بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ

اللَّهُمَّ يَا مَن لا يَصِفُهُ نَعْتُ الْوَاصِفِينَ وَيَا مَن لا يُجَاوِزُهُ رَجَاءُ الرَّاجِينَ وَيَا مَن لا يَضِيعُ لَديْهِ أَجْرُ الْمُحْسِنِينَ وَيَا مَنْ هُوَ مُنتَهَى خَوْفِ الْعَابِدِينَ وَيَا مَنْ هُوَ غَايَةُ خَشْيَةِ الْمُتَّقِينَ هَذَا مَقَامُ مَن تَدَاوَلَتْهُ أَيْدِي الذُّنُوبِ، وَقَادَتْهُ أَزِمَّةُ الْخَطَايَا، وَاسْتَحْوَذَ عَلَيْهِ الشَّيْطَانُ فَقَصَّرَ عَمَّا أَمَرْتَ بِهِ تَفْرِيطاً، وَتَعَاطَى مَا نَهَيْتَ عَنْهُ تَعْزِيراً، كَالْجَاهِلِ بِقُدْرَتِكَ عَلَيْهِ، أَوْ كَالْمُنكِرِ فَضْلِ إِحْسَانِكَ إِلَيْهِ حَتَّى إِذَا انفَتَحَ لَهُ بَصَرُ الْهُدَي، وَتَقَشَّعَتْ عَنهُ سَحَائِبُ العَمَي، أَحْصَى مَا ظَلَمَ بِهِ نَفْسَهُ، وَفَكَّرَ فِيمَا خَالَفَ فِيهِ رَبَّهُ فَرَأَى كَبِيرَ عِصْيَانِهِ كَبِيراً، وَجَلِيلَ مُخَالَفَتِهِ جَلِيلاً فَأَقْبَلَ نَحْوَكَ مُؤَمِّلاً لَّكَ، مُسْتَحْيِياً مِّنكَ، وَوَجَّهَ رَغْبَتَهُ إِلَيْكَ ثِقَةً بِكَ، فَأَمَّكَ بِطَبْعِهِ يَقِيناً، وَقَصَدَكَ بِخَوْفِهِ إِخْلاَصاً، قَدْ خَلاَ طَمَعُهُ مِن كُلِّ مَطْمُوعٍ فِيهِ غَيْرُكَ، وَأَفْرَجَ رَوْعُهُ مِن كُلِّ مَحْذُورٍ مِّنْهُ سِوَاكَ فَمَثَلَ بَيْنَ يَديْكَ مُتَضَرِّعاً، وَغَمَّضَ بَصَرَهُ إِلىَ الأَرْضِ مُتَخَشِّعاً، وَطَأْطَأَ رَأْسَهُ لِعِزَّتِكَ مُتَذَلِّلاً وَأَبَثَّكَ مِن سِرِّهِ مَا أَنتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنْهُ خُضُوعاً وَعَدَّدَ مِن ذُنُوبِهِ مَا أَنتَ أَحْصى لَهَا خُشُوعاً وَاسْتَغَاثَ بِكَ مِنْ عَظِيمِ مَا وَقَعَ بِهِ فِي عِلْمِكَ، وَقَبِيحِ مَا فَضَحَهُ فِي حُكْمِكَ، مِن ذُنُوبٍ أَدْبَرَتْ لَذَّاتُهَا فَذَهَبَتْ، وَأَقَامَتْ تَبِعَاتُهَا فَلَزِمَتْ لا يُنكِرُ يَا إِلَهِي عَدْلَكَ إِنْ عَاقَبْتَهُ، وَلا يَسْتَعْصِمُ عَفْوَكَ عَنْهُ إِنْ عَفَوْتَ عَنْهُ وَرَحِمْتَهُ لأَنَّكَ الرَّبُّ الْكَرِيمُ الَّذِي لا يَتَعَاظَمُهُ غُفْرَانُ الذَّنْبِ الْعَظِيمِ اللَّهُمَّ فَهَا أَنَا ذَا قَدْ جِئْتُكَ مُطِيعاً لأَمْرِكَ، فِيمَا أَمَرْتَ بِهِ مِنَ الدُّعَاءِ، مُتَنَجِّزاً وَّعْدَكَ فِيمَا وَعَدتَّ بِهِ مِنَ الإِجَابَةِ، إِذْ تَقُولُ: (اُدْعُوني أَسْتَجِبْ لَكُمْ) اللَّهُمَّ فَصَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَآلهِ وَالْقَنِي بِمَغْفِرَتِكَ كَمَا لَقِيتُكَ بِإِقْرَارِي وَارْفَعْنِي عَن مَّصَاِرعِ الذُّنُوبِ كَمَا وَضَعْتُ لَكَ نَفْسِي وَاسْتُرْنِي بِسِتْرِكَ كَمَا تَأَنَّيْتَنِي عَنِ الإنتِقَامِ مِنِّي اللَّهُمَّ وَثَبِّتْ فِي طَاعَتِكَ نِيَّتِي وَأَحْكِمْ فِي عِبَادَتِكَ بَصِيرَتِي وَوَفِّقْنِي إِلىَ الأَعْمَاِل مَا تَغْسِلُ بِهِ دَنَسَ الْخَطَايَا عَنِّي وَتَوَفَّنِي عَلَى مِلَّتِكَ وَمِلَّةِ نَبِيِّكَ مُحَمَّدٍ عَلَيِهْ السَّلاَمُ إِذَا تَوَفَّيْتَنِي اللَّهُمَّ إِنِّي أَتُوبُ إِلَيْكَ فِي مَقَامِي هَذَا مِن كَبَائِرِ ذُنُوبِي وَصَغَائِرِهَا، وَبَوَاطِنِ سَيِّئَاتِي وَظَوَاهِرِهَا، وَسَوَاِلفِ زَلاَّتِي وَحَوَادِثِهَا تَوْبَةَ مَن لا يُحَدِّثُ نَفْسَهُ بِمَعْصِيَةٍ، وَلا يُضْمِرُ أَن يَّعُودَ فِي خَطِيئَةٍ وَقَدْ قُلْتَ يَا إِلَهِي فِي مُحْكَمِ كِتَابِكَ إِنَّكَ تَقْبَلُ التَّوْبَةَ عَنْ عِبَادِكَ وَتَعْفُو عَنِ السَّيِّئَاتِ وَتُحِبُّ التَّوَّابِينَ فَاقْبَلْ تَوْبَتِي كَمَا وَعَدتَّ وَاعْفُ عَن سَيِّئَاتِي كَمَا ضَمِنتَ وَأَوْجِبْ لِي مَحَبَّتَكَ كَمَا شَرَطتَّ وَلَكَ يَا رَبِّ شَرْطِي لا أَعُودَ فِي مَكْرُوهِكَ وَضَمَاِني لا أَرْجِعَ فِي مَذْمُومِكَ وَعَهْدِي أَنْ أَهْجُرَ جَمِيعَ مَعَاصِيكَ اللَّهُمَّ إِنَّكَ أَعْلَمُ بِمَا عَمِلْتُ فَاغْفِرْ لِي مَا عَلِمْتَ وَاصْرِفْنِي بِقُدْرَتِكَ إِلَى مَا أَحْبَبْتَ اللَّهُمَّ وَعَلَيَّ تَبِعَاتٌ قَدْ حَفِظْتُهُنَّ، وَتَبِعَاتٌ قَدْ نَسِيتُهُنَّ، وَكُلُّهُنَّ بِعَيْنِكَ الَّتِي لا تَنَامُ، وَعِلْمِكَ الَّذِي لا يَنْسَى فَعَوِّضْ مِنْهَا أَهْلَهَا، وَاحْطُطْ عَنِّي وِزْرَهَا، وَخَفِّفْ عَنِّي ثِقْلَهَا، وَاعْصِمْنِي مِنْ أَنْ أُقَارِفَ مِثْلَهَا اللَّهُمَّ وَإِنَّهُ لا وَفَاءَ لِي بِالتَّوْبَةِ إِلاَّ بِعِصْمَتِكَ، وَلا اسْتِمْسَاكَ بِي عَنِ الْخَطَايَا إِلاَّ عَن قُوَّتِكَ فَقَوِّنِي بِقُوَّةٍ كَافِيَةٍ وَتَوَلَّنِي بِعِصْمَةٍ مَّانِعَةٍ اللَّهُمَّ أَيُّمَا عَبْدٍ تَابَ إِلَيْكَ وَهُوَ فِي عِلْمِ الْغَيْبِ عِندَكَ فَاسِخً لِّتَوْبَتِهِ، وَعَائِدٌ فِي ذَنْبِهِ وَخَطِيئَتِهِ فَإِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أَكُونَ كَذلِكَ فاجْعَلْ تَوْبَتِي هَذِهِ لا أَحْتَاجُ بَعْدَهَا إِلَى تَوْبَةٍ، تَوْبَةً مُّوجِبَةً لِّمَحْوِ مَا سَلَفَ وَالسَّلاَمَةِ فِيمَا بَقِيَ اللَّهُمَ إِنِّي أَعْتَذِرُ إِلَيْكَ مِنْ جَهْلِي وَأَسْتَوْهِبُكَ سُوءَ فِعْلِي فَاضْمُمْنِي إِلَى كَنَفِ رَحْمَتِكَ تَطَوُّلاً وَاسْتُرْنِي بِسِتْرِ عَافِيَتِكَ تَفَضُّلاً اللَّهُمَّ وَإِنّي أَتُوبُ إِلَيْكَ مِن كُلِّ مَا خَالَفَ إِرَادَتَكَ، أَوْ زَالَ عَن مَّحَبَّتِكَ، مِنْ خَطَرَاتِ قَلْبِي، وَلَحَظَاتِ عَيْنِي، وَحِكَايَاتِ لِسَانِي، تَوْبَةً تَسْلَمُ بِهَا كُلُّ جَارِحَةٍ عَلَى حِيَاِلهَا مِن تَبِعَاتِكَ وَتَأْمَنُ مِمَّا يَخَافُ الْمُعْتَدُونَ مِنْ أَلِيمِ سَطَوَاتِكَ اللَّهُمَّ فَارْحَمْ وَحْدَتِي بَيْنَ يَديْكَ، وَوَجِيبَ قَلْبِي مِنْ خَشْيَتِكَ وَاضْطِرَابَ أَرْكَانِي مِنْ هَيْبَتِكَ فَقَدْ أَقَامَتْنِي يَا رَبِّ ذُنُوبِي مَقَامَ الْخِزْيِ بِفِنَائِكَ، فَإِن سَكَتُّ لَمْ يَنطِقْ عَنِّي أَحَدٌ، وَإِن شَفَعْتُ فَلَسْتُ بِأَهْلِ الشَّفَاعَةِ اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَّآلِ مُحَمَّدٍ وَشَفِّعْ فِي خَطَايَايَ كَرَمَكَ وَعُدْ عَلَى سَيِّئَاتِي بِعَفْوِكَ وَلا تَجْزِنِي جَزَائِي مِنْ عُقُوبَتِكَ وَابْسُطْ عَلَيَّ طَوْلَكَ وَجَلِّلْنِي بِسِتْرِكَ وَافْعَلْ بِي فِعْلَ عَزِيزٍ تَضَرَّعَ إِلَيْهِ عَبْدٌ ذَلِيلٌ فَرَحِمَهُ، أَوْ غَنِيٍّ تَعَرَّضَ لَهُ عَبْدٌ فَقِيرٌ فَنَعَشَهُ اللَّهُمَّ لا خَفِيرَ لِي مِنكَ فَلْيَخْفِرْنِي عِزُّكَ وَلا شَفِيعَ لِي إِلَيْكَ فَلْيَشْفَعْ لِي فَضْلُكَ وَقَدْ أَوْجَلَتْنِي خَطَايَايَ فَلْيُؤْمِنِّي عَفْوُكَ فَمَا كُلُّ مَا نَطَقْتُ بِهِ عَن جَهْلٍ مِّنِّي بِسُوءِ أثَرِي، وَلا نِسْيَانٍ لِّمَا سَبَقَ مِن ذَمِيمِ فِعْلِي لَكِن لِّتَسْمَعْ سَمَاؤُكَ وَمَن فِيهَا وَأَرْضُكَ وَمَنْ عَلَيْهَا مَا أَظْهَرْتُ لَكَ مِنَ النَّدَمِ، وَلَجَأْتُ إِلَيْكَ فِيهِ مِنَ التَّوْبَةِ فَلَعَلَّ بَعْضَهُم بِرَحْمَتِكَ يَرْحَمُنِي مِن سُوءِ مَوْقِفِي، أَوْ تُدْرِكُهُ الرِّقَّةُ عَلَيَّ بِسُوءِ حَاِلي، فَيَنَالَنِي مِنْهُ بِدَعْوَةٍ هِيَ أَسْمَعُ لَديْكَ مِن دُعَائِي، أَوْشَفَاعَةٍ أَوْكَدُ عِندَكَ مِن شَفَاعَتِي، تَكُونُ بِهَا نَجَاتِي مِنْ غَضَبِكَ، وَفَوْزِي بِرِضَاكَ اللَّهُمَّ إِن يَّكُنِ النَّدَمُ تَوْبَةً إِلَيْكَ فَأَنَا أَندَمُ النَّادِمِينَ وَإِن يَّكُنِ التَّرْكُ لِمَعْصِيَتِكَ إِنَابَةً فَأَنَا أَوَّلُ الْمُنِيبِينَ وَإِن يَّكُنِ الإسْتِغْفَارُ حِطَّةً لِّلذُّنُوبِ فَإِنِّي لَكَ مِنَ الْمُسْتَغْفِرِينَ اللَّهُمَّ فَكَمَا أَمَرْتَ بِالتَّوْبَةِ وَضَمِنتَ الْقَبُولَ وَحَثَثْتَ عَلىَ الدُّعَاءِ وَوَعَدتَّ الإِجَابَةَ فَصَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَّآلِ مُحَمَّدٍ وَاقْبَلْ تَوْبَتِي وَلا تَرْجِعْنِي مَرْجِعَ الْخَيْبَةِ مِن رَّحْمَتِكَ إِنَّكَ أَنتَ التَّوَّابُ عَلىَ الْمُذْنِبِينَ، وَالرَّحِيمُ لِلْخَاطِئِينَ الْمُنِيبِينَ اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَّآلِ مُحَمَّدٍ كَمَا هَديْتَنَا بِهِ وَصَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَّآلِهِ كَمَا اسْتَنقَذْتنَا بِهِ وَصَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَّآلِ مُحَمَّدٍ صَلاَةً تَشْفَعُ لَنَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَيَوْمَ الْفَاقَةِ إِلَيْكَ إِنَّكَ عَلَى كُلِّ شَيٍْء قَدِيرٌ، وَهُوَ عَلَيْكَ يَسِيرٌ

পরম করুনাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি

হে প্রভু, আপনার জন্য ঐ ধরনের প্রশংসা যা বর্ণনা করা যায় না। হে প্রভু, আপনার কাছে আমার এমন প্রত্যাশা যা মলিন হতে পারে না। হে প্রভু, আপনার কাছে নেককার বান্দাদের প্রতিদান নষ্ট হতে পারে না। হে প্রভু আপনার সত্তাই বান্দাদের জন্য ভয়ের কারণ। হে প্রভু, আপনার সত্তাই ধার্মিকদের অতিরিক্ত অনুকম্পার কারণ, এ অবস্থা হল তার যার পাপের হাত (পাপ করা) গুটিয়ে গেছে। দোষের লাগাম দ্বারা যে উপড়ে গেছে এবং যার উপর শয়তান জয়লাভ করেছে। তাই সে আপনি যা হুকুম করেছেন, ভ’লে যাওয়ার দ্বারা সে এটা করতে অপারগ হয়েছে। আপনার ক্ষমতার ব্যাপারে অজ্ঞ এমন একজনের মত সে আপনার নিষেধ করা বিষয়ে লেগে রয়েছে। অথবা তার মত সে আপনার বদান্যতা অস্বীকার করে ঐ সময় পর্যন্ত যখন পথ নির্দেশের চোখ খুলে যায় এবং তার কাছ থেকে অন্ধত্বের মেঘ সরে যায়। যখন সে পুরোপুরিভাবে অনুধাবন করতে পারে যে তার আত্মা এবং চিন্তায় তার স্রষ্টার প্রতি সে কি অবিচারই না করেছে। তাই সকল দিক থেকেই সে তার অপরাধের জঘন্নতা দেখেছে। সে তার বিরোধিতার মস্ত অপরাধ দেখতে পেয়েছে। সেজন্য আপনার সামনে লজ্জিত হয়ে, আপনার দিকে ঝুঁকে, আপনার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, তার প্রত্যাশা পুরণের জন্য এবং ভয়ের কারণে একাগ্রতার সাথে আপনার প্রতি প্রত্যাবর্তন করে, আপরি ব্যতীত সকল ভীতি প্রদর্শনকারী বস্তু হতে মুক্ত হওয়ার জন্য আপনার সাহায্যের জন্য সে আপনার দিকে প্রত্যাবর্তন করেছে। বিমুখ হওয়া থেকে তাকে রক্ষা করুন। সেজন্য ভক্তি সহকারে সে আপনার সত্তার সামনে দাঁড়িয়েছে। নম্রভাবে তার চোখগুলোকে মাটির দিকে স্থাপন করে। আপনার মহত্তের সামনে বিনয়ের সাথে মাথা ঝুঁকিয়ে। আত্মার হীনমন্যতায় সে অপরাধ করেছে, যা আপনি তার চেয়ে বেশি জানেন। এবং সে অগনিত পাপ করেছে যার সংখ্যা আপনি জানেন। সে ঐ সমস্ত বড় গুনাহ্ থেকে নিষ্কৃতি চায় যা আপনার জ্ঞানের ভিতরে সে করার বাসনা করে এবং ঐ সমস্ত কদর্যতা থেকে যা আপনার হুকুমের বেলায়, তাকে অনুগ্রহ বঞ্চিত করে।এবং ঐ সমস্ত গুনাহ্রে মজা হতে যা তাকে পরিত্যাগ করে এবং চলে যায়, যা চিরস্থায়ী হয়। সে আপনার বিচার অস্বীকার করে না, হে প্রভু, যদি আপনি তাকে শাস্তি দেন। সে আপনার ক্ষমাকে এত বড় দেখে যে, সে ক্ষমা প্রত্যাশা করে এবং করুনা প্রত্যাশা করে। বিশেষত আপনি দয়াশীল মালিক যিনি বড় গুনাহ্ মাফ করতে সংকোচ বোধ করেন না। সেজন্য দেখুন, হে প্রভু,। আমি এখানে। আপনার কাছে প্রার্থনায় এবং হুকুম পালনের মাধ্যমে আপনার কাছে হাজির হয়েছি, আপনার প্রতিশ্রুতির প্যর্ণতার আশায় যেখানে আপনি প্রতিশ্রুতি পূরণের অঙ্গঅকার করেছেন। আপনি বলেছেন, “আমাকে ডাকো। আমি তোমাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনব।” হযরত মুহাম্মদ এবং তাঁর বংশধরদের উপর অনুগ্রহ করুন। আমার প্রতি আপনার ক্ষমা প্রদর্শন করুন যেমন আমি আপনার দিকে ঝুঁকেছি। পাপের দ্বারা অন্তর রুদ্ধ করা থেকে জাগিয়ে তুলুন যেহেতু আপনার সামনে আমার আত্মাকে নত করেছি। আপনার পর্দা দ্বারা আমাকে লুকিয়ে রাখুন যেহেতু আপনি আমার প্রতিশোধ পরায়ণ শাস্তি স্থগিত করেছেন। হে প্রভু, আপনার আনুগত্য করার সময় আমার সঙ্কল্প বাস্তবায়ন করুন। আপনাকে ভক্তি করার জন্য আমার ভিতর দিককে শক্তিশালী করুন। ঐ কাজসমূহ করার জন্য আমাকে অনুগ্রহ করুন যা আমার অপরাধ ধুয়ে দিবে। যখন আপনি আমাকে মরার জন্যই বানিয়েছেন, তখন আমাকে আপনার এবং আপনার রাসূল হযরত মুহাম্মদ (তাঁর উপর শান্তি বর্ষিত হোক)-এর দ্বীনে মৃত্যু বরণ করার তৌফিক দিন। হে প্রভু, এ অবস্থায় আমি আপনার কাছে অনুশোচনা করছি আমার কবিরা গুলাহ্ সমূহের জন্য, সগিরা গুণাহ্ সমূহের জন্য, প্রকশ্যি গুণাহ্ সমূহের জন্য, গোপন এবং আমার পুরাতন গুণাহ্সমূহের জন্য। এবং তাদের গুণাহুসমূহ মাফ করে দিন যারা অতিসম্প্রতি আপনার কাছে অনুশোচনা করেছে, যারা তাদের দিলে (এখন) আপনাকে অমান্য করার কথা বলে না, অথবা পাপে ফিরে যাওয়ার চিন্তাও করে না। বিশেষত হে প্রভ, আপনি আপনার কিতাবে বলেছেন, যে আপনি আপনার বান্দাদের তওবা কবুল করবেন, তাদের গুণাহ্ মাফ করবেন এবং যারা তওবা করবে তাদেরকে ভালবাসবেন। সেজন্য, আপনি আমার তওবা কবুল করুন, যেমন আপনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমার গুণাহ্সমূহ ক্ষমা করুন, যেমনÑ আপনি নিশ্চয়তা দিয়েছেন। আমাকে আপনার ভালবাসা দিন যেমন আপনি চেয়ে থাকেন। আমি আপনাকে বলছি, হে প্রভু আপনি যা ঘৃণা করেন তাতে আমি আর ফিরে যাব না, আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি যে আপনি যা অনুমোদন করেন না তাতে আমি পুনরায় যাব না, এবং আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছিযে আপনার অবাধ্যতার সমস্ত কাজকর্ম আমি পরিহার করব। হে প্রভু, বিশেষত আপনি ভাল করে জানেন যে আমি কি করেছি। সেজন্য, আপনি যা জানেন তাতে আমাকে ক্ষমা করুন। আপনার ক্ষমতার দ্বারা আপনি যা ভালবাসেন তাতে আমাকে ঘুরিয়ে দিন হে প্রভু, আমি এ সমস্ত কাজের বাধ্যবাধকতায়, যার কিছু অংশ আমি স্বরণ করতে পারছি না এবং যার কিছু অংশ আমি ভুলে গেছি, কিন্তু এ কাজ সবই আপনার চোখের সামনে সংঘটিত হয়েছে যা কখনও ঘুমায় না। আর কাজগুলো আপনার জ্ঞানের সম্মুখে যা কখনও কোনো কিছু ভুলে না।সেজন্য, আপনি ঐগুলোর ক্ষতিপূরণ দিন যা আমা হতে সংঘটিত হয়েছে। আমার কাছ হতে এর ওজন হালকা করে দিন এ সকল কাজের প্রণরায় নিকটবর্তী হওয়া থেকে আমাকে রক্ষা করুন। হে প্রভু, বিশেষত আমি আমার অনুশোচনায় বিশ্বাসী হতে পারছি না (আমি শঙ্কিত) আপনার হেফাজতে রক্ষা করুন। আমার পরিবর্তন হওয়াকে ধরে রাখতে পারছি না। আপনার ক্ষমতার দ্বারা রক্ষা করুন। সেজন্য, পর্যাপ্ত পরিমাণে শক্তি দিয়ে আমাকে শক্তিশালী করুন। কার্যকরী হেফাজতে আমাকে রক্ষা করুন। হে প্রভু, যে সুষ্টিই আপনার কাছে তওবা করে, আপনার অসম্মতিতে সে নিশ্চিতভাবে তার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে এবং তার পাপ ও বদ অভ্যাসে ফিরে আসে।তাই আমি আপনার হেফাজত কামনা করছি, এরকম (বিপথগামী) হওয়ার বিপক্ষে। সেজন্য আমার এই তওবাকে চ’ড়ান্ত তওবা হিসেবে কবুল করুন যার পরে আমার যেন আর তওবার প্রয়োজন না হয়Ñ এটা যেন এমন এক তওবা করা হয় যাতে অতীতকৃত পাপ স্বীকার করা হয় এবং বাকি জীবন নিরাপদ থাকা যায়। হে প্রভু, আমার অজ্ঞতার জন্য আমি আপনার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। আমার কৃতকর্মের জন্য আমি আপনার ক্ষমা প্রার্থনা করছি। সেজন্য, আপনার বদান্যতায় আমাকে আপনার ক্ষমা দ্বারা নক্ষা করুন। আপনার নিরাপত্তার পর্দা দ্বারা আমাকে ঢেকে দিন। আমি সবাকছু থেকে আপনার তওবা করছি যা আপনার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ছিল অথবা আমার দিলে ঐ ভাবনা যা আপনার ভালবানার প্রকিবন্ধক।এবং ঐ সকল কাজের জন্য তওবা করছি যা আমি চোখের চাহনিতে এবং জবানের দ্বারা করেছি। যা দ্বারা আপনার শাস্তি থেকে সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিরাপদ থাকে অখবা আপনার ভীষণ গোসসার ভয় থেকে যেন নিস্কৃতি দেন। সেজন্য, হে প্রভু, আপনার অসীম ধৈর্যের দ্বারা আমার কৃতকর্ম ক্ষমা করুন। আপনার ভয়ের কারণে যা আমার দিলে ভীণলভাবে কামড় দেয়। আপনার ভয়ে যা আমার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে কাঁপুনি সৃষ্টি করে, হে আমার রিযিকদাতা। আমার গুণাহ্সমূহ আপনার ধৈর্য্যর দ্বারা আমাকে এ অবস্থায় ফেলেছে যাতে আমি নিরব থাকি। আমার হয়ে কেউই কথা বলবে না। যদি আমি মধ্যস্থতাকারী চাই, আমি তা পাবার অধিকার রাখি না। আর আমি তা পাব না। হে প্রভু, হযরত মুহাম্মদ এবং তাঁর বংশধরদের উপর অনুগ্রহ করুন। আমার ভুলের জন্য আপনার ক্ষমা প্রদর্শন করুন। আপনার ক্ষমার দ্বারা আমার খারাবি দূর করে দিন। আমি আপনার যে শাস্তির আশঙ্কা করছি তা আমার উপর বর্তিয়ে দিয়েন না। আমার উপর আপনার বদান্যতা মেলে ধরুন। আপনার পর্দা দ্বারা আমাকে ঢেকে দিন। আমার সাথে ঐ মোয়ামেলা করুন যা একজন সম্মানিত মনিব করুনার বশবর্তী হয়ে তার এক সহায় সম্বলহীন দাসের সাথে থাকে, যে ক্ষমা চায়। অথবা যেমন একজন সম্পদশালী তার সামনে হাজির হওয়া এক অভাবীর সাথে করে থাকে। হে পভু, আপনার থেকে আমাকে আশ্রয় দিতে পারে এমন কেউ নেই, সেজন্য আপনার মহিমা আমাকে রক্ষা করবে। আপনার সাথে মধ্যস্থতা করার জন্য কেউ নেই। সেজন্য, আপনার দয়াই মধ্যস্থতা করবে। বিশেষত অপরাধসমূহ আমাকে আতঙ্কিত করেছে, সেজন্য আপনার ক্ষমাই আমাকে আশাম্বিত করবে। আমি যা কিছু বলেছি তা আমার অপরাধের অজ্ঞতার জন্য নয়, অথবা আমার পূর্বের দূষণীয় কাজের বিষ্মরণের জন্যও নয়। কিন্ত তা এজন্য যে আমি যে মর্ম-বেদনা এবং অনুশোচনা আপনার কাছে ব্যক্ত করেছি তা আপনার আসমানবাসী এবং জমীনবাসীরা শুনবে। যার দ্বারা আমি আপনার আশ্রয় লাভ করতে পারি। এই আশা করে যে আপনার অনুগ্রহ ও করণার কারণে আমার এই প্রতিক’ল আবস্থার জন্য অথবা আমার গুনাহ্রে স্তুপের কারণ তাদের মধ্যে কেউ হয়ত আমার জন্য দোয়া করতে পারে। যা আমার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করবে এবং যা আমার আবেদন হতে উৎকৃষ্ট হবে, । এবং আপনার গোসসা হতে পরিত্রাণের কারণ হবে। আর যা আপনার কবুলিয়ত অর্জনে সফল হবে। হে প্রভু, আমার মর্মবেদনা পর্যাপ্ত হয়ে থাকলে, বিশেষত আমি তাদের মধ্যে সবচেয়ে উৎকৃষ্ট মমূ-বেদনাকারী যারা অনুশোচনা করে। যদি আপনার অবাধ্যতা পরিত্যাগ করে পরিবর্তন হয়, তখন আমি পরিবর্তনশীলদের মাঝে অগ্রগণ্য। যদি ক্ষমা প্রার্থনার দ্বারা গুণাহ্ দূর হয় তখন আমি তাদের অন্তর্ভূক্ত যারা আপনার কাছে ক্ষমা চায়। হে প্রভু, যেহেতু আপনি অনুতাপ করাকে ভালবাসেন, কবুলিয়তের নিশ্চয়তা দিয়ে থাকেন এবং প্রার্থনা করতে উৎসাহিত করেছেন এবং তার জববাব দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সেজন্য মিনতি করছি, হযরত মুহাম্মদ এবং তাঁর বংশধরদের উপর অনুগ্রহ করুন। আমার তওবা কবুল করুন। আমাকে আপনার ক্ষমা থেকে পিছনে রেখে নিরাশ করিয়েন না। বিশেষত, আপনার সত্তা হল গুনাহ্গারদের এবং অনুতাপীদের তওবা কবুলকারী মহান সত্তা, যা আপনার কাছে নিয়ে যান। হে প্রভু, হযরত মুহাম্মদ এবং তাঁর বংশধরদের উপর অনুগ্রহ করুন। আপনি যেমন তার দ্বারা আমাদেরকে পথ নির্দেশ দিয়েছেন। হযরত মুহাম্মদ এবং তাঁর বংশধরদের উপর অনুগ্রহ করুন। যেমন তার দ্বারা আপনি আমাদেরকে অব্যহতি দিয়েছেন। হযরত মুহাম্মদ এবং তাঁর বংশধরদের উপর অনুগ্রহ করুন, পুণরুখান দিবসে এবং অভাবের দিবসে আমাদের জন্য আপনার সাথে মধ্যস্থতাকারী হতে পারে। বিশেষত সবকিছুর উপর আপনার ক্ষমতা বিদ্যমান এবং আপনার জন্য সবকিছুই সহজ।