পয়গম্বর প্রেরণ সম্পর্কে
মহিমান্বিত আল্লাহ পয়গম্বরগণকে মনোনীত করে তাঁর প্রত্যাদেশ দ্বারা তাদেরকে বৈশিষ্ট্যমন্ডিত করেছিলেন। তিনি পয়গম্বরগণকে তাঁর বান্দাদের কাছে প্রেরণ করেছিলেন যেন তারা কোন ওজর পেশ করতে না পারে যে, তাদের কোন পথ প্রদর্শক (হেদায়েতকারী) ছিল না। পয়গম্বরগণ মানুষকে সত্যবাদিতার সাথে সৎ ও সঠিক পথের দিকে আমন্ত্রণ করেছিলেন। মনে রেখো, মহান আল্লাহ তাঁর সৃষ্টি সম্পর্কে সবিশেষ পরিজ্ঞাত। এমন নয় যে, তিনি তাদের গোপন বিষয় ও অন্তরের অনুভূতি সম্পর্কে অবহিত নন। তবুও তাদের মধ্যে ভালো ও মন্দ আলাদা করার জন্য তিনি তাদের বিচার করেন যাতে ভালো কাজের জন্য পুরস্কার ও মন্দ কাজের জন্য শাস্তি প্রদান করা যায়।
আহলুল বাইতের মর্যাদা সম্পর্কে
কোথায় সেসব লোক যারা মিথ্যা ও অন্যায়ভাবে দাবি করেছিল যে, তারা আমাদের চেয়ে গভীর জ্ঞানের অধিকারী। অথচ আল্লাহ আমাদেরকে মর্যাদায় উন্নত করেছেন আর তাদেরকে হীন করেছেন; আমাদেরকে প্রজ্ঞা দান করেছেন আর তাদেরকে তা থেকে বঞ্চিত করেছেন; আমাদেরকে জ্ঞানের নগরদূর্গে প্রবেশাধিকার দিয়েছেন আর তাদেরকে সেই নগরী থেকে বাইরে রেখেছেন। আমাদের কাছেই হেদায়েতের প্রত্যাশী হতে হবে এবং গোমরাহির অন্ধত্ব পরিবর্তন করে উজ্জ্বল আলো পেতে হলে আমাদের কাছেই আসতে হবে। নিশ্চয়ই, ইমামগণ (আধ্যাত্মিক নেতা) কুরাইশ বংশের হাশিমি শাখা থেকেই হবে। এ নেতৃত্ব অন্য কারো জন্য প্রযোজ্য নয় এবং অন্য কেউ এ কাজের যোগ্যও নয়। তারা দুনিয়াকে আঁকড়ে ধরেছে এবং পরকালকে পরিত্যাগ করেছে। তারা স্বচ্ছ পানি পরিত্যাগ করে ঘোলাটে অপবিত্র পানি পান করেছে। তাদের মধ্য থেকে নিষ্ঠুরটিকে” আমি দেখতে পাচ্ছি, যে অনবরত হারাম (বেআইনি) কাজে লিপ্ত থাকবে, অন্যায়কারীদের সাথে সখ্যতা করবে এবং তার চুল না পাকা পর্যন্ত এ সখ্যতা টিকে থাকবে এবং তার স্বভাব অন্যায়কারীদের রঙে রঞ্জিত হবে। সে (অন্যায়ের পথে) এগিয়ে যাবে প্রবলবেগে প্রবাহিত স্রোত থেকে নিৰ্গত ফেনার মতো যা কখনো খেয়াল করে না যে, কাকে ডুবিয়ে দিচ্ছে অথবা খড়ের আগুনের মতো যা বুঝতে পারে না। কী সে পুড়িয়ে দিচ্ছে। কোথায় সেসব মন যা হেদায়েতের প্রদীপ থেকে আলোর সন্ধান করে? কোথায় সেসব চোখ যা তাকওয়ার মিনারের দিকে তাকায়? কোথায় সেসব হৃদয় যা আল্লাহর প্রতি উৎসগীকৃত ও তার আনুগত্যের প্রতি অনুরক্ত? তারা সকলে আসার জাগতিক বিষয়ের চারদিকে ভিড় জমিয়েছে এবং তারা হারাম বিষয় নিয়ে বিবাদে লিপ্ত। তাদের জন্য জান্নাত ও জাহান্নামের ব্যানার উত্তোলিত হয়েছে কিন্তু তারা তাদের কর্মকান্ড দ্বারা জান্নাত থেকে মুখ ফিরিয়ে জাহান্নামের দিকে এগিয়ে গেছে। আল্লাহ তাদের আহবান করেছিলেন। কিন্তু তারা তা অপছন্দ করে দৌড়ে পালিয়েছে। যখন শয়তান তাদের আহবান করলো তখন তারা সাড়া দিয়ে পাগলপ্রায় হয়ে দৌড়ে এগিয়ে গেল।
১। এখানে আবদাল মালেক ইবনে মারওয়ানের প্রতি ঈঙ্গিত করা হয়েছে। সে তার অফিসার হাজাজ ইবনে ইউছুফের দ্বারা চরম নৃশধ্বংসতা সংঘটিত করিয়েছিল।