শীয়া রাফেযী সমাচার ————
প্রশ্ন –
সুন্নি , ওহাবি ও আহলে হাদিসের মুসলমান ভাইয়েরা বার ইমামীয়া শীয়াদের কেন রাফেজী বলে ?
জবাব –
(رافضہ)> (رفض)
রাফেয –
অর্থাৎ ছেড়ে দেওয়া বা ত্যাগ করা কে বলা হয় ।
সেই কারণে মাক্বাবিসুল্লোগ্বাতে এসেছে (رَفَضتُ الشَی أی تَرَکتُہ)
অর্থাৎ অমুক জিনিষকে রাফয করে দিয়েছি , অর্থাৎ ত্যাগ করে দিয়েছি ।
ঐ ব্যক্তিকে রাফেযী বলা হয় যে কোন কিছু পরিত্যাগ করেছে ।
বিষয়টা অনেকটা এই রকম যে , একজন হিন্দু ধর্মালম্বী ব্যক্তি তার হিন্দু ধর্ম পরিত্যাগ করে যদি খ্রীষ্টান ধর্ম গ্রহন করেন তখন ঐ ব্যক্তিকে হিন্দু ধর্মের রাফেযী বলা হয় । কেননা ঐ ব্যক্তি হিন্দু ধর্মকে রাফেয বা ত্যাগ করেছেন ।
ঐতিহাসিক ঘটনায় এসেছে –
মুহাম্মাাদ বিন ফারিস , মুজামু মুক্বাবীসুল লোগ্বাত (رفض) শব্দের ব্যাখ্যায় লিখেছেন ।
এই শব্দটি অভিধানে যেমন ছিল তেমনি ব্যবহার হত ।
সেই কারণে মুয়াবীয়া এই শব্দটি মারওয়ান ও কিছু লোকের উপর ব্যবহার করেছে যারা জামাল যুদ্ধে থেকে ফিরে এসেছিল ও আমার বিন আস এর কাছে চিঠিতে লিখেছে –
(قد سقط الینا مروان بن الحکم فی رافضۃ اھل البصرۃ)
সূত্র – নাছর বিন মাজাহিম: ওয়াক্বআতুস সিফ্ফিন, প্র: ২৪ / আনসাবুল আশরাফ , বেলাজারী , খ: ৩, প্র: ।
সিফফীনের যুদ্বের এক পর্যায় কিছু ব্যক্তি ইমাম আলী (আঃ) এর পক্ষ ত্যাগ করে মূয়াবীয়ার দলে চলে গিয়েছিল ।
অর্থাৎ ঐ সকল ব্যক্তিবর্গ তখন ইমাম আলী (আঃ) এর রাফেযী হয়ে গিয়েছিল ।
যারা ইমাম আলি (আঃ) কে ত্যাগ করে মূয়াবীয়ার কাছে চলে গিয়েছিল ওদেরকে তখন রাফেযী শীয়া বলা হত ।
অন্য এক ঐতিহাসিক ঘটনায় এসেছে –
এক ব্যক্তি ষষ্ঠ ইমাম জাফর সাদিক্ব (আঃ) এর কাছে এসে অভিযোগ করলেন যে , হে রাসুল (সাঃ) এর সন্তান , অন্যান্য লোক আমাদেরকে রাফেযী বলে ।
ইমাম জাফর সাদিক্ব (আঃ) তাকে উত্তর দেন যে , রাফেযী – এই শব্দটি ওদের জন্যেও ব্যবহার করা হয়েছিল যারা ফেরাউনকে ত্যাগ করেছিল । তোমাদেরকে এই কারণে রাফেযী বলে কেননা তোমরা বাতিলকে ত্যাগ করেছ । আর ওরা ভাল ও উত্তম জিনিষকে ত্যাগ করেছে ।
সূত্র – কোলাইনি , কাফি, ছাপ তৃতীয় , খন্ড – ৮, পৃ – ২৬ ।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের চার ইমামের অন্যতম ,
ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) , আহলে বায়েত (আঃ) এর শানে নিম্নলিখিত ভক্তিপূর্ন বানী বর্ননা করেছেন –
ان كان رفضاً حب آل محمد***فليشهد الثقلان اني رافضي
” যদি কেবল মুহাম্মাদ (সাঃ) এর পবিত্র আহলে বায়েত (আঃ) গনের প্রতি ভালবাসা রাখলেই , মানুষ ” রাফেযী ” হয়ে যায় , তবে বিশ্ব জগতের সমস্ত জ্বীন ও মানব সাক্ষী থাকুক যে , আমিও একজন ” রাফেযী ” ।
সূত্র – কোরআনুল করিম , পৃষ্ঠা – ১২১৫ (মহিউদ্দিন খান) / ইয়া নাবিউল মুয়াদ্দাত , পৃ- ৫৭৭ (শেয়খ সুলাইমান কান্দুযী হানাফী) / আরজাহুল মাতালেব , পৃ – ৮৮৬ (ওবাইদুল্লাহ ওমরিতসারি) / দিওয়ানে শাফেয়ী, পৃ – ৫৫ / ইবনে আসাকির , তারিখে দামিশক্ব, খন্ড – ৯, পৃ – ২০ ।
পাঠক ,
এই প্রসংগে আরেকটি তথ্য দিচ্ছি যে , আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সাঃ) কতৃক অনুমোদিত নয় এবং সম্পূর্ন অবৈধভাবে গঠিত বনু সকীফার নাটক পরিত্যাগকারীগনকে রাফেজী বলা হয় ।
কেননা তারা বনু সকীফাকে পরিত্যাগ করেছে ।
SKL