রাসুল (সাঃ) এর পবিত্র আহলে বায়েত (আঃ) হচ্ছেন নক্ষত্রতুল্য —
নবীজী (সাঃ) এর পবিত্র আহলে বায়েত (আঃ) এর উদাহরন হচ্ছেন নক্ষত্রের মত —
মহানবী (সাঃ) বলেন যে ,
আমার উম্মতের মধ্যে আমার আহলে বায়েতের উদাহরন হল আকাশের নক্ষত্র বা তারার মত । যখন এদের একটি অস্ত যাবে তখন অন্যটি উদিত হবে ।
যাঁরা হলেন পুতঃপবিত্র ইমাম (অাঃ) গন — পথ প্রর্দশনকারী এবং পথপ্রাপ্ত ।
না তাঁদের বিরুদ্বে ষড়যন্ত্রকারীর ষড়যন্ত্র আর না তাঁদেরকে সাহায্য করতে অস্বীকারকারীর সাহায্যের প্রত্যাখ্যান তাঁদের ক্ষতি করবে । বরং মহান আল্লাহ তাদেরই ক্ষতি করবেন যারা তাঁদের বিরুদ্বে ষড়যন্ত্র করে এবং সাহায্য করতে অস্বীকার করে ।
তাঁরা পৃথিবীতে আল্লাহর প্রমানসমূহ ও কতৃপক্ষ এবং সকল সৃষ্টিসমূহের উপর তাঁর সাক্ষ্যসমূহ ।
যে তাঁদের আনুগত্য করল প্রকৃতপক্ষে সে আল্লাহরই আনুগত্য করল আর যে অবাধ্য হল সে আল্লাহরই অবাধ্য হল ।
তাঁরা কোরআনের সাথে এবং কোরআন তাঁদের সাথে ।
কোরআন হচ্ছে নির্বাক গ্রন্থ এবং তাঁরা হচ্ছেন সবাক কোরআন ।
না তাঁরা কোরআন থেকে বিছিন্ন হবে আর না কোরআন তাঁদের থেকে বিছিন্ন হবে যতক্ষন পর্যন্ত না তাঁরা হাউযে কাওসারে আমার সাথে মিলিত হয় ।
সর্বপ্রথম ইমাম হল আমর ভাই ইমাম আলী (আঃ) , যে তাঁদের মধ্যে সর্বোত্তম , এরপর আমার সন্তান (নাতি) হাসান (আঃ) এবং এরপর আমার সন্তান (নাতি) হোসেন (আঃ) ও এরপর হোসেন (আঃ) এর পুত্রদের মধ্য থেকে পর্যায়ক্রমে নয় জন ।
সূত্র – আল- গাইবাত লিল নুমানী , ৮৪/১২ ; কিতাবে সুলাইম ইবনে ক্বাইস , ২/ ৬৮৬/ ১৪ ; ফাযায়িল লি শাযান ইবনে জিবরাঈল – ১১৪ ।
এ প্রসংগে মহানবী (সাঃ) আরও বলেন যে ,
আমার আহলে বায়েতের অবস্থানকে দেহের সাথে মাথা এবং মাথার সাথে দুটো চোখের মত গন্য কর । কারন দেহ পথ পাবে না মাথা ছাড়া এবং মাথা পথপ্রাপ্ত হবে না দুটো চোখ ছাড়া ।
সূত্র – আমালী আত তুসী , ৪৮২/ ১০৫৩ ; কাশফুল গুম্মাহ , ২/ ৩৫ ।
এ প্রসংগে মহানবী আরও বলেন ,
যে মারা যায় কিন্ত তার গলায় আমার পবিত্র আহলে বায়েতের আনুগত্যের প্রতীজ্ঞা থাকে না , সে মারা যায় জাহেলিয়াতের মৃত্যুর মত ।
সূত্র – সহীহ মুসলিম , ৩/ ১৪৭৮/ ১৮৫১ ; আল- সুনান আল- কুবরা , ৮/ ২৭০/ ১৬৬১২ ।
লেখাটি কুরআন ও হাদিসে মহানবী (সাঃ) এর আহলে বাইত (আঃ)
মূল – আয়াতুল্লাহ মুহাম্মাদ মুহাম্মাদি রেইশাহরি ,
অনুবাদে – এ , কে , এম , রাশিদুজ্জামান , ওয়াইজম্যান পাবলিকেশনস ,
পৃষ্ঠা – ৬৪ , ৬৬ , ৬৮ থেকে সংকলিত ও সংগৃহীত ।
SKL