জুবায়র সম্পর্কে সে বলে বেড়ায় যে, সে আমার হাতে হাত রেখেই বায়াত গ্রহণ করেছে কিন্তু অন্তর” দিয়ে তা করে নি। সুতরাং সে এমন বায়াত স্বীকার করে না। সে বায়াত গ্রহণ করেছে; এখন যদি দাবি করে যে তার অন্তরে বিপরীত ভাবে লুক্কায়িত ছিল তা হলে সে স্পষ্ট দলিল নিয়ে আসুক। অন্যথায়, যেখান থেকে সে বেরিয়ে এসেছে সেখানে ফিরে যাক (অর্থাৎ বায়াত মেনে চলুক)।
১। জুবায়র ইবনে আওয়াম আমিরুল মোমেনিনের হাতে হাত রেখে বায়াত গ্রহণ করেছিল। যখন সে বায়াত ভঙ্গ করে আমিরুল মোমেনিনের বিরোধিতা শুরু করলো তখন সে নানা প্রকার ওজর দেখাতে লাগলো। কখনো সে বলতো, তাকে জবরদস্তি করে বায়াত করা হয়েছে; আবার কখনো বলতো, সে লোক দেখানো বায়াত গ্রহণ করেছে, তার অন্তরে বিপরীত ধারণা ছিল। কাজেই এরকম বায়াত সে স্বীকার করে না। সে নিজের ভাষায় তার বাইরের ও ভেতরের কপটতা স্বীকার করেছে। যদি জুবায়ের সন্দেহ পোষণ করে থাকে যে, আমিরুল মোমেনিনের জেদের কারণে উসমান নিহত হয়েছে। তবে বায়াত গ্রহণের জন্য হাত বাড়াবার সময় তা তার মনে থাকার কথা। আসলে আমিরুল মোমেনিনের হাতে বায়াত গ্রহণের পিছনে তার অনেক প্রত্যাশা ছিল। উসমানের জ্ঞাতি-গোষ্ঠী জনগণের সম্পদ যে ভাবে লুটপাট করেছে এবং রাষ্ট্ৰীয় ক্ষমতা দখল করেছে। আমিরুল মোমেনিনের সময় তা অসম্ভব দেখে জুবায়ের হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এছাড়া অন্য কারো কাছ থেকে তার আশার প্রভাত (আলো) দেখা দেয়াতে সে অহেতুক উসমান হত্যার ধুয়া তুলেছে।