জাকাত ও দান সংগ্রহের জন্য প্রেরিত একজন অফিসারকে এ নির্দেশ দিয়েছিলেন। তোমার গোপন বিষয় ও গোপন আমল যা আল্লাহ ব্যতীত আর কেউ দেখে না এবং যাতে কোন সাক্ষী নেই। সে সব বিষয়ে আল্লাহকে ভয় করো। আল্লাহর আনুগত্য স্বীকারে তুমি প্রকাশ্যে যা কর গোপনে যেন তার ব্যতিক্রম না হয় । যার জাহের ও বাতেনে কোন ব্যবধান নেই এবং যার কথায় ও কাজে কোন ব্যবধান নেই তার ইবাদত পবিত্র। জনগণকে অপদস্ত করো না, তাদের সাথে রূঢ় আচরণ করো না এবং সরকারি ক্ষমতার কারণে তাদের কাছ থেকে দূরে সরে থেকে না। তারা ইমানি ভাই এবং করা আদায়ে তাদেরকে সাহায্য করো। নিশ্চয়ই, আদায়কৃত করে তোমার একটা নির্ধারিত অংশ ও সুপরিজ্ঞাত অধিকার আছে। মনে রেখো, এ করে অন্য অংশীদারও রয়েছে যারা দরিদ্র, দুর্বল ও বুভুক্ষু। আমরা তোমার অধিকার রক্ষা করবো। সুতরাং তুমি তাদের অধিকার রক্ষা করো। যদি তুমি তা না কর তবে শেষ বিচারে তোমার শক্ৰ সংখ্যা হবে অগণন। সে ব্যক্তি কতই না হতভাগা আল্লাহর দৃষ্টিতে যার শক্ৰ অভাবগ্ৰস্ত, দুঃস্থ, ভিক্ষুক, ঋণগ্রস্ত ও কপর্দকহীন ভ্ৰমণকারী। যে বিশ্বস্ততাকে হালকাভাবে গ্রহণ করে, বিশ্বাসঘাতী কাজে লিপ্ত হয় এবং নিজকে ও নিজের ইমানকে স্বচ্ছ রাখে না, সে ইহকাল ও পরকালের জন্য অপদস্থতা সংগ্রহ করে। নিঃসন্দেহে, মুসলিম উম্মার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা সব চাইতে বড় বিশ্বাসঘাতকতা এবং সব চাইতে বড় প্রবঞ্চনা হলো মুসলিম নেতার সাথে প্রবঞ্চনা করা। বিষয়টি এখানে শেষ করলাম।