আমর ইবনে আ’স সম্পর্কে
নাবিঘার পুত্রের কথা শুনে আমার বিস্ময় লাগলো। সে শ্যামবাসীদের কাছে আমার সম্পর্কে বলে বেড়াচ্ছে যে, আমি একজন ভাড় এবং আমি কৌতুক আর ঠাট্টা বিদ্রুপে নিয়োজিত। সে ভুল বলছে এবং পাপ-কথা বলছে। সাবধান, সেটাই নিকৃষ্টতম কথা যা অসত্য। সে কথা বললে মিথ্যা বলে এবং ওয়াদা করলে তা ভঙ্গ করে। সে যখন যাচুনা করে তখন তাতে লেগেই থাকে, কিন্তু তার কাছে কেউ কিছু চাইলে সে কৃপণের মত হাত গুটায়। সে বিশ্বাসঘাতকতা করে ওয়াদা ভঙ্গ করে এবং আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করে। যুদ্ধে সে হাঁক-ডাক দিয়ে আদেশ-নির্দেশ দেয়। কিন্তু তার এ হাঁক-ডাক তরবারি কার্যকর হবার পূর্ব পর্যন্তই চলে। যুদ্ধ শুরু হলে সে যখন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয় তখন তার বড় চাতুরী হলো উলঙ্গ’ হয়ে যাওয়া। আল্লাহর কসম, মৃত্যুর স্মরণ আমাকে ক্রীড়া-কৌতুক থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে। অপরপক্ষে পরকালের বিস্মৃতি তাকে সত্য কথা বলা থেকে বিরত রেখেছে। সে বিনা স্বার্থে মুয়াবিয়ার আনুগত্য স্বীকার করে নি, পূর্বেই মুয়াবিয়াকে রাজি করিয়েছিলো যে, তাকে উপযুক্ত মূল্য দিতে হবে এবং ধর্ম ত্যাগের জন্য মুয়াবিয়াও তাকে পুরস্কৃত করেছিলো।
১ । আমিরুল মোমেনিন। এখানে মিশর বিজয়ী আমর ইবনে আসের সাহসের বহরের প্রতি ইঙ্গিত করে একথা বলেছেন। ঘটনাটি হলো, সিফফিনের যুদ্ধের এক পর্যায়ে সে আমিরুল মোমেনিনের মুখোমুখি হয়েছিল। আমিরুল মোমেনিন তাকে লক্ষ্য করে তরবারি তুলতেই সে উলঙ্গ হয়ে গেল। এতে আমিরুল মোমেনিন মুখ ফিরিয়ে নিলেন এবং সে রক্ষা পেয়ে গেল। আরবের বিখ্যাত কবি আল-ফারাজদাক এ সম্পর্কে বলেছেনঃ
নেই কোন সুনাম, যা করেছে আমর ইবনে আ’স একদিন করে তার গুপ্তাঙ্গ প্রদর্শন।
জীবন রক্ষার এহেন চাতুরী সর্বপ্রথম ওহুদের যুদ্ধে সংঘটিত হয়েছিল। ওহুদের যুদ্ধে তালহা ইবনে আবি তালহা আমিরুল মোমেনিনের মুখোমুখি হলে তিনি আঘাত হানতে যাবেন। এসময়ে সে ভয়ে উলঙ্গ হয়ে গিয়েছিল এবং আমিরুল মোমেনিন তাকে আঘাত না করে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। আমারের পর বুশর ইবনে আবি আরতাত আমিরুল মোমেনিনের মুখোমুখি হলে একই উপায়ে জীবন রক্ষা করেছিল।