ইহজগতের ক্ষণস্থায়ীত্ব ও পরকালের গুরুত্ব সম্পর্কে
নিশ্চয়ই, ইহকাল পিছন ফিরে তার প্রস্থান ঘোষণা করছে এবং পরকাল অগ্রসরমান হয়ে তার উপস্থিতির জানান দিচ্ছে। মনে রাখবে, আজই পরকালের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার দিন এবং আগামীকাল যাত্রা করতে হবে। যারা আল্লাহর পথে অগ্রসর হয় তাদের স্থান বেহেশত, আর যারা পিছনে পড়ে থাকে তাদের স্থান হলো দোযখী। এমন কেউ কি নেই যে মৃত্যুর পূর্বে তওবা করে? এমন কেউ কি নেই যে কিয়ামতের পূর্বে কল্যাণকর কর্মসাধন করে?
সাবধান, তোমরা হয়তো আশায় বুক বেঁধে দিন গুনছো কিন্তু তোমাদের আশার পিছনে মৃত্যুদূত দন্ডায়মান। যে ব্যক্তি আশায় কালক্ষেপণ না করে মৃত্যুর পূর্বেই আমল করে তার আমল উপকারে আসে এবং মৃত্যু তার ক্ষতি সাধন করতে পারে না। আবার যে ব্যক্তি মৃত্যুর আগমনের পূর্বে আমল করতে ব্যর্থ হয়, মৃত্যু তার জন্য ক্ষতিকর এবং তার লোকসানের অন্ত নেই। সাবধান, মহা-আতঙ্কের সময় যেমন আমল কর, সুখের সময়েও ঠিক তেমন আমল করো। নিশ্চয়ই, কোন বেহেশত কামনাকারী ও দোযখের ভয়ে আতঙ্কগ্রস্থকে আমি ঘুমিয়ে থাকতে দেখি নি। মনে রেখো, হক যার উপকারে আসে নি, বাতিলের ভোগান্তি সে পোহাবে এবং হেদায়েত যাকে দৃঢ় রাখতে পারে নি, গোমরাহি তাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে নিয়ে যাবে।
সাবধান, (সত্যের পথে থাকার জন্য) দৃঢ়ভাবে তোমাদেরকে আদেশ দেয়া হয়েছে এবং কিভাবে তোমরা যাত্রাপথের রসদ সংগ্রহ করবে। সে পথ সুস্পষ্ট করে দেখানো হয়েছে। আমার ভীষণ ভয় হচ্ছে তোমরা তোমাদের কামনা-বাসনা সম্প্রসারিত করে তার অনুবতী হয়ে পড় কিনা। ইহকালেই রসদ সংগ্রহ কর যা তোমাদেরকে পরকালে রক্ষা করবে।