জামালের যুদ্ধের জন্য জনগণ যখন বসরা অভিমুখে যাত্রা করেছিলো তখন আমিরুল মোমেনিন বলেনঃ এতে কোন সন্দেহ নেই যে, মহিমান্বিত আল্লাহ একটা বাগী কিতাব ও একটা স্থায়ী আদেশসহ রাসুলকে (সঃ) পথ প্রদর্শক হিসাবে প্রেরণ করেছেন। নিজেকে নিজে ধ্বংসকারী ছাড়া এর দ্বারা আর কেউ ধ্বংস হবে না। নিশ্চয়ই, বিদা’ত ধ্বংসের কারণ যদি না তা থেকে আল্লাহ কাউকে রক্ষা করেন। তোমাদের কর্মকান্ডের নিরাপত্তা আল্লাহর কর্তৃত্বের মধ্যে নিহিত। সুতরাং তাঁর এমন আনুগত হও যা হবে দোষ-ত্রুটিমুক্ত ও গভীরভাবে আন্তরিক। আল্লাহর কসম, তোমরা দোষ-ত্রুটি মুক্ত আন্তরিক আনুগত্য স্বীকার না করলে আল্লাহ তোমাদের কাছ থেকে ইসলামের শক্তি কেড়ে নিয়ে যাবেন এবং আর কোন দিন তা ফিরিয়ে না দিয়ে অন্যের ওপর তা অর্পণ করবেন। নিশ্চয়ই, এসব লোক আমার কর্তৃত্ব অস্বীকার করতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। আমি তোমাদের মধ্যে অনৈক্য দেখা পর্যন্ত সহ্য করে যাব। কারণ তাদের অসার ও অযৌক্তিক মতের ফলেও যদি তারা কৃতকার্য হয় তবে সমগ্র মুসলিম সংগঠন ভেঙ্গে চূৰ্ণবিচূর্ণ হয়ে যাবে। তারা ঈৰ্ষাপরায়ণ হয়ে দুনিয়ার প্রতি লালায়িত হয়ে পড়েছে। তারা এমন একজনকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায় যাকে আল্লাহ তা দান করেছেন। সুতরাং তারা সকল বিষয়কে তাদের অতীতে (জাহেলি যুগে) ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায়। অপরপক্ষে, তোমাদের খাতিরে মহিমান্বিত আল্লাহর কিতাবকে (কুরআন) মেনে চলা আমাদের জন্য বাধ্যতামূলক। আল্লাহর রাসুলের (সঃ) আচরণ বিধি, আল্লাহর অধিকার রক্ষা করা ও সুন্নাহ পুনরুজীবিত করে তা কায়েম রাখাও আমাদের জন্য বাধ্যতামূলক।