بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
أَللَّهُمَّ يَا ذَا الْمُلْكِ الْمُتأبِّدِ بِالْخُلُودِ وَالْسُلْطَانِ الْمُمْتَنِعِ بِغَيْرِ جُنُود وَلاَ أَعْوَان، وَالْعِزِّ الْبَاقِي عَلَى مَرِّ الدُّهُورِ، وَخَوَالِي الأَعْوَامِ، وَمَوَاضِي الأَزْمَانِ وَالأيَّامِ، عَزَّ سُلْطَانُكَ عِزّاً لا حَدَّ لَهُ بِأَوَّلِيَّةٍ وَلاَ مُنْتَهَى لَهُ بِآخِرِيَّةٍ، وَاسْتَعْلَى مُلْكُكَ عُلُوّاً سَقَطَتِ الأشْيَاءُ دُونَ بُلُوغِ أَمَدِهِ وَلاَ يَبْلُغُ أَدْنَى مَا اسْتَأثَرْتَ بِـهِ مِنْ ذَلِكَ أَقْصَى نَعْتِ النَّـاعِتِينَ. ضَلَّتْ فِيْـكَ الصِّفَاتُ وَتَفَسْخَتْ دُونَكَ النُّعُوتُ وَحَارَتْ فِي كِبْرِيِائِكَ لَطَائِفُ الأوْهَامِ، كَذلِكَ أَنْتَ اللهُ الأَوَّلُ فِي أَوَّلِيَّتِكَ، وَعَلَى ذَلِكَ أَنْتَ دَائِمٌ لا تَزُولُ، وَأَنَا الْعَبْدُ الضَّعِيْفُ عَمَلاً الجَسِيْمُ أَمَلاً، خَرَجَتْ مِنْ يَدِي أَسْبَابُ الْوُصُلاَت إلاّ مَا وَصَلَهُ رَحْمَتُكَ ، وَتَقَطَّعَتْ عَنِّي عِصَمُ الآمَالِ إلاّ مَا أَنَا مُعْتَصِمٌ بِهِ مِنْ عَفْوِكَ، قَلَّ عِنْدِي مَا أَعْتَدُّ بِهِ مِنْ طَاعَتِكَ وَكَثُرَ عَلَيَّ مَا أَبُوءُ بِهِ مِنْ مَعْصِيَتِكَ، وَلَنْ يَضِيْقَ عَلَيْكَ عَفْوٌ عَنْ عَبْدِكَ وَإنْ أَسَاءَ فَاعْفُ عَنِّي. أللَّهًمَّ وَقَدْ أَشْرَفَ عَلَى خَفَايَا الأَعْمَالِ عِلْمُكَ وَانْكَشَفَ كُلُّ مَسْتُور دُونَ خُبْرِكَ وَلاَ تَنْطَوِي عَنْكَ دَقَائِقُ الأُمُورِ وَلاَ تَعْزُبُ عَنْكَ غَيِّبَاتُ السَّرَائِرِ، وَقَدِ اسْتَحْوَذَ عَلَيَّ عَدُوُّكَ الَّذِي اسْتَنْظَرَكَ لِغِوَايتِي فَأَنْظَرْتَهُ، وَاسْتَمْهَلَكَ إلَى يَوْمِ الدِّيْنِ لاِضْلاَلِي فَأَمْهَلْتَهُ، فَأوْقَعَنِيْ وَقَدْ هَرَبْتُ إلَيْكَ مِنْ صَغَائِرِ ذُنُوبٍ مُوبِقَةٍ وَكَبَائِرِ أَعْمَالٍ مُرْدِيَـةٍ حَتَّى إذَا قَارَفْتُ مَعْصِيَتَـكَ وَاسْتَوْجَبْتُ بِسُوءِ سَعْيِي سَخْطَتَكَ فَتَلَ عَنِّي عِذَارَ غَدْرِهِ، وَتَلَقَّانِي بكَلِمَةِ كُفْرهِ، وَتَوَلَّى الْبَراءَةَ مِنِّي وَأَدْبَرَ مُوَلِّيَاً عَنِّي، فَأَصْحَرنِي لِغَضَبِكَ فَرِيداً، وَأَخْرَجَني إلى فِنَاءِ نَقِمَتِكَ طَرِيداً لاَ شَفِيعٌ يَشْفَعُ لِيْ إلَيْـكَ، وَلاَ خَفِيـرٌ يُؤْمِنُنِي عَلَيْـكَ وَلاَ حِصْنٌ يَحْجُبُنِي عَنْكَ وَلاَ مَلاَذٌ أَلْجَأُ إلَيْهِ مِنْكَ. فَهَذَا مَقَامُ الْعَائِذِ بِكَ، وَمَحَلُّ الْمُعْتَرِفِ لَكَ، فَلاَ يَضِيقَنَّ عَنِّي فَضْلُكَ، وَلا يَقْصُـرَنَّ دونِي عَفْوُكَ، وَلا أكُنْ أَخْيَبَ عِبَادِكَ التَّائِبِينَ، وَلاَ أَقْنَطَ وفُودِكَ الآمِلِينَ وَاغْفِرْ لِي إنَّكَ خَيْرُ الْغَافِرِينَ. أللَّهُمَّ إنَّكَ أَمَرْتَنِي فَتَرَكْتُ، وَنَهَيْتَنِي فَرَكِبْتُ، وَسَوَّلَ لِيَ الْخَطَأَ خَاطِرُ السُّوءِ فَفَرَّطْتُ، وَلا أَسْتَشْهِدُ عَلَى صِيَامِي نَهَـاراً، وَلاَ أَسْتَجِيرُ بِتَهَجُّدِي لَيْلاً، وَلاَ تُثْنِي عَلَيَّ بِإحْيَائِهَا سُنَّةٌ حَـاشَا فُرُوضِـكَ الَّتِي مَنْ ضَيَّعَها هَلَكَ، وَلَسْتُ أَتَوَسَّلُ إلَيْكَ بِفَضْلِ نَافِلَة مَعَ كَثِيرِ مَا أَغْفَلْتُ مِنْ وَظَائِفِ فُرُوضِكَ، وَتَعَدَّيْتُ عَنْ مَقَامَاتِ حُدُودِكَ إلَى حُرُمَات انْتَهَكْتُهَا، وَكَبَائِرِ ذُنُوب اجْتَرَحْتُهَا كَانَتْ عَافِيَتُكَ لِي مِنْ فَضَائِحِهَا سِتْراً. وَهَذَا مَقَامُ مَنِ اسْتَحْيَى لِنَفْسِهِ مِنْكَ، وَسَخِطَ عَلَيْهَا، وَرَضِيَ عَنْكَ فَتَلَقَّاكَ بِنَفْس خَاشِعَة، وَرَقَبَة خَاضِعَة، وَظَهْر مُثْقَل مِنَ الْخَطَايَا وَاقِفاً بَيْنَ الرَّغْبَةِ إلَيْكَ وَالرَّهْبَةِ مِنْكَ، وَأَنْتَ أَوْلَى مَنْ رَجَـاهُ، وَأَحَقُّ مَنْ خَشِيَـهُ وَاتّقـاهُ، فَاعْطِنِي يَا رَبِّ مَا رَجَوْتُ، وَآمِنِّي مَا حَذِرْتُ، وَعُدْ عَلَيَّ بِعَائِدَةِ رَحْمَتِكَ إنَّكَ أكْرَمُ الْمَسْؤُولِينَ. أللَّهُمَّ وَإذْ سَتَـرْتَنِي بِعَفْوِكَ وَتَغَمَّـدْتَنِي بِفَضْلِكَ فِي دَارِ الْفَنَاءِ بِحَضرَةِ الأكْفَاءِ فَأَجِرْنِي مِنْ فَضِيحَاتِ دَارِ الْبَقَاءِ عِنْدَ مَوَاقِفِ الأشْهَادِ مِنَ المَلائِكَةِ الْمُقَرَّبِينَ وَالرُّسُلِ الْمُكَرَّمِينَ وَالشُّهَدَاءِ وَالصَّالِحِينَ، مِنْ جَار كُنْتُ أُكَاتِمُهُ سَيِّئاتِي وَمِنْ ذِي رَحِم كُنْتُ أَحْتَشِمُ مِنْهُ فِي سَرِيرَاتِي، لَمْ أَثِقْ بِهِمْ رَبِّ فِي السِّتْرِ عَلَيَّ، وَوَثِقْتُ بِكَ رَبِّ فِي الْمَغفِرَةِ لِيْ، وَأَنْتَ أوْلَى مَنْ وُثِقَ بِهِ وَأَعْطَى مَنْ رُغِبَ إلَيْهِ وَأَرْأَفُ مَنِ اسْتُرْحِمَ فَارْحَمْنِي. أللهُمَّ وَأنتَ حَدَرْتَنِي مَاءً مَهِيناً مِنْ صُلب، مُتَضَائِقِ الْعِظَامِ حَرِجِ الْمَسَالِكِ إلَى رَحِم ضَيِّقَة سَتَرْتَهَا بِالْحُجُبِ تُصَرِّفُنِي حَالاًَ عَنْ حَال حَتَّى انْتَهَيْتَ بِيْ إلَى تَمَامِ الصُّورَةِ وَأَثْبَتَّ فِيَّ الْجَوَارحَ كَمَا نَعَتَّ فِي كِتَابِكَ نُطْفَةً ثُمَّ عَلَقَةً ثُمَّ مُضْغَةً ثُمَّ عِظَاماً ثُمَّ كَسَوْتَ الْعِظَامَ لَحْماً ثُمَّ أَنْشَأتَنِي خَلْقَاً آخَرَ كَمَا شِئْتَ، حَتَّى إذَا احْتَجْتُ إلَى رِزْقِكَ، وَلَمْ أَسْتَغْنِ عَنْ غِيَـاثِ فَضْلِكَ جَعَلْتَ لِي قُـوتـاً مِنْ فَضْلِ طَعَام وَشَرَاب أَجْرَيْتَهُ لاِمَتِكَ الَّتِيْ أَسْكَنْتَنِي جَوْفَهَا وَأَوْدَعْتَنِي قَرَارَ رَحِمِهَا، وَلَوْ تَكِلُنِي يَا رَبِّ فِي تِلْكَ الْحَـالاتِ إلَى حَوْلِي، أَوْ تَضْطَرُّنِي إلَى قُوّتي لَكَانَ الْحَوْلُ عَنِّي مُعْتَزِلاً، وَلَكَانَتِ الْقُوَّةُ مِنِّي بَعِيدَةً، فَغَذَوْتَنِي بِفَضْلِكَ غِذَاءَ البَرِّ اللَّطِيفِ ، تَفْعَلُ ذَلِكَ بِي تَطَوُّلاً عَلَيَّ إلَى غَايَتِي هَذِهِ، لاَ أَعْدَمُ بِرَّكَ وَلاَ يُبْطِئُ بِي حُسْنُ صَنِيعِكَ، وَلاَ تَتَأكَّدُ مَعَ ذَلِكَ ثِقَتِي، فَأَتَفَرَّغَ لِمَا هُوَ أَحْظَى لِيْ عِنْدَكَ، قَدْ مَلَكَ الشَّيْطَانُ عِنَانِي فِي سُوءِ الظَّنِّ وَضَعْفِ الْيَقِينِ، فَأَنَا أَشْكُو سُوْءَ مُجَاوَرَتِهِ لِي وَطَـاعَةَ نَفْسِي لَـهُ، وَأَسْتَعْصِمُـكَ مِنْ مَلَكَتِهِ، وَأَتَضَـرَّعُ إلَيْكَ في صَرفِ كَيدِهِ عَنّي و أسأَلُكَ فِي أَنْ تُسَهِّلَ إلَى رِزْقِي سَبِيلاً، فَلَكَ الْحَمْدُ عَلَى ابْتِدَائِكَ بِالنِّعَمِ الْجِسَامِ، وَإلْهَامِكَ الشُّكْرَ عَلَى الإحْسَانِ وَالإِنْعَامِ ، فَصَلِّ عَلَى مُحَمَّد وَآلِهِ وَسَهِّلْ عَلَيَّ رِزْقِي وَأَنْ تُقَنِّعَنِي بِتَقْدِيرِكَ لِيْ ، وَأَنْ تُرْضِيَنِي بِحِصَّتِيْ فِيمَا قَسَمْتَ لِيْ، وَأَنْ تَجْعَـلَ مَـا ذَهَبَ مِنْ جِسْمِيْ وَعُمُرِيْ فِي سَبِيْلِ طَاعَتِكَ إنَّكَ خَيْرُ الرَّازِقِينَ. أللَهُمَّ إنِّي أَعُوذُ بِكَ مَنْ نَارٍ تَغَلَّظْتَ بِهَا عَلَى مَنْ عَصَاكَ، وَتَوَعَّدْتَ بِهَا مَنْ صَدَفَ عَنْ رِضَاكَ، وَمِنْ نَارٍ نورُهَا ظُلْمَة وَهَيِّنُهَا أَلِيمٌ، وَبَعِيدُهَا قَرِيبٌ، وَمِنْ نَارٍ يَأْكُلُ بَعْضَهَا بَعْضٌ، وَيَصُولُ بَعْضُهَا عَلَى بَعْض، وَمِنْ نَارٍ تَذَرُ الْعِظَامَ رَمِيماً، وَتَسْقِي أَهْلَهَا حَمِيماً ، وَمِنْ نَارٍ لاَ تُبْقِي عَلَى مَنْ تَضَرَّعَ إلَيْهَا، وَلاَ تَرْحَمُ مَنِ اسْتَعْطَفَهَا، وَلاَ تَقْدِرُ عَلَى التَّخْفِيفِ عَمَّنْ خَشَعَ لَهَا وَاسْتَسْلَمَ إلَيْهَا، تَلْقَى سُكَّانَهَا بِأَحَرِّ مَا لَدَيْهَا مِنْ أَلِيْمِ النَّكَالِ وَشَدِيدِ الْوَبَالِ، وَأَعُوذُ بكَ مِنْ عَقَارِبِهَا الْفَاغِرَةِ أَفْوَاهُهَا، وَحَيّاتِهَا الصَّالِقَةِ بِأَنْيَابِهَا، وَشَرَابِهَا الَّذِي يُقَطِّعُ أَمْعَاءَ وَأَفْئِدَةَ سُكَّانِهَا، وَيَنْزِعُ قُلُوبَهُمْ، وَأَسْتَهْدِيْكَ لِمَا باعَدَ مِنْهَا وَأَخَّرَ عَنْهَا. أللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّد وَآلِـهِ وَأَجِرْنِي مِنْهَا بِفَضْل رَحْمَتِكَ، وَأَقِلْنِي عَثَرَاتِي بِحُسْنِ إقَالَتِكَ ، وَلاَ تَخْذُلْنِي يَا خَيْرَ الْمُجيرِينَ أللَّهُمَّ إنَّكَ تَقِي الْكَرِيهَةَ ، وَتُعْطِي الْحَسَنَةَ ، وَتَفْعَلُ مَا تُرِيـدُ وَأَنْتَ عَلَى كُلِّ شَيْء قَدِيرٌ. أللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّد وَآلِهِ، إذَا ذُكِرَ الأبْرَارُ، وَصَلِّ عَلَى مُحَمَّد وَآلِهِ مَا اخْتَلَفَ اللَّيْلُ وَالنَّهَارُ صَلاَةً لاَ يَنْقَطِعُ مَدَدُهَا، وَلاَ يُحْصَى عَدَدُهَا صَلاَةً تَشْحَنُ الْهَوَاءَ، وَتَمْلاُ الأرْضَ وَالسَّماءَ. صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ حَتَّى يَرْضَى، وَصَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَآلِهِ بَعْدَ الرِّضَا صَلاَةً لا حَدَّ لَها وَلاَ مُنْتَهَى يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ
পরম করুনাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি
হে প্রভ, হে চিরস্থায়ী রাজত্বের মালিক। কর্তৃত্বের মালিক, সেনাবাহিনীর সমর্থন এবং কারও সাহায্য ছাড়াই আপনি শাসন করেন। আপনার ক্ষমতা যুগের সমাপ্তি ঘটলে, বছরের যুগের আর দিনের পরিবর্তন হলেও অম্লান। আপনার কর্তৃত্ব পূর্ব থেকেই বিদ্যমান যার শুরুর এবং শেষের কোনো সীমা নেই।একটি সীমা নিয়ে আপনি আপনার রাজত্বকে সমুন্নত করেছেন যাতে সকল জিনিস চ’ড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছতে পারে না এবং তারা এর মধ্যে থাকতে বাধ্য হয়, যারা দ্বারা আপনি নিজকে আড়াল করেছেন। কোনো প্রশংসাকারীর প্রশংসাই আপনার ইজ্জতের সমপর্যায়ে পৌঁছতে পারে না। এভাবে আপনি নিজকে অন্যের কাছে ভুলিয়ে রেখেছেন এবং আপনাকে বর্ণনা করা সাধ্যাতীত। আপনার ক্ষমতার দ্বারা, কল্পনার ক্ষমতা পরাভ’ত হয়। হে আল্লাহ আপনার সত্তা হল আউয়ালুল আউয়ালিন এবং কোনো ক্ষতিগ্রস্ত না হয়ে সব সময় এক রকমই থাকবেন। আমি এমন এক বান্দা, নেক আমলের বিবেচনায় যে নিঃস্ব এবং যার অসীম প্রত্যাশা। আমাকে দেওয়া আপনার অনুগ্রহ ব্যতিরেকে, আমার হাত ঐ জিনিস অর্জন করতে সচেষ্ট যা আমি প্রত্যাশা করি। আমার জন্য আশার দড়ি কেটে দিন, আপনার ক্ষমা প্রদর্শন করুন যাতে আমি মুক্তি পেতে পারি। আমি আপনার বন্দেগী করার জন্য যোগ্যতা খুব কমই রাখি। আপনাকে অমান্য করার জন্য অনেক কিছুই সামনে এসে দাঁড়ায়। তবুও এটা আপনার জন্য কঠিন নয় যে আপনি আপনার বান্দাকে ক্ষমা করবেন, যদিও সে পাপী। সেজন্য, আমাকে ক্ষমা করুন। হে প্রভু, বিশেষত আপনার জন্য জ্ঞান গোপন কার্যাবলি সম্পর্কে অবগত। প্রতিটি গোপন জিনিসের বর্ণনা আপনার কাছে রয়েছে এবং সব চেয়ে তুচ্ছ কাজও আপনার দৃষ্টি এড়ায় না। অথবা গোপন রহস্যও আপনার কাছে অজানা নয়। বিশেষত আমি আপনরা শত্রু কর্তৃক অতিরিক্ত শক্তি (গুণাহ্ করার জন্য), যে আমাদেরকে বিপথগামী করার জন্য আপনার কাছে সময় চেয়ে নিয়েছে। আপনি তা অনুমোদন করেছেন। আপনার কাছে আরজ যে, সে ত কবর দিনগুলো পর্যন্ত আমাকে আবর্জনায় ফেলে দেবে (বিপথে চালনা করবে)। আপনি তাকে সময় দিয়েছেন তাই সে আমার উপর প্রভাব বিস্তার করেছে। বিশেষত ছোট গুনাহ্ হতে আপনার কাছে পলায়ন করছি যা ক্ষতিকর এবং ্ড় গুণাহ্ হতেও যা ধ্বংসাত্মক। যখন আমি আপনার বিপক্ষে চলি এবং আমার কৃতকর্মের জন্য আপনার গোসসার অধিকারী হই, সে আমার কাছ থেকে তার ধোঁকা দেয়ার বস্তসমূহ নিয়ে যায়, সে আমাকে ধিক্কার দেয়, আমার কাছ থেকে পৃথক হয়ে যায় এবং আমার দিক হতে চেহারা ঘুরিয়ে নেয়। সুতরাং সে আমাকে এক আপনার গোসসার বনে ছেরে দেয়, আপনার প্রদত্ত শাস্তির ক্ষেত্রে আমাকে পতিত ফেলে দিয়ে। সেখানে আপনার সাথে মধ্যস্থতা করার জন্য আমার কোনো মধ্যস্থাকারী থাকবে না। আপনার কাছ থেকে আমাকে আশ্রয় দেয়ার জন্য কোনো রক্ষক থাকবে না। এমন শক্তিশালী কোনো জিনিস থাকবে যা আমাকে আপনার কাছ থেকে লুকিয়ে রাখবে এবং এমন কোনো বাসস্থান থাকবে না যে আপনাকে ফাঁকি দেয়া হবে। সেজন্য এই হল তার অবস্থান যে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করে এবং তার অবস্থা আপনার কাছে তওবা করে। সেজন্য আরজ করছি আমার কাছ থেকে আপনার অনুগ্রহ উঠিয়ে দিয়েন না। আমার ক্ষেত্রে আপনার ক্ষমাকে কেড়ে নিয়েন না। আমাকে আপনার তওবাকারী বান্দাদের মধ্যে সবচেয়ে নিরাশ করবেন না। অথবা তাদের মধ্যে সবচেয়ে আশাহত করবেন না যারা আপনার কাছে সফলতার জন্য অপেক্ষা করে। আমাকে ক্ষমা কুরন, বিশেষ করে আপনি হলেন সবচেয়ে বড় ক্ষমাশীল। হে প্রভু, বিশেষত বলতে হয় আপনি আমাকে হুকুম করেছেন আর আমি তা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছি, আপনি আমাকে নিষেধ করেছেন আর আমি তা করেছি। মন্দ চিন্তা আমার জন্য কর্ম সাজিয়েছে যাতে আমি তা করি। আমি এমন কোনো দিনের কথা বলব না যে দিন আমার রোজর সাক্ষ্য দিবে অথবা এমন কোনো রাত্রের কথা বলব না যে রাত্র আমার জাগরণের (এবাদতে) সাক্ষ্য দিবে, এমন কোনো ভাল আমলের কথা বলব না যা আমি করেছিলাম। আপনার এমন কোনো কর্তব্যও পালন করিনি, যা কেউ অস্বীকার করলে ধ্বংস হয়ে যায়। আমি অপনার কাছে কোনো ভ’মিকার অবতারনা করছি না। কোনো স্বেচ্ছা আরাধনার দ্বারা, যখন আমি আপনার ফরজ কার্যসমূহ (বিপুল পরিমাণে) সম্পাদন করতে অস্বীকার করেছি এবং আপনার নিষেধকৃত ক্ষেত্রে আমি সীমা ছাড়িয়ে গেছি, যাতে আমি প্রভাবাম্বিত ছিলাম। আর মন্দ ঝোঁক থেকে আমি সীমা ছাড়িয়ে গেছি, যাতে আমি প্রভাবাম্বিত ছিলাম। আর মন্দ ঝোঁক থেকে আমি এগুলো করেছি। আপনার নিরাপত্তা নক্ষার জন্য আমার কোনো পর্দা নেই। এই হল তার অবস্থান যে আপনার সামনে তার আত্মার সামনে লজ্জিত, এর কারণে রাগাম্বিত এবং আপনার সামনে সন্তুষ্ট। সেজন্য, সে আপনার ভয় এবং আশায় আপনার সামনে দাঁড়িয়েছে এক বিনয়ি রহু এক অবনত মাথা এবং পাপের দ্বারা বোঝাই করা এক পিঠ নিয়ে। আপনার সত্তাই ওগুলোর মালিক যা আমরা বিশ্বাস করি এবং ঐ সমস্ত ভয়-ভীতির, যা আমরা আশঙ্কা করি (নিজের উপর বর্তাবার ক্ষেত্রে)। সেজন্য, আমাকে তা দিন, হে প্রভু, যা আমি করি। আমি যা ভয় করিতা হতে রক্ষা করুন। আপনার দয়ার পুনষ্কারের দ্বারা আমাকে অনুগ্রহ করুন। বিশেষত, দানশীলদের মধ্যে আপনিই সবচেয়ে মহান দানশীল। হে প্রভু, যেহেতু আপনি আমাকে আপনার ক্ষমার দ্বারা আমাকে মুড়িয়ে ফেলেছেন, মরণশীল দুনিয়ার এই বাসস্থানের অজ্ঞতা হতে আমাকে নিবৃত্ত রাখুন। যেখানে আপনার সম্মানিত ফেরেস্তাগণ, সম্মানি নবীগণ, এবং আমার প্রতিবেশী নেককারগণ থাকবেন, যাদের কাছে আমার মন্দ লুকিয়ে রাখা হবে এবং যাদের কাছে আমি আমার গোপন কর্মের জন্য লজ্জিত হব। আমার উপর চাদর দিতে এবং আপনার উপর বিশ্বাস আনয়নে আমি খখনই তাদের বিশ্বাস করতাম না, হে আমার রক্ষাকর্তা, আমাকে ক্ষমা করার বেলাতেও। আপনার সত্তা সবচেয়ে ক্ষমতাবান তাদের উপর যারা রক্ষিত, সবচেয়ে মহান তাদের উপর যারা প্রার্থনা করে এবং সবচেয়ে বদান্য তাদের উপর যারা রক্ষিত, সবচেয়ে মহান তাদের উপর যারা ক্ষমা চায়, সেজন্য, আমাকে করুণা করুন। হে প্রভু, আমাকে এক ফোটা বীর্য হিসেবে হাড়ের (সরু) প্রবাহিত করে সরু গর্ভে চালিত করেছেন যেখানে আপনি আমাকে ঢেকে দিয়েছেন। সেখানে আমাকে স্তরে উন্নতি দান করেছেন, আমার পরিপূর্ণতা আসার পূর্ব পর্যন্ত এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ স্থাপন করা পর্যন্ত যা আপনি আপনার কিতাবে বলে দিয়েছেন, প্রথমে এক বীযৃ খন্ড, তারপর রক্তের টুকরা, তারপর একটি মাংসখন্ড, তারপর অস্থির গঠন, তারপর অস্থিকে মাংসা দ্বারা ঢেকে দিয়েছেন, তারপর আপনার ইচ্ছে মত আপনি আমাকে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে মন্ডিত করেছেন। যতদিন আমার আপনার পরিচর্যার অনুভব করেছিলাম এবং আপনার বদান্যতা হতে স্বাধীন হতে পারি নি, আপনি আমার পরিচর্যা ব্যবস্থা করেছেন, খাদ্য এবং পানীয় দিয়ে। যা আপনি আপনার কুদরতি হাতে স্তনের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত করেছেন, তার স্তনে যার পেটেরে সাথে আমার সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে এবং সবচেয়ে অন্তর্বর্তীনকালে যার গর্ভে আমাকে রেখেন। হে রক্ষাকর্তা, এই সমস্ত ক্ষেতের আপনি তা আমাকে শক্তি অথবা ক্ষমতা দেননি যে এগুলো ব্যবহার করব। বিশেষত আমার শক্তি আমাকে বিপর্যস্ত করত এবং আমার শক্তি আমার চেয়ে বহু দূরে ছিল। সেজন্য, পূর্ণাঙ্গ এবং পর্যাপ্ত পুষ্টিতে, আপনার অনুগ্রহে আপনি আমাকে আহার করিয়েছেন। আমার বর্তমান মূহুর্তে আপনার সত্তাই আমার উপর দয়ার বহি-প্রকাশ ঘটাচ্ছে। আপনার দয়ার কোনো লয় নেই, অথবা আপনার বদান্যতা আমর প্রতি আটকেও নেই। এ সত্ত্বেও আমার এতটুকু আত্মবিশ্বাস হয়নি যে আমি আপনার দৃষ্টিতে যা সবচেয়ে ভাল তাতে নিজেকে নিয়োজিত করব অথবা প্রত্যাহার করব। বিশেষত শয়তান আমার রাজত্ব অধিকার করেছে, আমার ভুল কর্ম এবং ঈমানের দূর্বলতার সাথে। আমি তার শয়তানী সাহচার্য এবং আমার আত্মার তা প্রতি আনুগত্যকে আপনার কাছে অভিযোগ দায়ের করছি। তার কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে আপিনি আমাকে রক্ষা করুন এবং একটি জীবিকা নির্বাহের জন্য তা সহজ করে দেবার জন্য আপনার কাছে বিনম্র আবেদন করছি। আর সকল প্রশংসা আপনার জন্য, প্রথম পদে অনন্য নেয়ামত দান করার জন্য, কৃতজ্ঞতা জানানোতে উৎসাহিত করার জন্য, বদান্যতা এবং উদারতার জন্য। হযরত মুহাম্মদ এবং তাঁর বংশধরদের উপর অনুগ্রহ করুন। জীবন ধারণের উপকরণ যোগাড় করতে আমাকে সহযোগিতা দিন। আমার প্রতি আপনার অঙ্গীকারের বাস্তবায়ন করুন। আমার অংশে আপনি সন্তুষ্ট হয়ে যান যা আপনি আমার জন্য অনুমোদন করেছেন। আমার শরীরে এবং বয়সে যা হয় তা আপনার রাস্তায় ব্যয় করার তৌফিক দিন। বিশেষত, আপনার সত্তাই শ্রেষ্ঠ রিযিকদাতা। হে প্রভু, আমি ঐ আগুন হতে আপনার আশ্রয় চাচ্ছি যা তার উপর বর্তায় যে আপনাকে অমান্য করে. যে আগুনের ব্যাপারে তাকে হুমকি দিয়েছেন যে আপনাকে মান্য করা হতে বিরত থাকে। আমি আশ্রয় চাচ্ছি ঐ আগুন থেকে যে আগুন হবে কালো, যার মধ্যখান আর্তনাদে ভরপুর, আগুনের শিখাগুলো একটি হতে আরেকটি খুবই নিকটে। ঐ আগুন থেকে আশ্রয় চাচ্ছি যার এক অংশ অন্য অংশকে গ্রাস করে ফেলে, কিছু অংশ অন্য অংশগুলোকে আক্রমণ করে। ঐ আগুন হতে যে তার কাছে মিনতিকারীকে নিস্তার দেয় না এবং প্রার্থনাকারীর উপর দয়া প্রদর্শন করে না। এর (আগুনের) কোনো ক্ষমতা নাই যে তার উপর প্রাবল্য কমিয়ে দেবে যে তার সামনে নম্র হয় এবং মিনতি করে। এটা এর বাসীকে উত্তপ্ত শাস্তি দেয় এবং যন্ত্রণাদায়ক কষ্ট দিয়ে থাকে। আমি এক খোলা মুখের বিছা হতে আপনার হেফাজত কামনা করছি। এর সাপগুলো তাদের বিষাক্ত দাঁত দিয়ে কামড় দিতে প্রস্তুত। এর পানীয় তাদের অভ্যন্তরভাগ এবং কলিজা ছিঁড়ে ফেলে যারা সেখানে বাস করে (জাহান্নামবাসী)। আমি আপনার নির্দেশনা চাচ্ছি যা আমাকে এর থেকে দূরে এবং এর থেকে ফিরিয়ে নেবে। হে প্রভু, হযরত মুহাম্মদ এবং তাঁর বংশধরদের উপর অনুগ্রহ করুন। আপনার অনান্য বদান্যতায় আমাকে এ থেকে রক্ষা করুন। আপনার ক্ষমাশীলতায় আমার ভুলগুলো এড়িয়ে যান। হে শ্রেষ্ঠ রক্ষাকর্তা, আমাকে অনুগ্রহ বঞ্চিত করবেন না। বিশেষত, আপনি মন্দ দূর করে থাকেন এবং ভালাই দান করে থাকেন। আপনি যা ইচ্ছে তাই করুন এবং সবকিছুর উপর আপনার ক্ষমতা বিদ্যমান। যখনই নেককারগণ মিনতি করে, তখনই হযরত মুহাম্মদ এবং তাঁর বংশধরদের উপর অনুগ্রহ করুন।। যতদিন রাত্র-দিন পালা বদল করে তত দিন হযরত মুহাম্মদ এবং তাঁর বংশধরদের উপর অনুগ্রহ করুন, যার পালা বদল কখনও শেষ হবে না এবং যার সংখ্যা গণনা করা যায় না। ঐ অনুগ্রহ করুন যা আবহাওয়াকে পরিব্যাপ্ত করে এবং আসমান আর জমিন পরিপূর্ণ করে দেয়। সে সন্তুষ্ট হওয়া পর্যন্ত আল্লাহ্ যেন তার উপর এবং তাঁর বংশধরদের উপর অনুগ্রহের বারি বর্ষণ করে। সন্তুষ্ট হওয়ার পর আল্লাহ্ যেন তাঁকে এবং তাঁর বংশধরদেরকে বিভিন্ন নেয়ামত দিয়ে নে, যার কোনো সীমা-পরিসীমা নেই, হে পরম দয়ালু।