আমিরুল মোমেনিনের সম্পদ বন্টন বিষয়ে সিফফিন থেকে ফিরে এসে লেখেছিলেন এটা হলো তা, যা আল্লাহর বান্দা আলী ইবনে আবি তালিব আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তার সম্পত্তি’ সম্বন্ধে নির্ধারণ করেছে যার জন্য আল্লাহ তাকে বেহেশত নাসিব করে শান্তি দিতে পারেন। আমার সম্পত্তি হাসান ইবনে আলী পরিচালনা করবে। এটা থেকে তার জীবিকার জন্য যথোপযুক্ত অংশ গ্রহণ করবে এবং অবশিষ্টাংশ জাকাত হিসাবে দান করবে। যদি হাসানের মৃত্যু হয় এবং হুসাইন বেঁচে থাকে। তবে হুসাইন তা পরিচালনা করবে। সেও হাসানের মতো জীবিকা গ্রহণ করে অবশিষ্টাংশ দান করবে। ফাতিমার দুপুত্রের দাতব্য সম্পত্তিতে আলীর অন্যান্য পুত্রদেরও সমান অধিকার থাকবে। আল্লাহ ও রাসুলের সন্তুষ্টি ও নৈকট্যের জন্য আমি ফাতিমার পুত্রদের পরিচালনার অধিকার দিয়েছি এবং রাসুলের জ্ঞাতিত্বের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেই আমি এটা করেছি। এ সম্পত্তির পরিচালকের জন্য এটা অবশ্য কর্তব্য যে, সে তা অবিকল রাখবে এবং এর আয় যেভাবে নির্দেশ দিয়েছি সেভাবে ব্যয় করবে । সে এ গ্রামগুলোর কোন চারাগাছ বিক্রি করতে পারবে না। যতক্ষণ তা বৃক্ষে পরিণত না হয়। আমার দাসীদের মধ্যে যদি কারো সন্তান থেকে থাকে অথবা গর্ভবতী থেকে থাকে। তবে সে সন্তানের খাতিরে থেকে যাবে এবং সে তার অংশ পাবে। যদি সন্তান মারা যায় এবং সে বেঁচে থাকে। তবে সে মুক্ত হয়ে যাবে এবং কোন বন্ধন থাকবে না।
১। মদিনা, ইয়াম্বু ও সুয়েকাতে আমিরুল মোমেনিন বহু কুপ খনন করে পানির ব্যবস্থা দ্বারা বহু পতিত ও অনুর্বর জমি চাষাবাদ করেছিলেন। এ সম্পত্তি তার নিজের। তবুও এটা তিনি মুসলিমদের জন্য ট্রাষ্ট করে পরিত্যাগ করলেন (হাদীদ”** ৫ম খন্ড, পৃঃ ১৪৬)