পবিত্র কোরআন এবং রাসুল (সাঃ) এর সুন্নাত —
“ – গ্রহন কর যা রাসুল তোমাদের দেয় এবং পরিত্যাগ কর যা সে তোমাদেরকে নিষেধ করে এবং আল্লাহ সম্পর্কে সতর্ক হও । নিশ্চয়ই আল্লাহ উপযুক্ত শাস্তি দানে অত্যন্ত কঠোর — ।“
সুরা – হাশর / ০৭ ।
ইমাম হোসেন (আঃ) এর জন্ম যখন হয় তখন রাসুল (সাঃ) খুবই আনন্দিত হন ।
কিন্ত কিছুক্ষন পরেই রাসুল (সাঃ) সদ্যজাত শিশু হোসেন (আঃ) কে জড়িয়ে ধরে ক্রন্দন শুরু করে দিলেন ।
কান্নার এই কারনটি জানতে চাইলে রাসুল (সাঃ) যা বললেন তা হল যে , হযরত জীবরাঈল (আঃ) এইমাত্র তাঁকে জানিয়ে দিলেন যে , আদরের এই নাতিকে কারবালা প্রান্তরে অত্যন্ত মর্মান্তিক ভাবে জবাই করে হত্যা করবে রাসুল (সাঃ) এর নামধারী কিছু উম্মত !
এই সংবাদটি শোনার পরে জগত সংসারে ইমাম হোসেন (আঃ) এর শোকে স্বয়ং রাসুল (সাঃ) নিজে সর্বপ্রথম কান্না , শোক ও মাতম করেছিলেন ।
তথ্যটি পুনরায় বলা হচ্ছে যে , জগত সংসারে রাসুল (সাঃ) হলেন সর্বপ্রথম মাতমকারী ব্যক্তি – যিনি স্বয়ং নিজে ইমাম হোসেন (আঃ) এর শোকে কান্না , শোক ও মাতম করেছিলেন ।
কারবালার শহীদদের স্মরনে দুনিয়ার সকল বার ইমামীয়া শীয়ারা পবিত্র কোরআনে উল্লেখিত আয়াত মোতাবেক রাসুল (সাঃ) এর সুন্নাত অর্থাৎ শোক , মাতম এবং আযাদারীর সুন্নাত পালন করে আসছে ।
কোরআনের এই আয়াতটি যতদিন থাকবে অর্থাৎ রোজ কেয়ামত পর্যন্ত বার ইমামীয়া শীয়ারা রাসুল (সাঃ) এর সুন্নাত মোতাবেক ইমাম হোসেন (আঃ) স্মরনে শোক , মাতম , ক্রন্দন করে যাবেই যাবে ।
অতএব , যিনি বা যারা শোক , মাতম এবং আযাদারী নিয়ে বিরুপ কুৎসিত মন্তব্য করে আনন্দিত ও পুলকিত হন তারা কিছুটা ভেবে দেখুন যে , আপনার এই তুচ্ছ তাচ্ছিল্য মন্তব্য প্রকারন্তরে কোথায় গিয়ে আঘাত হানছে !
এছাড়াও বার ইমামীয়া শীয়ারা পবিত্র কোরআনের এই আয়াত মোতাবেক নবীজী (সাঃ) এর পবিত্র আহলে বাইত তথা ইমাম হোসেন (আঃ) কে অত্যন্ত ভালবাসে ।
“ – বল , আমি এর জন্য তোমাদের কাছে কোন পুরস্কার চাই না , শুধু আমার রক্তজ বংশধরদের প্রতি গভীর ভালবাসা ছাড়া – “ ।
সুরা – শুরা / ২৩ ।
সত্যিকার অর্থে প্রকৃত মানুষ মাত্রই প্রিয়জনের দুঃখ কষ্টে আবেগ তাড়িত হয় , শোকে ব্যথিত হয় । এটাই হচ্ছে আদমিয়াত ।
আদিপিতা হযরত আদম (আঃ) এর প্রকৃত সুসন্তান হলে ঐ সন্তান অবশ্যই তার প্রিয়জনের দুঃখ কষ্টে শোকাহত হবেই হবে ।
যাহোক ,
এখন আপনি একজন মুসলমান হিসাবে রাসুল (সাঃ) এর শোকের সুন্নাত পালন করবেন কি করবেন না – সেটা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত অভিরুচী ।
দয়া করে এই কথাটি ভুলে যাবেন না যে , রাসুল (সাঃ) এর শোকের সুন্নাত পালনকারী কোন মুসলমান হোক সে শীয়া অথবা সুন্নি — শোক পালন নিয়ে অযথা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য মন্তব্য না করাই শ্রেয় ।
ইমাম হোসেন (আঃ) এর জন্য শোক পালন — এই নেয়ামতটি সবার কপালে কিন্ত জোটে না !
কেননা কারবালার অপর প্রান্তে ঈয়াযীদের অনুসারীগনেরা নিজেদেরকে মুসলমান দাবী করত ।
SKL