গাফেলদের প্রতি সতর্কবাণী ও তার নিজের জ্ঞানের গভীরতা সম্পর্কে
হে জনমন্ডলী, তোমরা আল্লাহর প্রতি গাফেল হলেও আল্লাহ কখনো তোমাদের প্রতি গাফেল নন। মনে রেখো, তোমাদের মধ্যে যারা আমলে সালেহা থেকে দূরে সরে থাকে তারা ধৃত হবে। এটা কত দুঃখজনক যে, তোমরা আল্লাহ থেকে সরে যাচ্ছে এবং অন্য কিছুতে উৎসাহী হয়ে পড়ছে। তোমরা সেসব উটের মতো যাদেরকে তাদের রাখাল মড়ক-লগা চারণ-ভূমি ও খরাপীড়িত শুষ্ক এলাকার দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যায়। তারা সেসব পশুর মতো যাদেরকে ভালোভাবে খাওয়ানো হয়। জবাই করার জন্য, কিন্তু সেই পশু জানে না কি উদ্দেশ্যে ভালোভাবে খাওয়ানো হচ্ছে। তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করলে তারা মনে করে এভাবে তাদের সারাজীবন যাবে এবং পেটভরে খাওয়া পাওয়াই তাদের লক্ষ্য।
আল্লাহর কসম, যদি আমি ইচ্ছা করি, আমি বলে দিতে পারি তোমরা কে কোথা থেকে এসেছে, কোথায় যাবে এবং তোমাদের সকল কর্মকান্ডের খবর। কিন্তু আমার ভয় হয় এমন করলে পাছে তোমরা আল্লাহর রাসুলকে (সঃ) পরিত্যাগ করে আমাকে গ্রহণ করা। নিশ্চয়ই, আমি এসব বিষয় বাছা-বাছা দু একজনকে জ্ঞাপন করবো যাদের ক্ষেত্রে সে ভয় নেই। সেই আল্লাহর কসম, যিনি রাসুলকে (সঃ) সত্য সহকারে সমগ্র সৃষ্টির ওপর বৈশিষ্ট্য মন্ডিত করে প্রেরণ করেছেন, আমি সত্য ছাড়া কোন কথা বলি না। তিনি (রাসুল) আমাকে এসব জ্ঞান অবহিত করেছেন এবং এমনকি যারা মরে যায় তাদের প্রত্যেকের মৃত্যু সম্বন্ধে, যাদেরকে মুক্তি প্রদান করা হয় তাদের প্রত্যেকের মুক্তি সম্বন্ধে এবং খেলাফতের পরিণতি সম্বন্ধেও তিনি আমাকে অবহিত করেছেন। আমার মাথার মধ্য দিয়ে যেতে পারে এমন কোন কিছু তিনি আমার কানে না দিয়ে ও আমাকে না বলে রাখেন নি” ।
হে জনমন্ডলী, আল্লাহর কসম, আমি নিজে পালন করার পূর্বে কখনো কোন বিষয় পালনের জন্য তোমাদেরকে অনুপ্রাণিত করি না এবং নিজে বিরত থাকার পূর্বে কোন বিষয়ে তোমাদেরকে বিরত থাকতে বলি না ।
১ । যারা প্রত্যাদেশের ঝরনাধারা ও ঐশী প্রেরণার মদিরা পান করে তারা অজানা পর্দার অন্তরালে গুপ্ত ও ভবিষ্যতে যা ঘটবে তা এমনভাবে দেখতে পায় যেন সবকিছু তাদের চোখের সামনে। এ কথা কুরআনের নিম্নবর্ণিত আয়াতের সাথে সাংঘর্ষিক নয় যাতে আল্লাহ বলেনঃ বল, “আল্লাহ ব্যতীত আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে কেউ অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান রাখে না”। (কুরআন-২৭ %। ৬৫) এই আয়াতে অজানা ও গুপ্ত বিষয়ে ব্যক্তিগত জ্ঞানের কথা অস্বীকার করা হয়েছে, কিন্তু নবি ও অলিগণ যারা ঐশী প্রেরণার মাধ্যমে জ্ঞানপ্ৰাপ্ত তাদের জ্ঞানের কথা অস্বীকার করা হয় নি। সেকারণে তারা ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারেন এবং বহু গুপ্ত ঘটনা ও বিষয়ের ঘোমটা উন্মোচন করে দিতে পারেন। কুরআনের বহু আয়াত একথা সমর্থন করে, যেমন ঃ নবি তাঁর স্ত্রীগণের একজনকে গোপনে কিছু বলেছিলেন, যখন সে তা অন্য একজনকে বলে। দিয়েছিল এবং আল্লাহ নবিকে তা জানিয়ে দিয়েছিলেন তখন নবি এ বিষয়ে কিছু ব্যক্তি করলেন ও কিছু অব্যক্ত রাখলেন; যখন নবি সেকথা তাঁর সেই স্ত্রীকে জানালেন তখন সে বললো, “কে আপনাকে এটা অবহিত করলো?” নবি বললেন, “আমাকে অবহিত করেছেন। তিনি যিনি সর্বজ্ঞ ও সম্যক অবগত” (কুরআন-৬৬ ও ৩) । (হে নাবি) এই সমস্ত অদৃশ্য-লোকের সংবাদ আমরা ওহি (প্রত্যাদেশ) দ্বারা আপনাকে অবহিত করছি (কুরআন-১১ ? ৪৯) । সুতরাং নবি ও অলিগণ গুপ্ত বিষয়ের জ্ঞানের অধিকারী— একথা বললে যারা মনে করে আল্লাহর গুণাবলীতে দ্বৈততা সৃষ্টি করা হয় তাদের এ যুক্তি সঠিক নয়। দ্বৈততা তখনই বুঝাবে যখন বলা হবে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো গুপ্ত বিষয়ে ব্যক্তিগত জ্ঞান আছে। যখন এটা স্বীকৃত যে, নবি ও ইমামগণ যে জ্ঞানের অধিকারী তা শুধু আল্লাহরই দান মাত্র তখন দ্বৈততার প্রশ্ন ওঠে না। অদৃশ্য সম্বন্ধে জ্ঞান থাকাই যদি দ্বৈততা হয় তাহলে ঈসা (আঃ)
সম্পর্কে কুরআনের নিম্নোক্ত আয়াতের অবস্থান কী হবে ? মাটি দ্বারা আমি তোমাদের জন্য একটা পাখীর আকৃতি তৈরি করবো, তারপর তাতে ফুৎকার
দেব, ফলে ওটা আল্লাহর হুকুমে পাখী হয়ে যাবে । আমি জন্মান্ধ ও কুণ্ঠ রোগীকে নিরাময় করবো এবং আল্লাহর হুকুমে মৃতকে জীবিত করবো । তোমরা তোমাদের গৃহে যা আহার করা ও মজুদ কর আমি তোমাদেরকে তা বলে দেব / (কুরআন-৩ ও ৪৯)
যদি একথা বিশ্বাস করা হয় যে আল্লাহর অনুমতিক্রমে ঈসা (আঃ) পাখী সৃষ্টি করে তাকে প্রাণ দিয়েছিলেন তা হলে কি তিনি আল্লাহর সৃষ্টি কর্মের অংশীদার ও প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে গেলেন? যদি তা না হয় তাহলে আল্লাহ যাকে গুপ্ত বিষয়ের জ্ঞান দান করেন কী করে তাকে আল্লাহর গুণাবলীর অংশীদার বলা যায় এবং কী করে গুপ্ত বিষয়ের জ্ঞানে দ্বৈততা বুঝায়? এ কথা অস্বীকৃত নয় যে, ভবিষ্যতে ঘটবে এমন কিছু মানুষ স্বপ্ন দেখে অথবা স্বপ্নের ব্যাখ্যা দ্বারা ভবিষ্যতে ঘটবে এমন কিছু মানুষ বুঝতে পারে। মানুষ যখন স্বপ্ন দেখে তখন সে অচেতন অবস্থায় থাকে – তার দেখার শক্তি, বুঝার শক্তি, বোধশক্তি ও চিন্তাশক্তি কোনটাই তখন কাজ করে না। ফলে যদি জাগরিত অবস্থায় কোন অজানা ঘটনা কেউ জানতে পারে তবে তাতে আশ্চর্য হবার কী আছে এবং তা বাতিল করে দেয়ার কোন কারণ থাকতে পারে না। এটা যুক্তির কথা যে, অচেতন অবস্থায় স্বপ্নে যা সম্ভব জাগরিত অবস্থায় তা সম্ভব হবে না কেন? ইবনে মীছাম আল-বাহারানী লেখেছেন যে, অচেতন অবস্থায় স্বপ্নে মানুষের রূহ (আত্মা) দেহ হতে বিমুক্ত হয়ে পড়ে এবং দেহের বন্ধন ছিন্ন করে চলে যায়। ফলে এটা এমন সব গুপ্ত বিষয় দেখতে পায় যা দেহের প্রতিবন্ধকতার কারণে সচেতন অবস্থায় দেখা যায় না। একইভাবে ইনসানুল কামোলগণের মধ্যে যারা সচেতন অনেক অদৃশ্য বিষয় দেখতে পায় যা স্বাভাবিক দৃষ্টিতে দেখা অসম্ভব। কাজেই আহলুল বাইতগণের আত্মিক শ্ৰেষ্ঠত্বের কথা বিবেচনা করলে ভবিষ্যতের অদৃশ্য বিষয় তাদের জ্ঞাত হওয়াতে আশ্চর্যের কিছু নেই। ইবনে খালদুন।‘’ (পৃঃ ২৩) লেখেছেনঃ যেখানে অন্য লোকেরা অলৌকিক কৃতিত্ব সম্পাদনা করে সেখানে তোমরা তাঁদের সম্পর্কে কী চিন্তা করা যারাঁ জ্ঞানে ও সততায় বৈশিষ্ট্যমন্ডিত এবং রাসুলের (সঃ) চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের আয়না স্বরূপ । তাঁদের মহান ভিত্তিমূলী (রাসুল) সম্পর্কে মহিমান্বিত আল্লাহ উচ্চ প্রশধ্বংসা করেন । কাজেই সেই মূলই এর পবিত্ৰ শাখা-প্ৰশাখার (আহলুল বাইত) উচুস্তরের কর্মকান্ডের প্রকৃষ্ট প্রমাণ। ফলে অদৃশ্য বিষয়ে আহলুল বাইতের জ্ঞান সম্পর্কে অনেক ঘটনা প্রকাশিত ও বর্ণিত হয়েছে যা অন্য কারো বেলায় নেই । এমতাবস্থায় অদৃশ্য বিষয় জানা সম্বন্ধে আমিরুল মোমেনিনের দাবির প্রেক্ষিতে আশ্চর্য হবার কিছু নেই। কারণ তিনি রাসুল (সঃ) কর্তৃক লালিত-পালিত হয়েছিলেন, রেসালত প্রকাশের প্রারম্ভ থেকেই রাসুলের পাশে পাশে ছিলেন এবং আল্লাহর স্কুলের ছাত্র ছিলেন। অবশ্য যাদের জ্ঞান ভৌত বস্তুর সীমার বাইরে প্রসারিত হতে অক্ষম এবং যাদের শিক্ষার বাহন ইন্দ্ৰিয়ের মধ্যে আবদ্ধ তারা ঐশী জ্ঞানের বাস্তবতায় বিশ্বাস করতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে। এহেন দাবি যদি একক হতো এবং শুধুমাত্র আমিরুল মোমেনিনের মুখেই শুনা যেতো তাহলে এটা বিশ্বাস করতে হয়ত মনে সংশয় জগতো। কিন্তু ঈসার (আঃ) এহেন জ্ঞান সম্পর্কে কুরআন সাক্ষ্য বহন করে। সেক্ষেত্রে আমিরুল মোমেনিনের দাবিতে সংশয় থাকতে পারে না। এটা সর্বসম্মত যে, আমিরুল মোমেনিন রাসুলের (সঃ) জ্ঞান ও বৈশিষ্ট্যের উত্তরসূরী ছিলেন এবং তাকে সকল জ্ঞানে জ্ঞানবান করে ঘোষণা করেছেন, “আমি জ্ঞানের মহানগরী আর আলী তার দরজা।” যেহেতু একথা বলা যায় না যে, ঈসা (আঃ) যা জানতেন রাসুল (সঃ) সেসব অবহিত ছিলেন না সেহেতু রাসুল (সঃ) যা জ্ঞাত ছিলেন তাঁর উত্তরসূরী আলী তা জানতেন নাএকথাও বলা যায় না। (অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান সম্পর্কে আরো অধিক জানতে হলে আল-গাজ্জালীর কিমিয়ায়ে সা’আদাত, ১ম খন্ড, পৃঃ ৪০-৫০ দেখার জন্য অনুরোধ করা গেল— বাংলা অনুবাদক)। এতদসংক্রান্ত বিষয়ে এটাই বিস্ময়কর যে, আমিরুল মোমেনিন তার কথায় বা কাজে কখনো ঘুণাক্ষরেও মানুষের গোপন বিষয় প্রকাশ করেন নি। সায়ইদ ইবনে তাউস ৭২ লেখেছেঃ
আমিরুল মোমেনিনের দাবির একটা বিস্ময়কর দিক হলো তিনি সকল অবস্থা ও ঘটনা সম্বন্ধে জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও তাঁর কথায় ও কাজে এমন আচরণ করতেন যে, কেউ দেখলে বিশ্বাস করতে পারতো না যে, তিনি গুপ্ত বিষয় ও অন্যের অদৃশ্য কর্মকান্ড সম্বন্ধে অবহিত আছেন । জ্ঞানীগণ এ বিষয়ে একমত যে, যদি কোন ব্যক্তি ভবিষ্যতে কী ঘটবে তা জানতে পারে। অথবা তার অনুচরগণ কী পদক্ষেপ গ্ৰহণ করতে যাচ্ছে তা বলতে পারে অথবা মানুষের গুপ্ত বিষয় জানতে পারে তবে এহেন জ্ঞান সেই ব্যক্তির চালচলন ও কথাবার্তার মাধ্যমে প্ৰকাশ । হয়ে পড়ে । কিন্তু এহেন জ্ঞান থাকা সত্ত্বেও যখন কেউ এমন আচরণ করে যেন তিনি কিছুই জানেন না। তখন এটা নিঃসন্দেহে মনের দ্বন্দ্র সৃষ্টিকারী অলৌকিক । এখানে একটা প্রশ্ন ওঠে যে, আমিরুল মোমেনিন কেন তাঁর গুপ্ত বিষয়ে জ্ঞানের নির্দেশের ভিত্তিতে কাজ করেন নি। এ প্রশ্নের জবাব হলো, শরিয়তের আদেশ স্পষ্ট শর্তের ওপর প্রতিষ্ঠিত। শরিয়ত ভঙ্গ করলে সমাজে বিশৃংখলা দেখা দেয় এবং মানুষ আল্লাহকে ভুলে গিয়ে অলৌকিকত্বের দিকে ছুটে যাবে। নবি ও অলিগণ আল্লাহ্ কতৃক মঞ্জৱীকৃত অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র যেক্ষেত্রে আল্লাহ অনুমতি দিয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে তা প্রয়ােগ করতে পারেন। ঈসা (আঃ) অন্ধকে চক্ষু দান ও মৃতকে জীবিত করতে পারতেন। তাই বলে তিনি তৎকালীন সকল অন্ধকে চক্ষু দান করেন নি এবং সকল মৃতকে জীবিত করে তোলেন নি। শুধুমাত্র যে ক্ষেত্রে আল্লাহ অনুমতি প্ৰদান করেছেন সে ক্ষেত্রে তা প্রয়োগ করেছেন। যদি নবি ও অলিগণ তাদের গুপ্ত জ্ঞানের ভিত্তিতে কাজ করতেন। তবে সমাজের জনগণের কাজে-কর্মে দারুণ বিশৃঙ্খলা ও অচলাবস্থা দেখা দিতো। উদাহরণ স্বরূপ নবি বা অলি গুপ্ত জ্ঞানের ভিত্তিতে একজন মারাত্মক পাপিষ্ঠকে যদি হত্যা করে শাস্তি প্ৰদান করে তখন সমাজে দারুণ গােলযোগ সৃষ্টি হবে। কারণ সমাজ দেখবে তিনি একজন নিরপরাধ লোককে হত্যা করেছেন। সেকারণে আল্লাহ কিছু কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে গুপ্ত জ্ঞান প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছেন। সেই জন্যই রাসুল (সঃ) মোনাফেকদের সকল কর্মকান্ড জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও তাদের সঙ্গে এরূপ ব্যবহার করতেন যেরূপ ব্যবহার তিনি মুসলিমদের সাথে করতেন। এখন একথা বুঝা গেল যে, গুপ্ত জ্ঞানের অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও কেন আমিরুল মোমেনিন তদানুযায়ী কাজ করতেন না। অবশ্য, অবস্থার প্রেক্ষিতে তিনি কিছু গুপ্ত বিষয় প্রকাশ করেছিলেন এবং তা শুধুমাত্র মানুষের শিক্ষা, উপদেশ প্রদান, সুসংবাদ প্ৰদান ও শাস্তির সতর্কতার জন্য প্রকাশ করেছিলেন। উদাহরণ স্বরূপ ইমাম জাফর আস-সাদিক। ইয়াহিয়া ইবনে জায়েন্দকে জানিয়েছিলেন যে, তিনি বাইরে গেলেই নিহত হবেন। ইবনে খালদুন ‘’ (পৃঃ ২৩৩) লেখেছেনঃ ইমাম জাফর আস-সাদিক থেকে প্রামাণিকভাবে বর্ণিত আছে যে, তিনি তাঁর কতিপয় আত্নীয়-স্বজনকে ভবিষ্যতে তাদের ওপর আপতিত হবে এমন কিছু ঘটনা বলে দিতেন । উদাহরণ স্বরূপ, তিনি তাঁর চাচাতো ভাই ইয়াহিয়া ইবনে জায়েন্দকে তার নিহত হবার সংবাদ বলে দিয়েছিলেন । কিন্তু সে তাঁর কথা অমান্য করে বাহির হয়ে গেলে যুজা যানে নিহত হয়েছিল / তাসত্ত্বেও যেখানে আশঙ্কা আছে যে, মানুষের মনে উদ্বিগ্নতা সৃষ্টি হতে পারে সেখানে কোন কিছুই প্রকাশ করা হতো না। সেকারণে এ খোৎবায় আমিরুল মোমেনিন বিস্তারিত কিছু বলেন নি, এ ভয়ে যে, মানুষ তাকে রাসুল অপেক্ষা বেশি সম্মান দেখানো শুরু করে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। ঈসা (আঃ) সম্পর্কে মানুষ নানা কথা বলে যেভাবে বিপথগামী হয়েছে তাঁর বেলায়ও একইভাবে অতিরঞ্জিত কথা বলে তারা গোমরাহিতে ডুবে যেতে পারে।