৪৫১ ৷ তোমাদের ওপর তোমাদের নিজেদের শহর অপেক্ষা অন্য কোন শহরের বেশি অধিকার নেই। সে শহর তোমার জন্য সর্বোত্তম যেটিতে তুমি বাস করা।

৪৫২। আমিরুল মোমেনিন মালিক আশতারের শাহাদাতের সংবাদ শুনে বললেন, “হায় মালিক! কতো বড়ো মানুষ ছিল মালিকা!! আল্লাহর কসম, যদি সে পর্বত হতো, তাহলে হতো এক মহাপর্বতমালা; সে যদি পাথর হতো তাহলে সে এতোটা কঠিন ও বিশাল হতো যে, কোন অশ্বারোহী তার ওপর ওঠতে পারতো না, কোন পাখী পারতো না তার ওপর দিয়ে উড়তে।”

৪৫৩। যা স্থায়ী হয় তার সামান্যও ওটার অনেকটা থেকে ভালো যা দুঃখ বয়ে আনে।

৪৫৪। যদি কোন ব্যক্তির অতি প্রাকৃত একটি গুণ প্রকাশ পায় তবে তার সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে তার অন্যান্য গুণাবলী দেখে নিয়ো ।

৪৫৫ । আমিরুল মোমেনিন গালিব ইবেন মাসাআহ (কবি ফারাজদাকের পিতা) এর সাথে কথোপকথন কালে বললেন, “আপনার বিপুল সংখ্যক উটের কী অবস্থা?” গালিব উত্তর দিলেন, হে আমিরুল মোমেনিন, দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে উটি নিঃশেষ হয়ে গেছে।” আমিরুল মোমেনিন বললেন, “উটগুলো হারানোর প্রশংসিত পথ সেটাই।”

৪৫৬। দ্বিনের আইন-কানুন না জেনে যে ব্যবসায় করে সে কুসীদ ব্যবসায়ে জড়িয়ে পড়ে।

৪৫৭ । ছোট-খাট বিপদাপদকে যে বড় কিছু মনে করে আল্লাহ তাকে বড় দুঃখ-কষ্টে ফেলেন।

৪৫৮। যে ব্যক্তি আত্মসম্মানের দিকে খেয়াল রাখে। তার কামনা-বাসনা তার কাছে হালকা হয়ে যায় ।

৪৫৯ । যখনই মানুষ হাসি-তামাশায় লিপ্ত হয় তখনই সে তার প্রজ্ঞা থেকে কিছুটা সরে পড়ে।

৪৬০ । যেব্যক্তি তোমার দিকে ঝুকে পড়েছে তার দিক থেকে মুখ ফেরানো তোমারই সুবিধার অংশ হারানো। অপর দিকে তুমি কারো প্রতি বুকে পড়লে সে তোমার দিক থেকে মুখ ফেরানো তোমার জন্য অবমাননাকর।

৪৬১ ৷ ধনসম্পদ ও দুঃখ-দুর্দশা আল্লাহর সম্মুখে উপস্থাপনার অন্তর্ভুক্ত হবে।

৪৬২। জুবায়রের দুরাচার পুত্র আবদুল্লাহ্ জন্মাবার পূর্ব পর্যন্ত জুবায়র আমাদের একজন ছিল।”
১। আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের ইবনে আওয়ান (১/৬২২-৭৩/৬৯২) এর মাতা ছিল আসমা বিনতে আবু বকর (আয়শার বোন)। বয়ঃপ্রাপ্ত হবার পর হতেই আবদুল্লাহ বনি হাশিমের প্রতি বিদ্বেষ ভাবাপন্ন হয়ে ওঠে; বিশেষ করে, আমিরুল মোমেনিনের প্রতি তার চরম বিদ্বেষ ছিল। তার পিতা জুবায়রের মনোভাব আমিরুল মোমেনিনের বিরুদ্ধে নিতেও সে কুষ্ঠা বোধ করে নি। অথচ আমিরুল মোমেনিন ছিলেন জুবায়রের পিতার খালার ছেলে। এ জন্যই আমিরুল মোমেনিন বলেছিলেন,
জুবায়রের অসৎ ছেলে আবদুল্লাহ বড় হবার পূর্ব পর্যন্ত জুবায়রা আমাদের একজন ছিল। (বার’, ৩য় খণ্ড, পৃঃ ১৯০৬ আহীর, ৩য় খণ্ড, পৃঃ ১৬২-১৬৩; আসাকীর’, ৭ম খণ্ড, পৃঃ ৩৬৩। হাদীদ’, ২য় খণ্ড, পৃঃ ১৬৭, ৪র্থ খণ্ড, পৃঃ ৭৯, ২০তম খণ্ড, পৃঃ ১০৪)
জামাল যুদ্ধের ইন্ধন যোগানদানকারীদের মধ্যে আবদুল্লাহ ছিল অন্যতম। তার খালা আয়শা, তার পিতা জুবায়ের ও তার মায়ের চাচাত ভাই তালহা আমিরুল মোমেনিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল। ইবনে আবিল হাদীদ লিখেছেনঃ আবদুল্লাহ তার পিতা জুবায়রকে জামাল যুদ্ধে অবতীর্ণ হবার জন্য বাধা করেছিল এবং বসরার দিকে সৈন্য পরিচালনা করেছিল । আবদুল্লাহর এ কাজ আয়শার মনঃপুত হয়েছিল। আয়শা তার বোনের ছেলে আবদুল্লাহকে অত্যক্ত ভালোবাসতেন। আবদুল্লাহ ছিল তার কাছে মায়ের একমাত্র পুত্রের মতো আদরের এবং আয়শার কাছে আবদুল্লাহ অপেক্ষা অধিক প্রিয় আর কেউ ছিল না। (ইসফাহানী”, পৃঃ ১৪২. হাদীদ’, ২০তম খণ্ড, পৃঃ ১২০; কাহীর’, ৮ম খণ্ড, পৃ:৩৩৬) { হিশাম, ইবনে উরওয়া বলেছেনঃ আবদুল্লাহর জন্য আয়শা যত দোয়া করতো সেরকম দোয়া আর কারো জন্য করতে আমি শুনি নি । জামাল যুদ্ধে আবদুল্লাহ নিহত হয় নি – এ খবর যে দিয়েছিল তাকে আয়শা দশ হাজার দিরহাম পুরস্কার দিয়েছিল এবং আল্লাহর শুকারিয়া আদায়ের জন্য সিজদা করেছিল (আসাকীরা, ৭ম খণ্ড, পৃঃ ৪০২, হাদীদ’, ২০ তম কণ্ড, পৃঃ ১১৯) আয়শার এ ভালোবাসাই তাঁর ওপর আবদুল্লাহর কর্তৃত্বের মূল কারণ। আবদুল্লাহ তার ইচ্ছমত আয়শাকে পরিচালনা করতো। যাহোক বনি হাশিমের প্রতি আবদুল্লাহর বিদ্বেষ এমন পর্যায়ে পৌছেছিল যা বিভিন্ন ঐতিহাসিক নিম্নোক্তভাবে বর্ণনা করেছেনঃ মক্কায় আবদুল্লাহর খেলাফত কালে চল্লিশ জুমাতে সে খোৎবা প্রদানকালে রাসুলের (সঃ) ওপর দরুদ পেশ করে নি। সে বলতো, “রাসুলের ওপর দরুদ পেশ করতে কোন কিছুই বাধা দেয় নি। শুধু বনি হাশিমের এ কয়টি লোক রাসুলের নাম নিলে গর্বিত হবে এজন্য আমি দরুদ পেশ করি না।” অন্য একটি বর্ণনায় রয়েছে যে, আবদুল্লাহ বলেছে, “রামকুলের আহলুল বাইত ছাড়া অন্য কিছু তাঁর প্রতি দরুদ প্রেরণে আমাকে প্রতিহত করে নি। কারণ রাসুলের নাম নিলেই এ লোকগুলি মাথা নাড়বে” (ইসফাহানী’, পৃঃ ৪৭৪; মাসুদী’, ৩য় খণ্ড, পৃঃ ৪১৩, ইয়াকুবী’, ২য় খণ্ড, পৃঃ ২৬১; রাব্বিহ”, ৪র্থ খণ্ড, পৃঃ ৪১৩; হাদীদ’, ৪র্থ খণ্ড, পৃঃ ৬২; ১৯তম খণ্ড, পৃঃ ৯১-৯২, ২০তম খণ্ড, পৃঃ ১২৭-১২৯)। আমি চল্লিশ বছর ধরে আহলুল বাইতের প্রতি আমার পুঞ্জীভূত ঘূণা গোপন করে রেখেছি (মাসুদী’, ৩য় খণ্ড, পৃঃ ৮০; হাদীদ’, ৪র্থ খণ্ড, পৃঃ ৬২, ২০ তম খণ্ড, পৃঃ ১৪৮) { আবুদল্লাহ আমিরুল মোমেনিনের প্রতি ঘোর বিদ্বেষ পোষণ করতো। সে তার প্রতি সম্মানহানীকর ও অবমাননাকর উক্তি করতো, তাঁকে গালি দিত এবং তাঁর প্রতি অভিশাপ দিত (ইয়াকুবী’, ২য় খণ্ড, পৃঃ ২৬১-২৬২; মাসুদী’, ৩য় খণ্ড, পৃঃ ৮০; হাদীদ’, ৪র্থ খণ্ড, পৃঃ ৬১-৬৩, ৭৯)। আবদুল্লাহ আমিরুল মোমেনিনের পুত্র মুহাম্মদ ইবনে হানাফিয়া, আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস ও হাসান ইবনে হাসান ইবনে আলী ইবনে আবি তালিবসহ হাশিম বংশের সত্তর জনকে বন্দি করে আরিমের শিবে (ছোট একটা পাহাড়ি উপত্যকা) আটক করে রাখে। তাদের সকলকে পুড়িয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে উক্ত উপত্যকার প্রবেশ দ্বারে সে অনেক কাঠ স্তুপীকৃত করেছিল। এ সময় মুখতার ইবনে আবি উবায়েদ আছছাকাকী মক্কায় চার হাজার সৈন্য প্রেরণ করেছিলেন। তারা মক্কায় পৌঁছেই আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়রকে আক্রমণ করলো এবং অপ্রত্যাশিতভাবে বনি হাশিমের বন্দিগণকে আরিম-শিব থেকে উদ্ধার করলো । আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়রের ভ্রাতা উরওয়া আবদুল্লাহর এহেন কাজের জন্য ওজর পেশ করলো যে, বনি হাশিম আবদুল্লাহর আনুগত্যের শপথ গ্রহণ করে নি বলেই সে এ কাজ করতেছিল। তার কাজটি মূলত উমর ইবনে খাত্তাবের অনুকরণ মাত্র। কারণ বনি হাশিম আবু বকরের বায়াত গ্রহণ করে নি বলে তাদেরকে ফাতিমার ঘরে একত্রিত করে পুড়িয়ে দেয়ার জন্য উমর অনেক কাঠ স্তুপীকৃত করেছিলেন (ইসফাহানী, পৃঃ ৪৭৪; হাদীদ’, ১৯তম খণ্ড, পৃঃ ৯১; ২০ তম খণ্ড, পৃঃ ১২৩-১২৬, ১৪৬-১৪৮; আসাকীরা, ৭ম খণ্ড, পৃঃ ৪০৮, রাব্বিহ”, ৪র্থ খণ্ড, পৃঃ ৪১৩; সাদ’, ৫ম খণ্ড, পৃঃ ৭৩-৮১; তাবারী *, ২য় খণ্ড, পৃঃ ৬৯৩-৬৯৫; আছীর, ৪র্থ খণ্ড, পৃঃ ২৪৯-২৫৪; খালদুন’*’, ৩য় খন্ড) এ বিষয়ে আবুল ফারাজ ইসফাহানী লিখেছেনঃ দিতো এবং এ কাজে সে যেকোন মন্দ পন্থা অবলম্বনেও কুণ্ঠা বোধ করতো না । সে মিম্বারে বসেও বনি হাশিমের কুৎসা রটনা করতো এবং তাদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়াতো এ সময় বনি হাশিমের কোন একজন তার এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আপত্তি উত্থাপন করলো ফলে সে তার পথ পরিবর্তন করে ইবনে হানাফিয়াকে অ্যারিমের শিবে বন্দি করলো । তারপর সে মক্কায় বনি হাশিমের যেসব লোককে পেল তাদের বন্দি করে হানাফিয়ার সাথে অ্যারিমের শিবে রাখলো এবং তাদেরকে পুড়িয়ে হত্যা করার জন্য অনেক কাঠ সংগ্ৰহ করে আরিমের শিবে জমালো । এ খবর পেয়ে হানফিয়ার অনুচরগণ আবু আবদিল্লাহ আল জাদালীর নেতৃত্বে আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়রের সাথে যুদ্ধ করার জন্য মক্কায় উপস্থিত হয়ে গেল । আল-জাদালীর উপস্থিতি টের পেয়েই আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী আগুন লাগিয়ে দিল। আল-জাদালী সরাসরি অ্যারিমের শিবে উপস্থিত হয়ে আগুন নিভিয়ে ফেললো এবং বন্দিদেরকে উদ্ধার করলো (ইসফাহানী’, পৃঃ ১৫)

৪৬৩। মানুষ কিসে দম্ভ করে যেখানে তার উৎপত্তি হলো বীর্য আর পরিণতি হলো লাশ এবং সে নিজেকে খাওয়াতে পারে না বা মৃত্যুকে ঠেকাতে পারে না।
৪৬৪ । কেউ একজন আমি করুল মোমেনিনকে জিজ্ঞেস করলেন, সব চাইতে বড় কবি কে? উত্তরে তিনি বললেন, কবিরা সকলে একই লাইনে তাদের চিন্তাভাবনা ব্যক্ত করে না। ফলে আমরা তাদের শ্রেষ্ঠত্ব নির্ণয় করতে সক্ষম হই না। তাসত্ত্বেও আল-মালিক আদ-দিল্লিল (পথভ্রষ্ট রাজা) অর্থাৎ ইমরিউল কায়েস শ্রেষ্ঠ ।
৪৬৫। এমন কোন মুক্ত লোক কি নেই, যে দুনিয়ার উচ্ছিষ্টকে যারা পছন্দ করে তাদের জন্য তা রেখে যায়। নিশ্চয়ই, তোমার জন্য একমাত্র মূল্য হলো বেহেশত। সুতরাং বেহেশত ছাড়া অন্য কিছুর জন্য নিজকে বিক্রি করো না ।
৪৬৬। দুধরনের লোভী ব্যক্তি কখনো তৃপ্ত হয় না। এদের একজন হলো জ্ঞান অন্বেষণকারী আর অপরজন হলো দুনিয়া অন্বেষণকারী।
৪৬৭। ইমান হলো—তুমি সত্যকে আঁকড়ে ধরবে। যদি তাতে তোমার ক্ষতিও হয় এবং মিথ্যাকে বর্জন করবে। যদি মিথ্যা দ্বারা তোমার লাভও হয় । তোমার কথা যেন কাজের চেয়ে বেশি না হয় এবং অন্যদের সম্পর্কে কথা বলতে আল্লাহকে ভয় করো।
৪৬৮। ভাগ্য আমাদের পূর্ব-স্থিরীকৃত বিষয়েরও নিয়ন্ত্রণকারী যতক্ষণ পর্যন্ত না চেষ্টা ধ্বংস সংঘটিত করে ।
৪৬৯। ক্ষমা আর ধৈর্য জমজ এবং দুটি উচ্চ স্তরের সাহসের ফল।
৪৭০ । সহায়হীনের অস্ত্র হলো গিবত করা।

৪৭১। অনেকেই কুকর্মে জড়িয়ে পড়ে এজন্য যে, তা সম্পর্কে তাকে ভালো ধারণা দেয়া হয়।
৪৭২। এ দুনিয়া তার নিজের জন্য সৃষ্টি করা হয় নি—অন্যের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে।
৪৭৩। বনি উমাইয়াদের নির্ধারিত সময় (মিরওয়াদ) আছে যার মধ্যেই তারা শেষ হয়ে যাবে। সময় আসবে যখন তাদের মধ্যে মতদ্বৈধতা দেখা দেবে এবং তখন হায়েনাও তাদেরকে আক্রমণ করে ক্ষমতাচ্যুত করবে।
১ । উমাইয়াদের পতন সম্পর্কে আমিরুল মোমেনিনের এ ভবিষ্যদ্বাণী অক্ষরে অক্ষরে সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান উমাইয়া শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল এবং ১৩২ হিজরিতে মারওয়ান ইবনে মুহাম্মদ আল-হিমারের সময় ৯০ বৎসর ১১ মাস ১৩ দিন পর তার পরিসমাপ্তি ঘটে । উমাইয়া রাজত্ব ছিল স্বৈরাচার, অত্যাচার আর জুলুমের প্রতীক। উমাইয়া শাসকগণ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ইসলামকে কালিমালিপ্ত করেছে। তারা মক্কায় সৈন্য পাঠিয়ে কাবায় আগুন লাগিয়েছে, মদিনা তাদের পৈশাচিকতার শিকার হয়েছে এবং মুসলিমদের রক্তের স্রোত বয়ে গেছে। এ রক্তপাত অবশেষে ধ্বংসাত্মক বিদ্রোহে রূপ নিয়েছিল। এ সময় বনি আব্বাস “আল-খিলাফাহ আল-ইলাহিয়া” (আল্লাহর খেলাফত) নামক আন্দোলন শুরু করেছিল। তাদের আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য তারা আবু মুসলিম আলখোরাসানী নামক একজন তুখোড় বক্তা ও নেতা পেয়েছিল। খোরাসানকে সদরদপ্তর করে আন্দোলন পরিচালিত হয় এবং উমাইয়াদেরকে ক্ষমতাচ্যুত করে আব্বাসিয়রা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়।

৪৭৪। আনসারদের প্রশংসা করে আমিরুল মোমেনিন বলেছিলেনঃ আল্লাহর কসম, তারা তাদের উদারতা ও মধুর কথা দ্বারা ইসলামকে এমনভাবে লালন-পালন করেছে। যেমন করে একটা উষ্ট্র শাবককে লালন করা হয় ।

৪৭৫। চক্ষু হলো পিছনের ফিতা।