৩৭৬। জ্ঞান আমলের সাথে সম্পৃক্ত। সুতরাং যে জ্ঞানী তাকে আমল করতে হবে। জ্ঞানের সঙ্গে আমল না করলে জ্ঞান বিদূরিত হয়ে পড়ে।
৩৭৭। হে মানুষ, এ দুনিয়ার সম্পদ উচ্ছিষ্টের মতো যা মহামারির সৃষ্টি করে। সুতরাং এ চারণ ভূমি থেকে দূরে সরে থাক। এতে শান্তিতে থাকা অপেক্ষা এটাকে ত্যাগ করা অনেক ভালো এবং এর সম্পদরাজী অপেক্ষা পারিতোষিক অংশ অনেক বেশি সুখকর।
এখানে যারা সম্পদশালী পরকালে তারা হবে দুর্দশাগ্রস্ত। তাদের জন্যই রয়েছে পরকালের সুখ-শান্তি যারা দুনিয়া থেকে দূরে সরে থাকতে পেরেছে। এর চাকচিক্যে কোন লোক আকৃষ্ট হলে তার দুচোখে ধাঁধা লাগে। যদি কেউ এর প্রতি আগ্রাহান্বিত হয়ে পড়ে তবে তার হৃদয় দুঃখপূর্ণ হয় এবং ক্রমেই কালিমালিপ্ত হয়ে পড়ে। এর কিছু তাকে উদ্বিগ্ন করে আর কিছু তাকে বেদনা দেয়। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত সে এ অবস্থায় থাকে। সে শূন্যে নিক্ষিপ্ত হয় এবং তার হৃদয়ের ঔজ্জ্বল্য বিনষ্ট হয়ে পড়ে। তার মৃত্যু ঘটানো ও তার সহচরীগণ দ্বারা তাকে কবরে শায়িত করা আল্লাহর পক্ষে বড় সহজ কাজ । মোমেনগণ এ দুনিয়াকে এমন চোখে দেখে যাতে শিক্ষা গ্রহণ করা যায় এবং নিতান্ত প্রয়োজন পরিমাণ খাদ্য এ দুনিয়া থেকে গ্রহণ করে। সে ঘূণা আর শক্রতার কান দিয়ে দুনিয়ার কথা শোনে। কারো সম্পর্কে যদি বলা হয় যে, সে ধনী হয়ে গেছে তখন একথা বলা যায়। সে দুর্দশাগ্রস্ত হয়েছে। জীবনে যে আনন্দে কাটায় মৃত্যুতে সে শোকাভিভূত হয়। যদিও সে দিনটি এখনো আসে নি যেদিন তারা দারুণভাবে হতাশাগ্ৰস্ত হবে তবুও প্রকৃত অবস্থা এমনই।
৩৭৯। মহিমান্বিত আল্লাহ আনুগত্যের জন্য পুরস্কার আর পাপের জন্য শাস্তি নির্ধারণ করেছেন যেন মানুষ শাস্তি থেকে রক্ষা পেতে পারে এবং বেহেশতে যেতে পারে ।
এমন সময় আসবে যখন লেখা ছাড়া কুরআনের আর কিছুই থাকবে না; নাম ছাড়া ইসলামের আর কিছুই থাকবে না। সে সময় মানুষ মসজিদগুলোকে বড় বড় ইমারতে পরিণত করায় ব্যস্ত থাকবে, কিন্ত তাতে কোন হেদায়েত থাকবে না। যারা এর মধ্যে থাকবে এবং যারা এতে যাবে তারা পৃথিবীতে নিকৃষ্টতম হবে। তাদের থেকে ফেতনা ছড়িয়ে পড়বে এবং সকল বিভ্রান্তি তাদের দিকেই ফিরে যাবে। যদি কেউ তাদের থেকে দূরে সরে থাকে। তবে তাকে টেনে নিয়ে আসবে এবং যদি কেউ তাদের থেকে ফিরে যায়। তবে তাকে ধাক্কা দিয়ে পুনরায় সামিল করা হবে। হাদিসে কুদসিতে মহিমান্বিত আল্লাহ বলেন, “আমি আমার সত্তার শপথ করে বলছি, এমন অমঙ্গল আমি তাদের ওপর আপতিত করবো যাতে ধৈর্যশীলগণও হতভম্ব হয়ে যাবে।” অবহেলার মাধ্যমে এহেনভাবে পতন থেকে রক্ষা পাবার জন্য আমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি। [এমন একটা হাদিস দীর্ঘদিন পূর্বে পড়েছিলাম। “রাসুল (সঃ) বলেছেন, ইয়াতি জমানুন আলা। উম্মাতি লা ইয়াবকা মিনাল ইমানি ইল্লা ইন্সমি; ওয়া ইয়াবকা মিনাল কুরআনি ইল্লা রাসমুহু: মাসাজিদুহুম ইমারাতুন ওয়া ইয়া খারাবুন মিনাল হুদা; উলমাও সাররুন তাহাতা আর্দিমুস সামা।” (হাদীসটির সূত্র উল্লেখ করা গেল না এবং আরবী ভাষা না জানার কারণে উচ্চারণ লেখায় ভুল থাকতে পারে-সে জন্য ক্ষমাপ্রাথী) হাদীসটির অর্থ হলোঃ আমার উম্মতের ওপর এমন এক সময় আসবে যখন নামমাত্র ছাড়া ইমানের আর কিছুই থাকবে না; শুধুমাত্র রুসুম (দেশাচার) হিসাবে কুরআন থাকবে; মসজিদ হবে বড় বড় ইমারত এবং এর ভেতরে হেদায়েত ব্যতীত সকল মন্দ বিষয় থাকবে; আসমান ও জমিনের মধ্যে আলেমগণ নিকৃষ্টতম হবে—বাংলা অনুবাদক।
৩৮০। বর্ণিত আছে যে, আমিরুল মোমেনিন সর্বদা মেরাবে উঠেই খোৎবা প্রদানের পূর্বে এ বাণী প্রদান করতেনঃ হে জনমন্ডলী, আল্লাহকে ভয় কর। মানুষকে তিনি অকারণে সৃষ্টি করেন নি যে, সে নিজকে যেনতেন ভাবে কাটিয়ে দেবে। তিনি মানুষকে এমন অযত্বরক্ষিত করেন নি যে, সে কান্ডজ্ঞানহীন বাজে কাজ করে যাবে। এ দুনিয়া তার কাছে যতই মনোমুগ্ধকর মনে হোক না। কেন তা কখনো পরকালের স্থানাপন্ন হতে পারে না। সাহসিকতার মাধ্যমে যে এ জগতে কৃতকার্য হয়েছে সে পরকালের কৃতকার্যতার তুলনায় সামান্যতমও অজর্ন করতে পারে নি।
৩৮১। ইসলামের চেয়ে উচ্চ মর্যাদাশীল আর কিছু নেই; আল্লাহর ভয়ের চেয়ে সম্মানজনক আর কিছু নেই; আত্মসংযম অপেক্ষা বড় আশ্রয় আর কিছু নেই; তওবার চেয়ে বড় উকিল আর কিছু নেই; তৃপ্তির চেয়ে বড় মূল্যবান সম্পদ আর কিছু নেই; নৃত্যুনতম জীবনোপকরণে তৃপ্ত হওয়ার চেয়ে বড় দুঃখনাশিক আর কিছু নেই। কামনা-বাসনা হলো দুঃখের চাবিকাঠি এবং দুর্দশার বাহন। লোভ, অহংকার ও ঈর্ষা হলো পাপের পথের আলো এবং ফেতনাবাজি হলো সব চাইতে বড় কুঅভ্যাস।
৩৮২। জাবির ইবনে আবদিল্লাহ আল-আনসারীকে আমিরুল মোমেনিন বলেছিলেনঃ হে জাবির, দ্বিনি ও দুনিয়ার রজ্জ্ব হলো চার ব্যক্তিঃ যে পণ্ডিত ব্যক্তি বিবেক বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করে; যে অজ্ঞ শিক্ষা গ্রহণ করতে লজ্জাবোধ করে না; যে উদার ব্যক্তি কৃপণতা প্রদর্শন করে না এবং যে দুর্দশাগ্রস্ত ব্যক্তি জাগতিক সুবিধা অর্জনের জন্য পরকালকে বিক্রি করে দেয় না। একইভাবে, যখন জ্ঞানী তার বিবেক-বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ না করে; অজ্ঞ শিক্ষা গ্রহণ করতে লজ্জাবোধ করে; উদার ব্যক্তি কৃপণতা প্রদর্শন করে এবং দুর্দশাগ্রস্তগণ ইহকালের জন্য পরকালকে বিক্রি করে, তখন তারা দুনিয়ার রজু হয়ে পড়ে। হে জাবির, যেখানে মানুষের ওপর আল্লাহর নেয়ামত অপরিসীম। সেখানে তার প্রতি মানুষের বাধ্যতা অপরিসীম হওয়া বাঞ্চনীয়। সুতরাং আল্লাহর প্রতি যারা দায়িত্ব পরিপূর্ণ করে তাদের প্রতি আল্লাহর নেয়ামত অব্যাহত থাকে এবং তার রহমত স্থায়ীত্ব লাভ করে। আর যারা এ দায়িত্ব পালন করে না তারা ধ্বংস হয়ে যায়।
৩৮৩। ইবনে আবি লায়লা থেকে বর্ণিত আছে যে, সিরিয়ানদের সাথে যুদ্ধের সময় আমিরুল মোমেনিন বলেছেনঃ হে ইমানদারগণ, তোমরা যদি দেখ কেউ অন্য কাউকে পাপের দিকে আহবান করছে বা এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করছে এবং আন্তরিকভাবে এহেন কাজকে তোমরা বাতিল করে দাও। তবে এ অপরাধের দায় দায়িত্ব থেকে তোমরা মুক্ত। আর যারা কথার দ্বারা তা বাতিল করে দেয়। সে পুরস্কৃত হবে এবং পূর্ববতী ব্যক্তি অপেক্ষা সে অধিক মর্যাদাশীল; আর যে আল্লাহর বাণীকে উর্ধ্ব তুলে ধরে অত্যাচারীর কথা তরবারির সাহায্যে বাতিল করে দেয় সে হেদায়েতের পথের সন্ধান পায়। সে ন্যায় পথে প্রতিষ্ঠিত থাকে এবং তার হৃদয় দৃঢ় প্রত্যয়ের নূরে আলোকিত থাকে (তাবারী’, ২য় খণ্ড, পৃঃ ১০৮৬; আইট্র, ৪র্থ খণ্ড, পৃঃ ৪৭৮)।
৩৮৪। উপরোক্ত বাণীটি অন্যভাবে বর্ণিত আছে যে, সুতরাং মুসলিম উম্মাহর মধ্যে যারা পাপাচার আর মিথ্যাকে হাত, মুখ ও হৃদয় দ্বারা বাতিল করে দেয় তারা যথার্থভাবেই ধার্মিকতায় অভ্যস্ত হয়েছে। যারা শুধু মুখ আর হৃদয় দ্বারা পাপকে বাতিল করে তারা দুটি ধার্মিকতায় অভ্যস্থ হয়েছে, – একটা বাদ পড়েছে। যারা শুধু অন্তর দ্বারা পাপকে বাতিল করেছে তারা একটি সদগুণ অর্জন করেছে। অপর দুটি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আর যারা পাপকে বাতিল করে নি। তারা জীবিতদের মধ্যে মৃতের মতোই। মোত্তাকিদের সকল কাজ, এমনকি জিহাদও ন্যায়ের প্রতিপালনের জন্য, প্রলুব্ধকরণও পাপের প্রতিরোধের তুলনায় সমুদ্রে এক ফোটা থুথু ফেলার মতো। কাউকে পূণ্যের প্রতি প্রলুব্ধ করলে এবং পাপ থেকে বিরত থাকার জন্য বাধা সৃষ্টি করলে মৃত্যু (নির্ধারিত সময় অপেক্ষা) এগিয়ে আসে না অথবা এতে জীবিকাও কমে যায় না। এসব কিছু অপেক্ষা স্বৈরাচারী শাসকের সামনে একটা ন্যায় কথা বলা অনেক ভালো।
৩৮৫। আবু জুহায়ফাহ থেকে বর্ণিত আছে যে, আমিরুল মোমেনিনকে তিনি বলতে শুনেছেনঃ অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রথমেই তোমাদেরকে হস্ত দ্বারা জেহাদ করতে হবে, তাতে পরাভূত হলে কথার দ্বারা জিহাদ করবে, তাতেও পরাভূত হলে হৃদয় দ্বারা জিহাদ করবে। ফলে যে ব্যক্তি অন্তর দ্বারা ধর্মকে স্বীকার করে না অথবা পাপকে বাতিল করে না তার ওপরের দিক নিচের দিকে এবং নিচের দিক ওপরের দিকে করা হবে।
৩৮৬। নিশ্চয়ই, ন্যায় ভারী ও সম্পূর্ণ এবং অন্যায় হালকা ও মহামারী স্বরূপ।
৩৮৭। সমগ্র জনগোষ্ঠীর সর্বোৎকৃষ্ট ব্যক্তি সম্পর্কেও আল্লাহর শাস্তি থেকে নিরাপদ মনে করো না, কারণ মহিমান্বিত আল্লাহ বলেন, “ক্ষতিগ্রস্তগণ ছাড়া আর কেউ আল্লাহর পরিকল্পনা হতে নিজকে নিরাপত্তা প্রাপ্ত মনে করে না” (কুরআন-৭ ঃ ৯৯)। আবার, জনগোষ্ঠীর নিকৃষ্টতম ব্যক্তিও আল্লাহর ক্ষমা সম্পর্কে নিরাশ হয়ে না, কারণ মহিমান্বিত আল্লাহ বলেন, “অবিশ্বাসীগণ ছাড়া আর কেউ নিশ্চয়ই, আল্লাহর রহমত সম্পর্কে নিরাশ হয় না” (কুরআন-১২ ঃ ৮৭)।
৩৮৮। কৃপণতার মধ্যে সকল পাপ নিহিত আছে এবং কৃপণতা হলো পাপের পথে পরিচালিত হবার লাগাম ।
৩৮৯। হে আদম সন্তানগণ, জীবিকা দুপ্রকারঃ (১) যে জীবিকা তোমরা অনুসন্ধান কর; (২) যে জীবিকা তোমাদেরকে অনুসন্ধান করে। দ্বিতীয় প্রকারের জীবিকার কাছে তোমরা পৌছতে না পারলেও উহা তোমাদের কাছে আসবে। সুতরাং তোমাদের একদিনের উদ্বিগ্নতাকে এক বছরের উদ্বিগ্নতায় পরিণত করো না। প্রতিদিন তুমি যা পাও তাই তোমার এক দিনের জন্য যথেষ্ট। যদি তুমি তোমার জীবনে একটা বছরও পাও তবুও মহিমান্বিত আল্লাহ তোমার জন্য যে অংশ নির্ধারণ করে রেখেছেন তা তুমি প্রতিদিন পেয়ে যাবে। যদি তুমি জীবনে একটা বছরও না পাও তবে কেন তুমি তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হবে যা তোমার জন্য নয়। কেউ তোমার জীবিকা তোমার সামনে উপস্থিত করতে পারবে না। আবার জীবিকার ব্যাপারে কেউ তোমাকে পরাভূত করতেও পারবে না। একইভাবে, যেটুকু তোমার অংশ হিসাবে নির্ধারিত করা হয়েছে তা পেতে কখনও বিলম্ব ঘটবে না।
৩৯০। অনেকে একদিনের সম্মুখীন হয় যারপর আর কোন দিন দেখে না। অনেকে রাতের প্রথমাংশে অতীব বাঞ্চনীয় অবস্থায় থাকে এবং শেষাংশে স্বামীহারা নারীর মতো ক্রুন্দনরত থাকে।
৩৯১। যতক্ষণ পর্যন্ত তুমি উচ্চারণ করবে না ততক্ষণ পর্যন্ত কথা তোমার নিয়ন্ত্রণে। আর বলে ফেললেই তুমি কথার নিয়ন্ত্রণে চলে গেলে। সুতরাং “স্কর্ণ-রৌপ্যকে যে ভাবে পাহারা দাও সেভাবে তোমার জিহবাকেও পাহারা দিয়ো, কারণ একটা কথাই তোমার আশীর্বাদ কেড়ে নিয়ে তোমার জন্য শাস্তি আনয়ন করতে পারে।
৩৯২। যা জান না তা বলো না এবং যা জান তার সব কিছু বলো না; কারণ আল্লাহ তোমার সকল অঙ্গ প্রত্যঙ্গের দায়িত্ব নির্ধারণ করে দিয়েছেন এবং শেষ বিচারের দিন এ সব নিয়েই তোমাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
৩৯৩। আল্লাহকে ভয় কর পাছে তিনি তোমাদের পাপাচার দেখে ফেলেন। যদি তোমরা শক্তিশালী হতে চাও তবে আল্লাহর আনুগত্যে শক্তিশালী হয়ো। আর যদি দুর্বল হতে চাও তবে পাপ কাজে দুর্বল হয়ো।
৩৯৪। এ দুনিয়ার যা তুমি দেখতে পাচ্ছো তার প্রতি কুর্কড়ে পড়া বোকামি ছাড়া আর কিছু নয় এবং ভালো কাজে পুরস্কার থাকা সম্পর্কে অবহিত হওয়া সত্ত্বেও তা না করা ক্ষতি ছাড়া কিছু নয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া সকলকে বিশ্বাস করাই দুর্বলতা।
৩৯৫। আল্লাহর কাছে দুনিয়ার দীনতার এটাই প্রমাণ যে, এখানেই মানুষ তার অবাধ্য হয় এবং দুনিয়াকে পরিত্যাগ না করলে আল্লাহর রহমত লাভ করা যায় না।
৩৯৬। কোন ব্যক্তি যা খোজে তার অংশ হলেও পায়।
৩৯৭। সেই ভালো ভালো নয়, যার পিছনে রয়েছে আগুন, সেই দুর্দশা দুর্দশা নয়, যার পিছনে রয়েছে বেহেশত। বেহেশত ছাড়া সকল আশীবার্দ নিকৃষ্ট এবং দোযখ ছাড়া সকল বিপদাপদ আরামপ্রদ
৩৯৮। সাবধান, দুরবস্থা একটা বিপদ কিন্তু শারীরিক পীড়া সব চাইতে বড় দুর্দশা। আবার শারীরিক পীড়া থেকে হৃদয়ের পীড়া আরো খারাপ। সাবধান, সম্পদের প্রাচুর্য একটা আশীবার্দ। কিন্তু শারীরিক সুস্থতা সম্পদ থেকেও উত্তম। আবার হৃদয়ের পবিত্রতা শারীরিক সুস্থতা থেকেও উত্তম।
৩৯৯। যে ব্যক্তি তার কর্মকান্ড পিছনে ফেলে দেয় তার বংশ মর্যাদা তাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে না। অন্য ভাবে বর্ণিত আছে, যে নিজে কিছু অবদান রাখতে না পারে তার পূর্বপুরুষের অবদান তার কোন উপকারে আসে না ।
৪০০। মোমেনদের সময় তিনটিঃ (১) যে সময় সে আল্লাহর ধ্যানে মগ্ন থাকে, (২) যে সময় সে জীবিকা অর্জনে ব্যয় করে, (৩) যে সময় বৈধ ও মনোরম ভাবে উপভোগ করে। তিনটি বিষয় ছাড়া জ্ঞানী লোকের জন্য ঘর থেকে বের হওয়া শোভনীয় নয়- রুটি-রুজির জন্য, পরকালের কোন কিছুর জন্য এবং নিষিদ্ধ নয় এমন কিছু উপভোগ করার জন্য।