* মিসবাহুল মোতাহাজ্জিদ গ্রন্থে এশার নামাযের পরে এই দোয়াটি পাঠ করতে বলা হয়েছে: উল্লেখ্য যে, রিযক্ব অনুসন্ধানে এই দোয়াটি পাঠ করতে বিশেষভাবে তাগিদ করা হয়েছে।

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ

اَللّٰهُمَّ اِنَّهُ لَيْسَ لِيْ عِلْمٌ بِمَوْضِعِ رِزْقِيْ وَ اِنَّمَا اَطْلُبُهُ بِخَطَرَاتٍ تَخْطُرُ عَلٰى قَلْبِيْ فَاَجُوْلُ فِي طَلَبِهِ الْبُلْدَانَ فَاَنَا فِيْمَا اَنَا طَالِبٌ كَالْحَيْرَانِ لَاۤ اَدْرِيْ اَ فِي سَهْلٍ هُوَ اَمْ فِيْ جَبَلٍ اَمْ فِي اَرْضٍ اَمْ فِي سَمَاۤءٍ اَمْ فِي بَرٍّ اَمْ فِي بَحْرٍ وَ عَلٰى يَدَيْ مَنْ وَ مِنْ قِبَلِ مَنْ وَ قَدْ عَلِمْتُ اَنَّ عِلْمَهُ عِنْدَكَ وَ اَسْبَابَهُ بِيَدِكَ وَ اَنْتَ الَّذِيْ تَقْسِمُهُ بِلُطْفِكَ وَ تُسَبِّبُهُ بِرَحْمَتِكَ اَللّٰهُمَّ فَصَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَ اٰلِهِ وَ اجْعَلْ يَا رَبِّ رِزْقَكَ لِيْ وَاسِعًا وَ مَطْلَبَهُ سَهْلًا وَ مَأْخَذَهُ قَرِيْبًا وَ لَا تُعَنِّنِي بِطَلَبِ مَا لَمْ تُقَدِّرْ لِي فِيْهِ رِزْقًا فَاِنَّكَ غَنِيٌّ عَنْ عَذَابِيْ [عَنَاۤئِي‏] وَ اَنَا فَقِيْرٌ اِلٰى رَحْمَتِكَ فَصَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَ اٰلِهِ وَ جُدْ عَلٰى عَبْدِكَ بِفَضْلِكَ اِنَّكَ ذُوْ فَضْلٍ عَظِيْمٍ۔

* মিসবাহুল মোতাহাজ্জিদ গ্রন্থে এশার নামাযের পরে এই দোয়াটি পাঠ করতে বলা হয়েছে: উল্লেখ্য যে, রিযক্ব অনুসন্ধানে এই দোয়াটি পাঠ করতে বিশেষভাবে তাগিদ করা হয়েছে।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

আল্লাহুম্মা ইন্নাহু লাইসা লি ইলমুল বি মাওযিয়ি রিজল্কি ওয়া ইন্নামা আত্বলুবুহু বি খাত্বারাতিন তাখতুরু আলা ক্বালবী ফায়জুলু ফি ত্বলাবিহিল বুলদানা ফা আনা ফিমা আনা ত্বালিবুন কাল হাইরানি লা আদরী আফি সাহলিন হুয়া আমফি জাবালিন আমফি আরযিন আমফি সামায়িন আমফি বাররিন আমফি বাহরিন ওয়া আলা ইয়াদাই মান ওয়া মিন কিবালি মান ওয়া কাদ আলিমতু আন্না ইলমাহু ইন্দাকা ওয়া আসবাবাহু বি ইয়াদিকা ও আনতাল্লাজি তাকসিমুহু বিলুত্বফিকা ওয়া তুসাববিবুহু বি রাহমাতিকা, আল্লাহুম্মা ফা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিন ওয়া আলিহী ওয়াজয়াল ইয়া রাব্বি রিজকাকা লি ওসিয়ান ওয়া মাত্বলাবাহু সাহলান ওয়া মাখাজাহু কারিবান ওয়া লা তুয়ান্নানি বি ত্বালাবি মা লাম তুক্কাদ্দির লি ফিহি রিজকান ফা ইন্নাকা গানিয়ুন আন আযাবি ওয়া আনা ফাকিরুন এলা রাহমাতিকা ফা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিন ওয়া আলিহী ওয়া জুদ আলা আবদিকা বি ফাযলিকা ইন্নাকা যু ফাযলিন আজিম।

* মিসবাহুল মোতাহাজ্জিদ গ্রন্থে এশার নামাযের পরে এই দোয়াটি পাঠ করতে বলা হয়েছে: উল্লেখ্য যে, রিযক্ব অনুসন্ধানে এই দোয়াটি পাঠ করতে বিশেষভাবে তাগিদ করা হয়েছে।

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

হে আল্লাহ্! আমার রিযক্ব কোথায় রয়েছে সে সম্পর্কে আমার নিশ্চত কোন জ্ঞান নেই। বরং আমি আমার অন্তরের ধারণার উপর ভিত্তি করে তা অন্বেষণ করি। এ কারণে আমি ভূ-খণ্ডের বিভিন্ন স্থানে তা সন্ধান করতে থাকি, আর হয়রান ও পেরেশান হয়ে ঘুরে বেড়াই। কারণ আমি জানি না যে, তা (রিযক্ব) কোনো সমতলে আছে নাকি (উঁচু) পাহাড়-পর্বতে, জমীনে আছে নাকি আসমানে, স্থলে আছে নাকি জলে, কিংবা কার হাতে আছে, বা কে তার উৎস? তবে এটা নিশ্চিত জানি যে, সে সম্পর্কে তুমি সম্যক অবগত এবং তার উৎস ও মাধ্যম তোমার হাতে। আর তুমি সেই সত্ত্বা নিজ অনুগ্রহ দ্বারা যা বন্টন করে থাকো এবং তোমার দয়া ও করুণা দ্বারা তা উৎসারিত হয়। অতএব হে আল্লাহ্! তুমি মোহাম্মাদ ও তাঁর পবিত্র বংশধরের প্রতি রহমত বর্ষণ করো, আর হে প্রভু! তুমি আমার রিযক্ব সুপ্রশস্ত করে দাও, আর তা অর্জন করা আমার জন্য সহজতর করে দাও, আর তার অর্জনস্থল আমার জন্য নিকটস্থ করে দাও। আর দয়া করে সেই রিযক্ব অন্বেষণে আমাকে ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত করো না যা তুমি আমার ভাগ্যে নির্ধারিত করোনি। কেননা আমাকে কষ্ট দিতে তুমি পূর্ণ ক্ষমতাবান, তবে আমি তোমার দয়ার ভিখারী। সুতরাং তুমি মোহাম্মাদ ও তাঁর পবিত্র বংশধরের প্রতি অনুগ্রহ বর্ষণ করো। আর তোমার করুণা দ্বারা তোমার এ বান্দার প্রতি উদারতা দেখাও, নিশ্চয় তুমি অসীম করুণার মালিক।