আলে রাসুল (সাঃ) —
” — ইয়াসীন , শপথ জ্ঞানগর্ভ কোরআনের , আপনি অবশ্যই রাসূলদের অন্তর্ভুক্ত , আপনি সরল পথে প্রতিষ্ঠিত — ।’
সূরা – ইয়াসীন / ১-৪ ।
এখানে ‘ইয়াসীন’ বলতে কী বুঝান হয়েছে ?
ইয়াসীন হলেন মুহাম্মাাদ (সাঃ) , আর এতে কোন সন্দেহ নেই ।
অষ্টম ইমাম রেযা (আঃ) এর ভাষায় , আল্লাহ্ এর মাধ্যমে মুহাম্মাাদ ও আলে মুহাম্মাাদকে এক শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন ।
এটা এজন্য যে , আল্লাহ্ কারও ওপর সালাম প্রেরণ করেন নি , নবীগণ ব্যতীত ।
মহামহিম আল্লাহ্ ইরশাদ করেছেন –
‘ — সমগ্র বিশ্বের মধ্যে নূহের ওপর সালাম (শান্তি) বর্ষিত হোক —।’
সূরা – সাফফাত / ৭৯ ।
ইমাম রেযা (আঃ) আরও বলেন ,
পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে –
‘ — সালাম (শান্তি) বর্ষিত হোক মূসা ও হারুনের ওপর — ।’
সূরা – সাফফাত / ১২০ ।
খেয়াল করুন ,
আল্লাহ্ কিন্ত বলেন নি , ‘ সালাম বর্ষিত হোক আলে নূহের ওপর ।’
কিংবা বলেন নি , ‘ সালাম বর্ষিত হোক আলে ইবরাহীমের ওপর ’,
কিংবা বলেন নি : ‘ সালাম বর্ষিত হোক মূসা ও হারুনের আলের ওপর’ ।
এবারে খেয়াল করুন যে , আল্লাহ্ বলেছেন –
” — সালামুন আলা আলে ইয়াসীন — ” ।
‘ — সালাম বর্ষিত হোক আলে ইয়াসীনের ওপর —-’।
সূরা – সাফফাত / ১৩০ ।
অর্থাৎ আলে মুহাম্মাাদ বা মুহাম্মাাদ (সাঃ) এর পবিত্র আহলে বাইত (আঃ) গনের উপর সালাম বর্ষিত হোক ।
সুতরাং উপরে উল্লেখিত পবিত্র কোরআনের আয়াত দ্বারা ষ্পষ্ট ও জোরাল ভাবে প্রমান হয় যে , সর্বক্ষমতাবান আল্লাহ – রাসুল (সাঃ) ও তাঁর পবিত্র আহলে বায়েত (আঃ) তথা ১৪ মাসুমীন (আঃ) গনকে বিশ্বের সকল সৃষ্টি থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ বানিয়েছেন ।
অর্থাৎ তাঁরা সমগ্র সৃষ্টিজগত , ফেরেস্তামন্ডলী , জ্বীন , মানুষ , এমন কি অন্যান্য নবীগন ও রাসুলগনের ওপরও শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী ।
SKL