সময়ের উৎখান-পতন সম্পর্কে
আল্লাহ সর্বপ্রকার প্রথমের প্রথম এবং সকল শেষের অবশিষ্ট। তাঁর প্রথমতা অপরিহার্য করে তোলে এ জন্য যে, তাঁর পূর্বে অন্য কোন প্রথম নেই এবং তাঁর অবশিষ্টতা অপরিহার্য করে তোলে এ জন্য যে, তাঁর পরে অন্য কোন কিছু অবশিষ্ট নেই। আমি প্রকাশ্যে ও গোপনে, হৃদয়ে ও মুখে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন মান্বুদ নেই।
হে লোকসকল, আমার বিরোধিতা করার অপরাধ করো না। আমাকে অমান্য করার কাজে প্রলুব্ধ হয়ো না এবং যখন আমার কথা শোন তখন একে অন্যের সাথে চোখ ঠারাঠারি করো না। যিনি বীজ থেকে অন্ধুর গজান ও বাতাস প্রবাহিত করেন, সেই আল্লাহর কসম, আমি তোমাদের কাছে যা বলি তার সবই রাসুল (সঃ) থেকে প্রাপ্ত। না রাসুল আল্লাহর বাণী মিথ্যা বলেছেন, আর না শ্রোতা হিসাবে আমি তা ভুল বুঝেছি।
আমি সিরিয়ায় একজন গোমরাহ (বিভ্রান্ত) লোককে’ চোঁচাতে দেখি, যে কুফার উপকণ্ঠে তার ঝান্ডা গেড়েছে। যখন তার মুখ পুরাপুরি খুলবে, তার অবাধ্যতা চরমে পৌছবে এবং তার পদচারণা পৃথিবীতে ভারী হয়ে পড়বে (স্বৈরাচারিতা চরম হবে।) তখন বিশৃঙ্খলা তার দীত দিয়ে মানুষকে কেটে ফেলবে, যুদ্ধের তরঙ্গ ছড়িয়ে পড়বে, দিবাভাগ দারুণ কঠোর ও রাত্রি শ্রমসাধ্য হয়ে পড়বে। সুতরাং সময় ও সুযোগ পরিপক্ক হলে গোমরাহ বিদ্রোহীর ঝান্ডা আঁধার করা রাত ও তরঙ্গ বিক্ষুব্ধ সমুদ্রের মতো ক্রোধে জ্বলে উঠবে। এরকম এবং আরো বহু তাণ্ডব কুফার ওপর দিয়ে বয়ে যাবে এবং প্রবল ঝঞা কুফাকে ধুয়ে-মুছে ফেলবে এবং শীঘ্রই মাথা মাথার সাথে সংঘর্ষ করবে, উঠতি শস্য কর্তিত হবে ও কর্তিত শস্য বিনষ্ট করা হবে ।
১। কারো কারো মতে উল্লেখিত গোমরাহ লোকটি মুয়াবিয়া, আবার কারো কারো মতে লোকটি আবদাল মালেক ইবনে মারওয়ান।