ইয়া মুসা (অাঃ) মাদাদ , ইয়া মুসা (অাঃ) মাদাদ ——
” — সে শহরে প্রবেশ করেছিল । এমন এক সময় যখন এর জনগন অন্যদিকে মনযোগী ছিল । সে দেখতে পেল সেখানে দুই ব্যক্তি ঝগড়া মারামারি করছে , ঐ ব্যক্তিটি (মুসার) শীয়াদের মধ্য থেকে এবং অন্যজন তার শত্রুদের মাঝ থেকে । যে ছিল তার শীয়া সে তার (মুসার) কাছে সাহায্য চাইল তার বিরুদ্বে যে ছিল তার শত্রুদের মধ্য থেকে —- ” ।
সুরা – ক্বাসাস / ১৫ ।
প্রিয় পাঠক ,
পবিত্র কোরআনের আয়াতটি লক্ষ্য করুন ।
আয়াতটিতে দুই ব্যক্তির কাহিনী বর্ননা করা হচ্ছে । দুই ব্যক্তি মারামারি করছে । একজন হচ্ছে মুসা (আঃ) এর শীয়া এবং অপরজন মুসা (অাঃ) এর শীয়া নয় ।
মারামারির এক পর্যায় মুসা (অাঃ) এর শীয়া চীৎকার করে সাহায্য চাইল –
” ইয়া মুসা (আঃ) মাদাদ , ইয়া মুসা (অাঃ) মাদাদ —- ” ।
এবং যথারীতি হযরত মুসা (অাঃ) তাঁর শীয়ার আহবানে সাহাযার্থে এগিয়ে গেলেন ।
যদিও হযরত মুসা (অাঃ) এর শীয়া ব্যক্তিটি বুদ্বিমান ও জ্ঞানী শীয়া ছিল না ।
ঠিক এখানেই আমার মূল বক্তব্য হচ্ছে যে , হযরত মুসা (অাঃ) এর একজন শীয়া যখন বলে উঠল , ইয়া মুসা (অাঃ) মাদাদ , ইয়া মুসা (অাঃ) মাদাদ ।
তখন তো হযরত মুসা (অাঃ) একট বারের জন্য বলেন নি যে , ” ওহে মূর্খ নালায়েক শীয়া , খবরদার , হুশিয়ার ! ইয়া মুসা মাদাদ – এই কথাটি বলা বেদআত ও শিরক । সাবধান , এই কথাটি আর কখনই উচ্চারন করিবে না , করিলেই সরাসরি জাহান্নামী “!
এমনকি আল্লাহ স্বয়ং নিজেও ঐ শীয়ার –
” ইয়া মুসা (আঃ) মাদাদ , ইয়া মুসা (অাঃ) মাদাদ —-”
– এই কথাটিকে বেদআত ও শিরক বলিয়া অভিহিত করেন নি ।
এই কথা বলা যদি বিদআত ও শিরক হইত তাহলে অবশ্যই পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তা নিষেধ করে দিতেন ।
নিষেধ করা তো দূরের কথা হযরত মুসা (অাঃ) তাঁর একজন শীয়ার আহবানে সাহায্যার্থে এগিয়ে গেলেন ।
পাঠক ,
এবং এটাই স্বাভাবিক যে , যে যার অনুসারী বা শীয়া অর্থাৎ যে যাকে নেতা , ইমাম বা মাওলা হিসাবে মানে সে তার বিপদ আপদে তার ইমাম বা মাওলার কাছে সাহায্য চাইতেই পারে ।
এবং এই সাহায্য চাওয়াটা যে কোন প্রকার বিদআত , শিরক বা অবৈধ নয় সেটা তো পবিত্র কোরআন দ্বারা প্রমানিত !
পাঠক ,
এমতাবস্থায় , বিনীত ভাবে এই অধম আপনাদের খেদমতে একটি প্রশ্ন করতে চায় যে —–
” ইয়া মুসা (আঃ) মাদাদ , ইয়া মুসা (অাঃ) মাদাদ —- ” –
এই কথাটি বলিলে যদি বিদআত ও শিরক না হয় তাহলে —
” — ইয়া আলী (আঃ) মাদাদ , ইয়া আলী (আঃ) মাদাদ — ” –
এই কথাটি বললে কোন আইনে এবং কিভাবে বিদআত ও শিরক হইয়া যায় ???
কেননা হিসাব দাদা , জলের মত পরিস্কার যে , মুসা (অাঃ) এর একজন শীয়া মুসা (অাঃ) এর কাছে মাদাদ বা সাহায্য চাইতেই পারে ।
সে হিসাবে ইমাম আলী (আঃ) এর একজন শীয়া মাওলা আলী (আঃ) এর কাছে মাদাদ বা সাহায্য চাইতেই পারে , এটাই স্বাভাবিক ।
এতে করে বিশেষ করে যিনি বা যারা ইমাম আলী (আঃ) এর অনুসারী বা শীয়া নন তেনাদের রক্তচাপ এত উচ্চ মাত্রায় গমনের হেতু কি !
কেননা পবিত্র কোরআন দ্বারা এটা পরিস্কার যে ,
” ইয়া মুসা (আঃ) মাদাদ , ইয়া মুসা (অাঃ) মাদাদ —- ”
– এই কথাটি বা এই রকম ভাবে সাহায্য প্রার্থনা করা মোটেই বিদআত বা শিরক নয় ।
এবং এই পদ্বতি স্বয়ং মহান আল্লাহ কতৃক স্বীকৃত ও বৈধ বিধান ।
তাহলে ঠিক একই পদ্বতিতে বিপদে আপদে যে কোন প্রয়োজনে বার ইমামীয়া শীয়াগন যদি
” — ইয়া আলী (আঃ) মাদাদ , ইয়া আলী (আঃ) মাদাদ — ”
” — ইয়া সাহেবুজ্জামান (আঃ) অাদরিকনী আদরিকনী —- ” –
বলে থাকেন , তাহলে যিনি বা যারা ইমাম আলী (আঃ) এর অনুসারী বা শীয়া নন তেনারা – জাত গেল জাত গেল , বিদআত বিদআত , শিরক শিরক ইত্যাদি বলিয়া নিজেদের রক্তচাপ অযথা কেন বৃদ্বি করেন !
কারন আপনাদের সম্মাানীয় চারজন ইমাম (রহঃ) গন প্রায় ১২০০ বছর পূর্বেই ইন্তেকাল করিয়া আপনাদেরকে এতিম বানাইয়া দিয়াছেন । এটা কি আমাদের দোষ !
আপনারা এতিম উম্মত বলিয়া আমর তো আর লাওয়ারিশ বা এতিম উম্মত নই ।
আমাদের মাথার উপর মহান আল্লাহ কতৃক মনোনীত ও নির্বাচিত ১৪ জন পুতঃপবিত্র মাসুমীন (আঃ) গনের আর্শীবাদ ও সার্বক্ষনিক ওঁনাদের তীক্ষ্ম নজরে রয়েছি ।
তো আপনার অযথাই হিংসার অনলে না জ্বলে —
আসুন – মোদের মত আপনারাও গাদীর এ খুমে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সাঃ) কতৃক ঘোষিত ও নির্বাচিত ইমামত পদ্বতি গ্রহন করিয়া লাওয়ারিশ থেকে ওয়ারিশ হয়ে যান ।
অধমের আবেদনটি ভেবে দেখবেন নাকি একটিবার ——- !
SKL