রাসুল (সঃ), পবিত্র কুরআন ও উমাইয়াদের স্বৈরাচার সম্পর্কে আল্লাহ্ রাসুলকে (সঃ) এমন এক সময় প্রেরণ করেছিলেন যখন পৃথিবীতে বেশ কিছু সময়ের জন্য কোন পয়গম্বর ছিল না। মানুষ দীর্ঘকাল ধরে নিদ্রাচ্ছন্ন ছিল এবং রাশির পাক শ্লথ হয়ে গিয়েছিল। রাসুল (সঃ) এমন এক কিতাব নিয়ে এসেছিলেন যাতে রয়েছে পূৰ্ববতী কিতাবসমূহে যা ছিল তার সমর্থন ও অনুসরণীয় আলো। এ কিতাব হলো কুরআন, যদি তোমরা একে কথা বলতে বল তবে তা কথা বলতে পারবে না; কিন্তু আমি এর সম্পর্কে বলবো, তোমরা জেনে রাখো যে, এতে রয়েছে যা কিছু ঘটবে তার জ্ঞান, অতীতের ঘটনা প্রবাহ, তোমাদের রোগের নিরাময় ও যাকিছু তোমাদের মুখোমুখি হয় তার নিয়মকানুন।
সে সময় এমন কোন ঘর বা তাবু থাকবে না যেখানে জালেমগণ শোকের ছায়া ঢুকিয়ে দেবে না। এবং নিপীড়ন প্রবেশ করবে না। সেই দিনগুলোতে জনগণের অভিযোগ শুনার জন্য আকাশে কেউ থাকবে না এবং তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসার মতো মাটিতে কেউ থাকবে না। তোমরা এমন লোককে প্রশাসনের (খেলাফত) জন্য মনোনীত করেছে যে তার যোগ্য নয় এবং তোমরা তাকে এমন পদমর্যাদায় উঠিয়ে দিয়েছে যা তার জন্য প্রযোজ্য নয়। সহসাই আল্লাহ তাদের থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করবেন যারা জুলুম করেছে—সেই প্রতিশোধ হবে খাদ্যের বদলে খাদ্য ও পানীয়ের বদলে পানীয়। তাদেরকে খাবার জন্য কোলেসিনথ (শশার মতো বিষাক্ত ফল) এবং পান করার জন্য গন্ধরস ও ঘূতকুমারী পাতার রস দেয়া হবে। এ সমস্ত খাদ্য ও পানীয়ের যন্ত্রণায় তাদের ভেতরের দিক জুলবে এবং বাইরের খোলস তরবারির ভয়ে সন্ত্রস্ত থাকবে ।
তারা ভারবাহী জাভুর মতো পাপের ভার বয়ে বেড়াবে এবং উটের সওয়ারের মতো কুকর্মের সওয়ার হবে। আমি শপথ করে বলছি—আবার শপথ করে বলছি যে, উমাইয়াগণ খেলাফতকে মুখের শ্লেষার মতো থু করে ফেলে দেবে এবং তারপর আর কোন দিন এর স্বাদ গ্রহণ করতে পারবে না। যতদিন দিবারাত্র থাকবে ততদিন তারা আর খেলাফতের ঘাণ গ্ৰহণ করতে পারবে না।