আল্লাহর মহত্ত্ব ও বিশ্বচরাচর সৃষ্টি
আল্লাহ্ তাঁর মহান কুদরত ও সূক্ষ্ম সৃজনি শক্তি দ্বারা অথৈ, ঘন ও উচ্চভ পানি থেকে শক্ত শুষ্ক মাটি তৈরি করলেন। তারপর তিনি তার স্তর বিন্যাস করলেন এবং একত্রিত হয়ে জোড়া লাগার পর তাকে সপ্ত আকাশে বিভক্ত করলেন। সুতরাং তাঁর আদেশে তা স্থির হয়ে গেল এবং তাঁর নির্ধারিত সীমায় তা আবদ্ধ হয়ে গেল। তিনি পৃথিবীকে এরূপে তৈরি করলেন যে, তা গাঢ় নীল, পরিবেষ্টিত ও আলম্বিত পানি থেকে জন্ম নিল যা তার আদেশের প্রতি অনুগত এবং যখন তাঁর ভয়ে প্রবাহ থেমে গেল তখন তার সম্মানে অবনত হয়ে রইলো ।
তিনি উচু পাহাড়, শক্ত পাথর ও সুউচ্চ পর্বতমালা সৃষ্টি করেছেন। তিনি এগুলোকে যথাস্থানে স্থাপন করলেন এবং স্থির করে রাখলেন। এদের চূড়া আকাশে উঠে গেল এবং মূল পানিতে রয়ে গেল। এভাবে তিনি পর্বতকে সমতল ভূমির ওপরে তুলে দিলেন এবং এদের ভিত্তি বিশাল বিস্তারে এঁটে দিলেন যেখানে এরা দাঁড়িয়ে আছে। তিনি এসব পাহাড়ের চূড়াকে সুউচ্চ করেছেন এবং এদের বিস্তৃতি বিশাল করেছেন। তিনি এগুলোকে পৃথিবীর জন্য স্তম্ভ স্বরূপ করেছেন এবং পেরেকের মতো আটকিয়ে দিয়েছেন। ফলে পৃথিবী স্থির হয়েছে; অন্যথায় পৃথিবী এর অধিবাসীদেরকে নিয়ে বক্র হয়ে যেত অথবা নিজ ভারে নিচের দিকে তলিয়ে যেত অথবা স্বীয় অবস্থান থেকে সরে পড়তো ।
সুতরাং তিনিই মহিমান্বিত যিনি পানির প্রবাহের পর তা বন্ধ করে দিয়েছেন এবং এর পার্শ্বদেশ জলাকীর্ণ অবস্থার পর তাকে শক্ত করে দিয়েছেন। এভাবে তিনি পৃথিবীকে তাঁর বান্দাদের জন্য দােলনা করে দিয়েছেন এবং গভীর সমুদ্রের ওপরে তাকে তাদের জন্য মেঝের মতো বিছিয়ে দিয়েছেন যা স্থির, অনড় ও নিশ্চল। তীব্র বাতাস পানির প্রবাহকে এদিক সেদিক নাড়াতে পারে এবং মেঘমালা এর থেকে পানি গ্রহণ করে ।
নিশ্চয়ই এতে তাদের জন্য শিক্ষা রয়েছে যারা আল্লাহকে ভয় করে (কুরআন-৭৯৪২৬)