জা’দাহ ইবনে হুবায়রাহ আল-মখযুমির’ খোৎবা প্রদানের অক্ষমতা প্রসঙ্গে জেনে রাখো, জিহ্বা মানুষের শরীরের একটা অংশ। যদি মানুষ এটাকে নিবৃত্ত রাখে। তবে বক্তব্য তাকে সহযোগিতা করবে না। আর যদি এটাকে প্রসারিত করা হয় তবে বক্তব্য তাকে থেমে যাবার সুযোগ দেবে না। নিশ্চয়ই, আমরা বক্তৃতার মাষ্টার। বক্তৃতার শিরা-উপশিরা আমাদের মাঝে নির্ধারিত এবং এর শাখা-প্ৰশাখা আমাদের ওপর ঝুলে আছে। জেনে রাখো— তোমাদের ওপর আল্লাহর আশীৰ্বাদ বর্ষিত হোক, তোমরা এমন এক সময়ে রয়েছে। যখন ন্যায় কথা বলার লোকের সসংখ্যা নগণ্য — যখন সত্য বিষয় বলতে জিহবা আড়ষ্ট হয়ে আসে এবং যারা ন্যায়ের প্রতি অটল থাকে। তারা অবমানিত হয়। এখনকার মানুষ অবাধ্যতায় লিপ্ত। এখনকার যুবকেরা দুষ্ট প্রকৃতির, বৃদ্ধরা পাপী, শিক্ষিতগণ মোনাফিক এবং বক্তারা তোষ্যমুদে। এদের বয়ঃকনিষ্ঠরা বয়ঃজ্যেষ্ঠকে শ্রদ্ধা করে না এবং এদের ধনীগণ দরিদ্রকে সাহায্য করে না।
১। একদা আমিরুল মোমেনিন তাঁর ভাগিনেয় জা’দাহ্ ইবনে হুবায়রাহ আল-মখযুমিকে খোৎবা দেয়ার জন্য বলেছিলেন। কিন্তু বক্তৃতায় দাঁড়ালে তার জিহ্বা তোতলাতে শুরু করেছিল। এতে সে কোন কিছুই উচ্চারণ করতে
পারে নি। এঅবস্থায় আমিরুল মোমেনিন। মিম্বারে আরোহণ করে একটা সুদীর্ঘ খোৎবা প্ৰদান করেছিলেন। সে খোৎবার কিছু অংশ আল-রাজী এখানে সংকলন করেছেন।