কলমী খেদমত শুধু এগুলোতেই সীমাবদ্ব ছিল না , বরং মহানবী (সাঃ) এর সুন্নাহ সমূহ রক্ষার ক্ষেত্রেও তিনি অপরিসীম শ্রম দিয়েছিলেন ।
আর বিভিন্ন সময় ও সুযোগে তিনি আহকাম , ফরযসসমূূহ , আদব ও সুন্নতসমূহ এবং গায়েবী সংবাদ ও মহানবী (সাঃ) এর সকল মূল্যবান বক্তব্যও সংরক্ষন করেন ।
এ দৃৃষ্টিকোন থেকে ইমাম আলী (আঃ) নবীজী (সাঃ) থেকে যা কিছু শুনেছিলেন , সেগুলিকে ছয়টি পুস্তকে লিখে মহানবী (সাঃ) এর স্মৃতি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন ।
ইমাম আলী (আঃ) এর শাহাদাতের পর ঐ কিতাবগুলো অক্ষত অবস্থায় ওনার সন্তানগনের নিকট অতি মূল্যবান সম্পদ হিসেবে সংরক্ষিত হয়ে আসছে ।
ইমাম আলী (আঃ) এর পর অন্যান্য পবিত্র ইমামগন (আঃ) ওনার ঐসব গ্রন্থগুলো থেকেও বিভিন্ন দলিলাদি ও তথ্য উপস্থাপন করেছেন ।
ষষ্ঠ ইমাম সাদিক (আঃ) এর এক অন্যতম শিষ্য যুরারাহ্ এ গ্রন্থগুলোর কোন একটিকে ওনার (আঃ) নিকট দেখেছিলেন ।
সূ্র – তাহযীবুল আহকাম , শেখ তুসী , ২য় খন্ড , পৃ ২০৯ নাজাফ থেকে মুদ্রিত , ফিহরিস্তে নাজ্জাশী , পৃ ২২৫, ভারতে মুদ্রিত ।
মুসনাদে আহমাদের পযালোচনার ভুুমিকায় ঐ ছয়টি কিতাব সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা বিদ্যমান আছে ।
সুপ্রিয় পাঠক,
দয়া করে ভুলে যাবেন না , একমাত্র ইমাম আলী (আঃ) হলেন নবীজী (সাঃ) এর জ্ঞানের শহরে প্রবেশের একমাত্র দরজা ।
— বেলায়েতের দ্যুতি ,
মূল – আয়াতুল্লাহ জাফর সুবহানী ,
বাংলা অনুবাদে – আব্দুল কুদ্দুস বাদশা ও মোঃ মাঈনউদ্দিন ,
পৃষ্ঠা – ৭০ অবলম্বনে ।
SKL