بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
أللَّهُمَّ يَا مَنْ بِرَحْمَتِهِ يَسْتَغِيثُ الْمُذْنِبُونَ، وَيَا مَنْ إلَى ذِكْرِ إحْسَانِهِ يَفْزَعُ الْمُضْطَرُّونَ، وَيَا مَنْ لِخِيفَتِهِ يَنْتَحِبُ الْخَاطِئُونَ، يَا اُنْسَ كُلِّ مُسْتَوْحِشٍ غَرِيبٍِ، وَيَا فَرَجَ كُلِّ مَكْرُوبٍ كَئِيبٍ، وَيَا غَوْثَ كُلِّ مَخْذُوَلٍ فَرِيدٍ، وَيَا عَضُدَ كُلِّ مُحْتَاجٍ طَرِيدٍ . أَنْتَ الَّذِي وَسِعْتَ كُلَّ شَيْء رَحْمَةً وَعِلْماً، وَأَنْتَ الَّذِي جَعَلْتَ لِكُلِّ مَخْلُوق فِي نِعَمِكَ سَهْماً، وَأَنْتَ الَّذِيْ عَفْوُهُ أَعْلَى مِنْ عِقَابِهِ، وَأَنْتَ الَّذِي تَسْعَى رَحْمَتُهُ أَمَامَ غَضَبِهِ، وَأَنْتَ الَّذِي عَطَآؤُهُ أكْثَرُ مِنْ مَنْعِهِ، وَأَنْتَ الَّذِيْ اتَّسَعَ الْخَلاَئِقُ كُلُّهُمْ فِي رَحمَتِهِ، وَأَنْتَ الَّذِي لا يَرْغَبُ فِي جَزَاءِ مَنْ أَعْطَاهُ، وَأَنْتَ الَّذِي لا يُفْرِطُ فِي عِقَابِ مَنْ عَصَاهُ. وَأَنَا يَا إلهِي عَبْدُكَ الَّذِي أَمَرْتَهُ بِالدُّعاءِ فَقَالَ: لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ، هَا أَنَا ذَا يَا رَبِّ مَطْرُوحٌ بَيْنَ يَدَيْكَ، أَنَا الَّذِي أَوْقَرَتِ الْخَطَايَا ظَهْرَهُ، وَأَنا الَّذِي أَفْنَتِ الذُّنُوبُ عُمْرَهُ، وَأَنَا الَّذِي بِجَهْلِهِ عَصاكَ وَلَمْ تَكُنْ أَهْلاً مِنْهُ لِذَاكَ. هَلْ أَنْتَ يَا إلهِي رَاحِمٌ مَنْ دَعَاكَ فَأُبْلِغَ فِي الدُّعَاءِ أَمْ أَنْتَ غَافِرٌ لِمَنْ بَكَاكَ فَأُسْرِعَ فِي الْبُكَاءِ أَمْ أَنْتَ مُتَجَاوِزٌ عَمَّنْ عَفَّرَ لَكَ وَجْهَهُ تَذَلُّلاً أَم أَنْتَ مُغْن مَنْ شَكَا إلَيْكَ فَقْرَهُ تَوَكُّلاً؟ إلهِي لاَ تُخيِّبْ مَنْ لا يَجدُ مُعْطِياً غَيْرَكَ، وَلاَ تَخْذُلْ مَنْ لا يَسْتَغْنِي عَنْكَ بِأَحَدٍ دُونَكَ. إلهِي فَصَلِّ عَلَى مُحَمَّد وَآلِهِ وَلاَ تُعْرِضْ عَنِّي وَقَدْ أَقْبَلْتُ عَلَيْكَ ، وَلا تَحْرِمْنِي وَقَـدْ رَغِبْتُ إلَيْكَ، وَلا تَجْبَهْنِي بِالرَّدِّ وَقَدْ انْتَصَبْتُ بَيْنَ يَدَيْكَ. أَنْتَ الَّذِي وَصَفْتَ نَفْسَكَ بِالرَّحْمَةِ، فَصَلِّ عَلَى مُحَمَّد وَآلِهِ وَارْحَمْنِي، وَأَنْتَ الَّذِي سَمَّيْتَ نَفْسَكَ بِالعَفْوِ، فَاعْفُ عَنِّي. قَـدْ تَرَى يَـا إلهِي فَيْضَ دَمْعِي مِنْ خِيفَتِكَ، وَوَجِيبَ قَلْبِي مِنْ خَشْيَتِكَ، وَانْتِفَاضَ جَوَارِحِي مِنْ هَيْبَتِكَ، كُلُّ ذَلِكَ حَيآءً مِنِّي لِسُوءِ عَمَلِي، وَلِذَاكَ خَمَدَ صَوْتِي عَنِ الْجَارِ إلَيْكَ، وَكَلَّ لِسَانِي عَنْ مُنَاجَاتِكَ يَا إلهِي فَلَكَ الْحَمْدُ، فَكَم مِنْ عَائِبَةٍ سَتَرْتَهَا عَلَيَّ فَلَم تَفْضَحْنِي، وَكَمْ مِنْ ذنْبِ غَطَّيْتَهُ عَلَيَّ فَلَمْ تَشْهَرْنِي، وَكَمْ مِنْ شَائِبَة أَلْمَمْتُ بِهَا فَلَمْ تَهْتِكْ عَنِّي سِتْرَهَا، وَلَمْ تُقَلِّدْنِي مَكْرُوهَ شَنَارِهَا، وَلَمْ تُبْدِ سَوْأَتِهَا لِمَنْ يَلْتَمِسُ مَعَايِبِي مِنْ جِيْرَتِي، وَحَسَدَةِ نِعْمَتِكَ عِنْدِي، ثُمَّ لَمْ يَنْهَنِي ذَلِكَ عَنْ أَنْ جَرَيْتُ إلَى سُوءِ مَا عَهِدْتَ مِنّي فَمَنْ أَجْهَلُ مِنِّي يَا إلهِيْ بِرُشْدِهِ وَمَنْ أَغْفَلُ مِنِّي عَنْ حَظِّهِ وَمَنْ أَبْعَدُ مِنِّي مِنِ اسْتِصْلاَحِ نَفْسِهِ حِيْنَ اُنْفِقُ مَا أَجْرَيْتَ عَلَيَّ مِنْ رِزْقِكَ فِيمَا نَهَيْتَنِي عَنْهُ مِنْ مَعْصِيَتِكَ وَمَنْ أَبْعَدُ غَوْراً فِي الْبَاطِلِ وَأَشَدُّ إقْدَاماً عَلَى السُّوءِ مِنّي حِينَ أَقِفُ بَيْنَ دَعْوَتِكَ وَدَعْوَةِ الشَّيْطَانِ، فَـأتَّبعُ دَعْوَتَهُ عَلَى غَيْرِ عَمىً مِنّي فِيْ مَعْرِفَة بِهِ، وَلا نِسْيَان مِنْ حِفْظِي لَهُ وَأَنَا حِينَئِذ مُوقِنٌ بِأَنَّ مُنْتَهَى دَعْوَتِكَ إلَى الْجَنَّةِ وَمُنْتَهَى دَعْوَتِهِ إلَى النَّارِ سُبْحَانَكَ مَا أَعْجَبَ مَا أَشْهَدُ بِهِ عَلَى نَفْسِي وَاُعَدِّدُهُ مِنْ مَكْتُوْمِ أَمْرِي، وَأَعْجَبُ مِنْ ذلِكَ أَنَاتُكَ عَنِّي وَإبْطآؤُكَ عَنْ مُعَاجَلَتِي وَلَيْسَ ذلِكَ مِنْ كَرَمِي عَلَيْكَ بَلْ تَأَنِّياً مِنْكَ لِي، وَتَفَضُّلاً مِنْكَ عَلَيَّ، لانْ أَرْتَـدِعَ عَنْ مَعْصِيَتِكَ الْمُسْخِطَةِ وَاُقْلِعَ عَنْ سَيِّئَـاتِي الْمُخْلِقَةِ . وَلاَِنَّ عَفْوَكَ عَنّي أَحَبُّ إلَيْكَ مِنْ عُقُوبَتِي، بَلْ أَنَا يَا إلهِي أكْثَرُ ذُنُوباً وَأَقْبَحُ آثاراً وَأَشْنَعُ أَفْعَالاً وَأَشَدُّ فِي الْباطِلِ تَهَوُّراً وَأَضْعَفُ عِنْدَ طَاعَتِكَ تَيَقُّظاً، وَأَقَلُّ لِوَعِيْدِكَ انْتِبَاهاً وَارْتِقَاباً مِنْ أَنْ أُحْصِيَ لَكَ عُيُوبِي، أَوْ أَقْدِرَ عَلَى ذِكْرِ ذُنُوبِي وَإنَّمَا أُوبِّخُ بِهَذا نَفْسِي طَمَعَـاً فِي رَأْفَتِكَ الَّتِي بِهَـا صَلاَحُ أَمْرِ الْمُذْنِبِينَ، وَرَجَاءً لِرَحْمَتِكَ الَّتِي بِهَا فَكَاكُ رِقَابِ الْخَاطِئِينَ. اللَّهُمَّ وَهَذِهِ رَقَبَتِي قَدْ أَرَقَّتْهَا الذُّنُوبُ، فَصَلِّ عَلَى مُحَمَّد وَآلِهِ وَأَعْتِقْهَا بِعَفْوِكَ، وَهَذَا ظَهْرِي قَدْ أَثْقَلَتْهُ الْخَطَايَـا، فَصَلِّ عَلَى مُحَمَّد وَآلِهِ وَخَفِّفْ عَنْهُ بِمَنِّكَ. يَا إلهِي لَوْ بَكَيْتُ إلَيْكَ حَتَّى تَسْقُطَ أَشْفَارُ عَيْنَيَّ ، وَانْتَحَبْتُ حَتَّى يَنْقَطِعَ صَوْتِي، وَقُمْتُ لَكَ حَتَّى تَتَنَشَّرَ قَدَمَايَ، وَرَكَعْتُ لَكَ حَتَّى يَنْخَلِعَ صُلْبِي، وَسَجَدْتُ لَكَ حَتَّى تَتَفَقَّأَ حَدَقَتَايَ، وَأكَلْتُ تُرَابَ الأرْضِ طُولَ عُمْرِي، وَشَرِبْتُ مَاءَ الرَّمَادِ آخِرَ دَهْرِي وَذَكَرْتُكَ فِي خِلاَلِ ذَلِكَ حَتَّى يَكِلَّ لِسَانِي ثُمَّ لَمْ أَرْفَعْ طَرْفِي إلَى آفَاقِ السَّمَاءِ اسْتِحْيَاءً مِنْكَ مَا اسْتَوْجَبْتُ بِذَلِكَ مَحْوَ سَيِّئَة وَاحِـدَة مِنْ سَيِّئـاتِي، وَإنْ كُنْتَ تَغْفِـرُ لِي حِيْنَ أَسْتَوْجِبُ مَغْفِرَتَكَ وَتَعْفُو عَنِّي حِينَ أَسْتَحِقُّ عَفْوَكَ فَإنَّ ذَلِكَ غَيْرُ وَاجِب لِيْ بِاسْتِحْقَاق، وَلا أَنَا أَهْلٌ لَهُ بِـاسْتِيجَاب إذْ كَـانَ جَزَائِي مِنْكَ فِي أَوَّلِ مَا عَصَيْتُكَ النَّارَ; فَإنْ تُعَذِّبْنِي، فَأَنْتَ غَيْرُ ظَالِم لِيْ. إلهِي فَـإذْ قَـدْ تَغَمَّـدْتَنِي بِسِتْـرِكَ فَلَمْ تَفْضَحْنِي وَتَـأَنَّيْتَنِي بِكَـرَمِـكَ فَلَمْ تُعَـاجِلْنِي، َو حَلُمْتَ عَنِّي بِتَفَضُّلِكَ فَلَمْ تُغَيِّـرْ نِعْمَتَـكَ عَلَيَّ، وَلَمْ تُكَـدِّرْ مَعْرُوفَكَ عِنْدِي فَارْحَمْ طُولَ تَضَرُّعِيْ وَشِـدَّةَ مَسْكَنَتِي وَسُوءَ مَوْقِفِيْ. اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّد وَآلِهِ وَقِنِي مِنَ الْمَعَاصِي وَاسْتَعْمِلْنِي بِالطَّاعَةِ، وَارْزُقْنِي حُسْنَ الإِنابَةِ وَطَهِّرْنِي بِالتَّـوْبَةِ، وَأَيِّـدْنِي بِالْعِصْمَةِ وَاسْتَصْلِحْنِي بِالْعَافِيَةِ وَأَذِقْنِي حَلاَوَةَ الْمَغْفِـرَةِ، وَاجْعَلْنِي طَلِيقَ عَفْـوِكَ، وَعَتِيقَ رَحْمَتِكَ وَاكْتُبْ لِي أَمَاناً مِنْ سَخَطِكَ وَبَشِّرْنِي بِذلِكَ فِي الْعَاجِلِ دُونَ الآجِلِ بُشْرى أَعْرِفُهَا وَعَرِّفْنِي فِيهِ عَلاَمَةً أَتَبَيَّنُهَا إنَّ ذلِكَ لاَ يَضيقُ عَلَيْكَ فِي وُسْعِكَ ، وَلا يَتَكَأَّدُكَ فِي قُدْرَتِكَ، وَلا يَتَصَعَّدُكَ فِي أناتِكَ ، وَلا يَؤودُك فِي جَزِيلِ هِباتِكَ الَّتِي دَلَّتْ عَلَيْهَا آيَاتُكَ إنَّكَ تَفْعَلُ مَا تَشَاءُ وَتَحكُمُ مَا تُرِيدُ، إنَّكَ عَلَى كُلِّ شَيْء قَدِيرٌ
পরম করুনাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি
হে প্রভু, আপনিত সেই সত্ত্বা যার দয়ার দ্বারা পাপীগণ পাপ মাফের জন্য প্রার্থনা করে। আপনিত সেই সত্ত্বা যার অনুগ্রহের স্বরণে দুর্ধশাগ্রস্ত মুক্তি পায়। আপনিত সেই সত্ত্বা যার ভয়ে অপরাধী অবিরামভাবে কাঁদে হে প্রত্যেক বিমর্ষ লোকের সান্ত্বনাদানকারী। হেপ্রত্যেক ভাঙ্গা হৃদয়ের নির্যাতন ভোগকারীর আনন্দ। হে প্ররিত্যক্ত এবং একা ব্যক্তির প্রতিবিধানকারী। হে অভাব এবং নির্বাসিত ব্যক্তির সাহায্যকারী, যিনি তাঁর দয়া এবং ক্ষমার সাহায্যে সব কিছুকে ঘিরে আছেন। আপনিই প্রত্যেক সৃষ্টির জন্য আপনার অনুগ্রহের অংশ নির্ধারণ করেছেন। আপনার ক্ষমা আপনার শাসনের চেয়ে উপরে। আপনার দয়া শাসনের পূর্বেই তৎপর। আপনার বদান্যতা আপনার প্রত্যাখানের চেয়ে বেশি সহজলভ্য। আপনার ক্ষমতা এবং প্রাচুর্যতা সমস্ত মাখলুককে আলিঙ্গন করে। আপনি সেই সত্ত্বা যিনি তার কাছে কোনো প্রতিদান প্রত্যাশা করেন না যাকে আপনি অনুগ্রহ করেছেন। আপনি অমান্যকারীদের শাস্তি দেয়ার কোনো রকম অতিরঞ্জন করেন না তার প্রাপ্য শাস্তিই দিয়ে থাকেন)। আর হে প্রভু, আমি আপনার বান্দা যাকে আপনি প্রার্থনা করতে করতে বলেছেন এবং যিনি উত্তর দিয়েছেনঃ এখানে আমি আপনার আদেশ পালন করতে প্রস্তুত আছি! আপনার আমি এখানে! হে প্রভু, দেখুন আমি আপনার সত্ত্বার সামনে অবনত। আমি এমন এক ব্যক্তি যার পিঠ দোষের দ্বারা বোঝাই হয়ে আছে। আমি এমন এক ব্যক্তি যার জীবন পাপের দ্বারা ক্ষয় হয়ে গেছে। আমি এমন এক ব্যক্তি যে অজ্ঞতার দরুণ আপনাকে অমান্য করেছিল যদিও আপনি আমার এটা প্রত্যাশা করেননি। হে প্রভু, আপনি কি এমন এক ব্যক্তিকে করুণা করবেন যে আপনার কাছে প্রার্থনা করে যাতে আমি আপনার কাছে মিনতি করতে পারি? অথবা আপনি কি এমন ব্যক্তিকে ক্ষমা করবেন যে আপনার কাছে ক্রন্দন করে যাতে আমি কাঁদতে তৎপর হতে পারি? হে প্রভু, অথবা আপনি কি এমন এক ব্যক্তিকে করুনা করবেন যে মিনতির ঢংয়ে আপনার সামনে মাথা ময়লায় মাথা নত করে? অথবা আপনি কি এমন ব্যক্তিকে উন্নতি দান করবেন যে আত্মবিশ্বাসের সাথে আপনার কাছে দারিদ্রতার অভিযোগ করে? হে প্রভু, আপনি এমন এক ব্যক্তিকে নিরাশ করেন না আপনি ব্যতীত যার কোনো দেনেওয়ালা নেই। আপনি একন এক ব্যক্তিকে অনুগ্রহ হতে বঞ্চিত কোরেন না আপনি ব্যতিরেকে যে আর কাউকে সাহায্য পাওয়ার জন্য কাছে টানতে চায় না। হে প্রভু, সেজন্য, হযরত মুহাম্মদ এবং তাঁর বংশধরদের উপর অনুগ্রহ করুন। আমার কাজ থেকে দূরে সরে যাবে না যেখানে আমি আপনার দিকে এসেছি। আমাকে নিরাশ কোরেন না যেখানে আমি আপনার দিকে ঝুঁকেছি। নারাজির দ্বারা আমার চেহারাকে মলিন করেন না যেখানে আপনার সামনে দাঁড়িয়ে আছি। আপনি এমন এক সত্ত্বা যিনি দয়ার সাহায্য নিজেই দিয়েছেন। সেজন্য, হযরত মুহাম্মদ এবং তাঁর বংশধরদের উপর অনুগ্রহ করুন। এবং আমার উপর করুণা করুন। আপনি আপনার নাম করণ করেছেন ক্ষমাশীল। সেজন্য, আমাকে ক্ষমা করুন। বিশেষত, হে প্রভু, আপনি দেখেছেন আপনাকে ভয় করার কারণে আমার অশ্রুধারা, আপনার ভয়াবহতার জন্য আমার দিলের ধুঁক-ধুঁকানি, এবং আপনার আতঙ্কে আমার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কাঁপুনি, যাতে আপনি আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন। লজ্জায় এ সমস্ত ফল আমি আমার পাপ কাজসমূহ হতে অনুভব করছি। এ কারণে আমার স্বর এতই অবধ্বণিত হয়েছে যে আপনার কাছে কাঁদতে পারছি না এবং আমার জিহ্বা এতই বিকলাঙ্গ হয়েছে যে আপনার কাছে প্রার্থনা করতে পারছি না। সেজন্য, হে প্রভু, সকল প্রশংসা আপনার জন্য। আপনি আমার অনেক দোষ অবলোকন করেছেন কিন্তু আমাকে অনুগ্রহ হতে বঞ্চিত করেননি। আপনি আমার অনেক পাপ গোপন করে দিয়েছেন যা আমি করেছি এবং আমার কুখ্যাতি করেননি। আপনি অনেক ভুলকে ঢেকে দিয়েছেন যেগুলো আমি করেছিলাম এবং ঐ সমস্ত দুর্নীতির ফসল আমার গলায় বেঁধে দেননি। আপনি আমার ঐ সমকল প্রতিবেশিদের পাপকে ঢাকেননি যারা আমার দোষগুলো তালাশ করছিল এবং ঐ সকল লোকদের যারা আপনার অনুগ্রহের হিংসা করত, আমি যার অধিকারী। এ সমস্ত সাহায্য আমাকে জঘন্যতম ফলাফল থেকে নিষ্কৃতি দিতে পারেনি যাতে আপনি কোনো হুমকী দেন নি। সেজন্য হে প্রভু, নিজের লাভের দিকে আমার চেয়ে বেশি অজ্ঞ আর কে এবং খাল জিনিসের অংশীদারিতে আমার চেয়ে বেশি অসতর্ক কে? আত্ম-সংস্কারে আমার চেয়ে বেশি বিমুখ কে, যখন আমার বরাদ্দকৃত রিযিক ঐ সমস্ত পাপ কাজে ব্যয় করেছি যেগুলো আপনি করতে নিষেধ করেছেন? আর ভুল কাজে আমার চেয়ে অধিক কে নিয়োজিত আছে এবং পাপের কাজে আমার চেয়ে কে অধিক অগ্রসর, যখন আমি আপনার আহবান এবং শয়তানের আহবানের মাঝে থাকি আমি শয়তানের আহবানকেই অনুসরণ করি এমনকি যদিও আমি অন্ধ নই এবং তার (শয়তানের) বিষয়ে পুরো জ্ঞান আমার আছে, তার ক্ষেত্রে আমার স্মৃতির কোনো ভুল ব্যতিরেকেই এবং একই সাথে জানি যে আপনার আহবান জান্নাতের দিকে চালিত করে এবং তার আহবান জাহান্নামের দিকে চালিত করে? আপনি পবিত্র! এটা কত আশ্চর্যজনক যে আমি আমার আত্মার বিরুদ্ধে সাক্ষী বয়ে বেড়াই এবং এটা আমার একটি গোপন কাজ হিসেবে গণ্য করি। আরও আশ্চর্যজনক হল আপনার ক্ষমা আমাকে ত্যাগ করে জাহান্নামে ফেলে দিচ্ছে। আর এটা এ জন্যে নয় যে, আমি আপনার কাছ থেকে কোনো অনুগ্রহের অধিকারী হয়েছি, কিন্তু তাহলো আপনার করুণাময় বিলম্ব এবং ভালবাসসাময় দয়ার কারণে যাতে আমি আপনার গোসসা থেকে রেহাই পেতে পারি, আপনাকে অমান্য করার কারণে এবং জঘন্যতম পাপের জন্যই তা (আল্লাহর গোসসা) প্রকাশ পায়। এবং এ কারণে যে আপনার শাস্তির চেয়ে আপনার ক্ষমাই অধিক প্রযোজ্য। হে আমার আল্লাহ্! উপবস্তু আমি পাপ করতে মুক্তহস্ত, লেন-দেন দুর্নীতিগ্রস্ত, দূর্বলতার জন্য কাজ করতে অপারগ, দোষের কাজ করতে তৎপর এবয় আপনার কাজ করার ক্ষেত্রে খুবই দূর্বল, আপনার সতর্কতা এবং হুমকীর কারণে আমার দোষ আপনার কাছে প্রকাশ করতে অথবা ভুলগুলো স্বরণ করতে আমি খুব কমই চেষ্টা করি। আর বিশেষত আপনার দয়ার প্রত্যাশার পথে যেখানে পাপীদের উন্নতি বিদ্যমান রয়েছে এবং আপনার ক্ষমার প্রত্যাশা করে যেখানে অপরাধীদের মুক্তি রয়েছে, আমি এর দ্বারা আমার আত্মাকে ভৎর্সনা করি। হে প্রভু, দেখুন আমার এই গলা পাপের দ্বারা ভারাক্রান্ত। সেজন্য মিনতি করছি, হযরত মুহাম্মদ এবং তাঁর বংশধরদের উপর অনুগ্রহ করুন এবং আপনার কুদরতে এটা হালকা করে দিন। হে প্রভু, আমার চোখের পাতার লোমগুলো পড়ে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত যদি কাঁদতে হত (আপনার কাছে), আমার স্বর শুদ্ধ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত যদি বিলাপ করতে হত, আমার প ফুলে যাওয়া পর্যন্ত যদি আপনার সেবায় দাঁড়িয়ে থাকতে হত, আমার মেরুদণ্ড উদ্ধত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত যদি আপনার সামনে অবনত হয়ে থাকতে হত, আমার চক্ষুগোলকগুলো তাদের কোটর থেকে বের হয়ে আসার পূর্ব পর্যন্ত যদি আমার মাথা জমিনে অবনত করে রাখতে হত, আমার জীবনভর যদি মাটির ময়লা খেতে হত, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত যদি ছাইয়েরর পানি পান করতে হত এবং আমার কণ্ঠ অকেজো হয়ে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত যদি আপনার জিকির করতে হত এবং তারপর কখনও আমার দৃষ্টি আকাশের পানে উঠাতে না পারতাম, আপনার সামনে লজ্জার কারণে, আমি তখন সকল পাপের মধ্যে একটি পাপও অবশিষ্ট থাকুক এ ইচ্ছা করতাম না। আর আমি যখন আপনার ক্ষমা চাইতাম যদি আপনি ক্ষমা করতেন এবং আমাকে গোনাহ্ মাফ করতেন যখন আমি মাফ চাইতাম। বিশেষত এটা আমার মেধার গুণে নয়, অথবা আপনার কাছ থেকে আমার প্রাপ্য নয়। আপনাকে অমান্য করার প্রথম বস্তুতেই ছিল জাহান্নামের আগুন। তাই আপনি যদি আমাকে শাসন করেন, এটা আপনার অবিচার নয়। আমার প্রভু, যেহেতু আপনি আমার পাপ ঢেকে দিয়েছেন, আপনি আমাকে অনুগ্রহ থেকে বঞ্চিত কোরেন না। আপনি অনুগ্রহ পূর্বক আমার প্রতি ধৈর্য ধারণ করেছেন, আমাকে শাস্তি দিতে তৎপর হননি। আপনার অনুগ্রহপূর্বক আমার সঙ্গে ছিলেন এবং আপনার অনুগ্রহপূর্বক উঠিয়ে নেননি, আমা হতে আপনার সাহায্যকে পৃথক করেন নি। সেজন্য, আমার মুনাজাতের দীর্ঘতা, আমার ভিক্ষার ইচ্ছা এবং আমার অবস্থার উপর করুণা প্রদর্শন করুন। হে প্রভু, হযরত মুহাম্মদ এবং তাঁর বংশধরদের উপর অনুগ্রহ করুন।। পাপ হতে আমাকে হেফাজত করুন। আমার মধ্যে গুণের সমাবেশ করিয়ে দিন। আমার জন্য বিরাট নেয়ামত বরাদ্দ করুন। অনুতাপের দ্বারা আমাকে বিশুদ্ধ করুন। সরলতার দ্বারা আমাকে সাহায্য করুন। শান্তিপূর্ণভাবে আমাকে সংশোধন করুন। আমাকে মুক্তির স্বাদ পাইয়ে দিন। আমাকে আপনার ক্ষমাতে মুক্ত মানুষ এবং আপনার দয়ায় উদ্ধার পাওয়া (পাপ হতে) মানুষ করে দিন। আপনার গোসসা থেকে আমাকে বাঁচিয়ে দিন। সেভাবে, পরবর্তীতে আমি যা ধারণা করতে পারছি তার সাথে এ দুনিয়ায় আমাকে সুসংবাদ দিয়ে দিন। আমি যেন অনুধাবন করতে পারি আমাকে এর একটি নির্দশন দেখিয়ে দিন। বিশেষত, আপনার শক্তিতে এটা কঠিন নং এবং আপনার ক্ষমতার কাছে কঠিন নয়। বিশেষত, সব কিছুর উপর আপনার ক্ষমতা বিরাজমান।