জার্মানীর জনৈক যুবতী সাইয়্যেদুশ শোহাদা ইমাম হুসাইন (আ.) সম্পর্কে রচিত একটি গ্রন্থ পড়ার পর ইসলাম ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হন। তিনি আয়াতুল্লাহ আল-উজমা রুহানী’র নিকট উপস্থিত হয়ে শাহাদাতাইন পাঠের মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন।
আবনার রিপোর্ট অনুযায়ী শহীদদের সর্দার ইমাম হুসাইন (আ.) সম্পর্কে একটি গ্রন্থ অধ্যয়নের পর ইসলাম ধর্মের প্রতি তিনি আকৃষ্ট হন; গত রবিবার -১৫ই এপ্রিল- ঐ গ্রন্থের লেখক ও বিশিষ্ট মারজায়ে তাকলীদ আয়াতুল্লাহ আল-উজমা সাদেক রুহানীর নিকট উপস্থিত হয়ে তিনি পবিত্র ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন।
জার্মান এ যুবতী উক্ত সাক্ষাত অনুষ্ঠানে প্রথমে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে তার পড়াশুনার বিষয়ে কথা বলেন। অতঃপর আয়াতুল্লাহ আল-উজমা সৈয়দ মুহাম্মাদ সাদেক রুহানী সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ ধর্মের বিভিন্ন বিষয়াদির উপর সার্বিক একটি আলোচনা রাখেন এবং নব এ মুসলিমকে একজন নারী গবেষক হিসেবে তার গুরুদায়িত্বের বিষয়ে অবগত করেন। এরপর জার্মান এ যুবতী শাহাদাতাইন পাঠ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং অনুসরণীয় মাযহাব হিসেবে শিয়া মাযহাবকে বেছে নেন।
তিনি হুসনা নামটিকে নিজের নতুন নাম হিসেবে বেছে নিয়েছেন। এ সাক্ষাতে তিনি জার্মান ও ইংরেজি ভাষায় শিয়া মাযহাবের পর্যাপ্ত প্রচার হয়নি বলে অনুযোগ করেন। তিনি বলেন, অনেক যুবক-যুবতী ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে জানতে আগ্রহী, কিন্তু অধিকাংশ সূত্র ও গ্রন্থাদি সুন্নি মাযহাব এবং তুরস্কের আহলে সুন্নতের মাধ্যমে মজুত রয়েছে এবং জার্মান ভাষায় অতি অল্প সংখ্যক শিয়া গ্রন্থ অনূদিত হয়েছে। এর উর্ধ্বে ধর্মীয় বিষয়াদিতে দক্ষ এবং বর্তমান বিশ্বের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে অবগত মুবাল্লিগের সংখ্যাও জার্মানিতে কম।
তিনি তার মুসলমান হওয়া এবং শিয়া মাযহাবকে গ্রহণ করার কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন, আয়াতুল্লাহ সাদেক রুহানী কর্তৃক ইমাম হুসাইন (আ.) এর সংগ্রামের উপর লেখা একটি গ্রন্থ –যার ইংরেজী অনুবাদ হয়েছে- আমি পড়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
অনুষ্ঠান শেষে আয়াতুল্লাহ রুহানী তাকে ইংরেজী ভাষায় অনূদিত একটি কুরআন মজিদ উপহার দেন এবং ধর্মের উসুলে দ্বীন ও ফুরুয়ে দ্বীনের বিষয়ে অধিক অবগতি অর্জনের জন্য তাগিদ দেন। এর পাশাপাশি কোন প্রশ্নের সম্মুখীন হলে দক্ষ ও চৌকস আলেমদের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেন, যাতে তারা পবিত্র কুরআন, হাদীস ও বুদ্ধিবৃত্তি ভিত্তিক দলিলের আলোকে তার উত্তর প্রদান করতে পারেন।
Source: http://www.hussainidalan.com