—— ঐ দশ জনই ছিলো জারজ কুলাঙ্গার ।
বর্নিত আছে , উমর বিন সাদ তার সাঙ্গপাঙ্গদের মাঝে উচ্চ কন্ঠে বললো , ” তোমাদের মধ্যে কে স্বেচ্ছায় হোসাইনের দেহের উপর ঘোড়া চালাবে “?
তাদের মধ্যে দশজন স্বেচ্ছায় তা করার জন্য এগিয়ে এলো ।
তাদের মধ্যে ছিল ইসহাক বিন হেইওয়াহ হাযরামি , যে ইমাম হোসাইন (আঃ) এর জামা লুটে নিয়েছিল । কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত হয়ে পরে শয্যাশায়ী হয়ে ঐ অবস্থায় মৃত্যুবরন করেছিল । যাইহোক তারা এগিয়ে এলো এবং ঐ পর্যন্ত ঘোড়া দাবড়ালো যতক্ষন পর্যন্ত না ইমামের (আঃ) পিঠ ও বুক ভেঙ্গে পিশে গিয়েছিল ।
এ ঘটনার পর আহবার বিন মারশাদ যুদ্বক্ষেত্রে দাড়িয়ে ছিল , তখন অজানা একটি তীর এসে তাকে বিদ্ব করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় ।
অন্যরা ছিল , আখনাস বিন মুরসিদ , হাকিম বিন তুফাইল সুমবোসি , উমর বিন সাবীহ সাইদাউই , রাজাবিন মানকায আবাদি , সালীম বিন খাইসামাহ জুফী , ওয়াহেয বিন নায়েম , সালেহ বিন ওয়াহাব জুফী , হানি বিন সাবীত হাযরামি এবং উসাইদ বিন মালিক ( আল্লাহর অভিশাপ তাদের সকলের উপর ) ।
ঐ দশজন উবায়দুল্লাহর কাছে আসে এবং উসাইদ বিন মালিক তাদের মধ্যে থেকে বলে যে , ” আমরা শক্তিশালী ঘোড়ার ক্ষুর দিয়ে পিঠ এবং বুক পিষেছি “।
( উবায়দুল্লাহ ) ইবনে যিয়াদ বললো , ” তোমরা কারা “?
তারা বললো ,” আমরা হোসাইনের পিঠ ঘোড়ার পায়ের নীচে পিষ্ঠ করেছি যতক্ষন পর্যন্ত না তার বুকের হাড় গুড়ো গুড়ো হয়ে যায় “।
উবায়দুল্লাহ তাদেরকে কিছু উপহার দিল ।
আবু আমর যাহিদ বলে যে , আমরা ঐ দশজন সম্পর্কে প্রচুর অনুসন্ধান করে এই সিদ্বান্তে উপনীত হয়েছি যে , তারা সবাই ছিল জারজ ।
পরবর্তী সময় মুকতার তাদের সবাইকে গ্রেফতার করেন এবং তাদের হাত ও পা লোহার বেড়ায় বাধেন । এরপর তিনি আদেশ দেন ঘোড়া চালিয়ে তাদের পিঠ পিষ্ট করতে , যতক্ষন পর্যন্ত না তাদের মৃত্যু হয়
সম্মাানীত পাঠক ,
যদি সম্ভব হয় , ” মুকতার এ সাকাফী ” নামক ছবিটা সংগ্রহ করে দেখুন । ঐ ছবিতে কারবালার হত্যাকারীদের হত্যা করা থেকে তৎকালীন সময়ের ঘটনা বিস্তারিত দেখানো হয়েছে । এমনকি ঈয়াজীদ কতৃক কাবা ঘরে আগুন দেয়া সহ অনেক কিছু । ছবিটি উর্দু ডাবিংসহ ৪০ পর্বে বাংলাদেশে পাওয়া যাচ্ছে । তবে দোকানে নয় , ব্যক্তিগত সংগ্রহে ।
— শোকার্তের ইতিহাস ,
শেখ আব্বাস কুম্মি ,
পৃ- ৩০০ ছায়া অবলম্বনে ।
SKL