মূলত বংশধারা = একটিই —
আলে মুহাম্মাদ (সাঃ) , আলে ইমরান (আঃ) , আলে ইয়াসীন (সাঃ) —
মূলত একটি বংশধারাকেই বলা হয় ।
মহানবী (সাঃ) এর পুতঃপবিত্র আহলে বায়েত (আঃ) গন ।
এই আহলে বায়েত (আঃ) গনের অর্ন্তভুক্ত সদস্য সংখ্যা সর্বসাকুল্যে = ১৪ জন ।
এই ১৪ জনের –
সর্বপ্রধান –
১ম পুরুষ সদস্য হলেন = হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) ,
একমাত্র ২য় নারী সদস্যা হলেন = খাতুনে জান্নাত ফাতেমা যাহরা (সাঃআঃ) ,
৩য় পুরুষ সদস্য হলেন = হযরত ইমাম আলী ইবনে আবু তালিব (আঃ) ,
৪র্থ পুরুষ সদস্য হলেন = হযরত ইমাম হাসান ইবনে আলী (আঃ) ,
৫মপুরুষ সদস্য হলেন = হযরত ইমাম হোসেন ইবনে আলী (অাঃ) ,
৬ষষ্ঠ পুরুষ সদস্য হলেন = হযরত ইমাম জয়নুল আবেদীন ইবনে হোসেন (আঃ) ,
৭ম পুরুষ সদস্য হলেন = হযরত ইমাম বাকের ইবনে জয়নুল আবেদীন (আঃ) ,
৮মপুরুষ সদস্য হলেন = হযরত ইমাম জাফর সাদেক ইবনে বাকের (আঃ) ,
৯ম পুরুষ সদস্য হলেন = হযরত ইমাম মুসা কাজেম ইবনে সাদেক (আঃ) ,
১০মপুরুষ সদস্য হলেন = হযরত ইমাম রেজা ইবনে কাজেম (আঃ) ,
১১তম পুরুষ সদস্য হলেন = হযরত ইমাম তাক্বী ইবনে রেজা (অাঃ) ,
১২তম পুরুষ সদস্য হলেন = হযরত নাক্বী ইবনে তাক্বী (আঃ) ,
১৩তম পুরুষ সদস্য হলেন = হযরত ইমাম হাসান আসকারী ইবনে নাক্বী (আঃ) ,
সর্বশেষ ১৪তম পুরুষ সদস্য হলেন = হযরত ইমাম মাহদী ইবনে আসকারী (আঃ) ।
রেসালত ধারার সম্পাতির পর ইমাম আলী (আঃ) থেকে ইমাম মাহদী (আঃ) পর্যন্ত সর্বমোট ১২ জনকে মহান আল্লাহ সমগ্র সৃষ্টিজগতের জন্য ইমাম মনোনীত ও নির্বাচিত করেছেন ।
এই বারজন পবিত্র ইমাম (আঃ) গনের সমষ্টিকেই ইমামত ধারা বলা হয় ।
রেসালত ধারার সম্পাতির পর এই ইমামত ধারা রোজ কেয়ামত পর্যন্ত বলবৎ আছে ।
এই ১৪ জনের সম্মিলিত নূরের সমষ্টিকে মাসুমীন বা পুতঃপবিত্র বলে সুরা আহযাবের ৩৩ নং আয়াতে ঘোষনা করা হয়েছে ।
এই ১৪ জনের সম্মিলিত নূরের সমষ্টির প্রতি সম্মান ও ভালবাসা প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে সমগ্র সৃষ্টিজগতের জন্য ৪২ নং সুরার ২৩ নং আয়াতে ।
এই ১৪ জনের সম্মিলিত নূরের সমষ্টির প্রতি মহান আল্লাহ , তাঁর ফেরেশতাগন ও সমগ্র মুমিন বান্দাগন দরুদ ও সালাম প্রেরন করেন সুরা আহযাবের ৫৬ নং আয়াতে ।
এই ১৪ জনের সম্মিলিত নূরের সমষ্টিকে মহান আল্লাহ সমগ্র সৃষ্টিজগতের উপর আল্লাহর হুজ্জাত , উলিল আমর ও পরিচালনার দায়িত্ব অর্পন করেছেন সুরা মায়েদার ৫৫ নং আয়াতে ।
এই ১৪ জনের সম্মিলিত নূরের সমষ্টির এই দায়িত্বের কথা ঘোষনা করেছেন স্বয়ং মহানবী (সাঃ) মহান আল্লাহর সরাসরি হুকুমে গাদীর এ খুম নামক স্থানে সুরা মায়েদার ৬৭ নং আয়াতে ।
পাঠক ,
আশা করি , মূল বিষয়টি জেনে গেলেন ।
এখন সিদ্বান্ত আপনার ।
আমি জানি যে , আপনি যথেষ্ট বিবেকবান সচেতন একজন মুসলিম ব্যক্তি ।
শুধু ভুলে যাবেন না যে , মহান আল্লাহ কতৃক আপনি একদিন জিজ্ঞাসিত হবেন ।
অতএব হে সাধু সাবধান !
আর কবে আমাদের বিবেক হইবে জাগ্রত !!
পরিশেষে পবিত্র কোরআনের একটি আয়াত ও তাফসীর —
… “— থামাও তাদের , কারন তাদের অবশ্যই প্রশ্ন করা হবে — ” ।
সুরা – সাফফাত , আয়াত – ২৪ ।
হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রাঃ) বর্ননা করেন যে ,
তাহাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হইবে অর্থাৎ হযরত আলী ইবনে আবু তালিব (আঃ) এর বেলায়েত বা ইমামতের ব্যাপারে তাহাদেরকে অবশ্যই জিজ্ঞাসা করা হইবে ।
ইহা আবু সাঈদ খুদরী , মুনদিল আনযী , সাঈদ বিন যোবাইর বর্ননা করিয়াছেন ।
সূত্র – সাওয়ায়েকে মুহরিকা , পৃ- ৮৯ / ফুসুলুল মোহিম্মা , পৃ- ১৩ / নুরুল আবসার , পৃ- ১৩ / তাফসীরে আলুসী , ২৩ তম খন্ড , পৃ- ৭৪ / মুরাজেয়াত , পৃ – ৫৮ / তাফসীরে কুমী , ২য় খন্ড , পৃ- ২২২ / শাওয়াহেদুত তানযিল , ২য় খন্ড , পৃ- ১০৬ / গায়াতুল মোরাম , পৃ – ২৫৯ / তাফসীরে ফুরাত , পৃ- ১৩১ / ফাজায়ালুল খামছা , ১ম খন্ড , পৃ- ২৮ ।
SKL