আমি তোমাদেরকে আমার মৃত্যুশয্যার ইচ্ছা হিসাবে নির্দেশ দিচ্ছি। আল্লাহর সাথে কোন কিছুকে অংশীদার করো না। মুহাম্মদের (সঃ) সুন্নাহর প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করো না। এদুটি স্তম্ভ প্রতিষ্ঠিত করো এবং এদুটি প্রদীপ জুেলে রেখো। এতে তোমরা পাপ থেকে মুক্ত থাকতে পারবে। গতকাল আমি তোমাদের সাখী ছিলাম। আজ আমি তোমাদের জন্য শিক্ষা এবং আগামীকাল তোমাদেরকে ছেড়ে চলে যাচ্ছি। যদি আমি বেঁচে থাকি তবে আমার রক্তের বদলা নেয়া বা না-নেয়ার বিষয়টি শুধুমাত্র আমার এখতিয়ারভুক্ত। যদি আমি মরে যাই। তবে মনে রেখো, মৃত্যু অবধারিত ঘটনা। যদি আমি ক্ষমা করি। তবে তা হবে। আমার জন্য আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটা উপায় এবং তোমাদের জন্য সৎ আমল। সুতরাং ক্ষমা করে দিয়ে। “তোমরা কি চাহ না যে, আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করেন”(কুরআন-২৪ ও ২২) । আল্লাহর কসম, এমন আকস্মিক মৃত্যুকে আমি কখনো অপছন্দ করি নি। অথবা এমন দুর্ঘটনাকে আমি ঘূণা করি না। আমি একজন রাত্রিকালীন ভ্রমণকারীর মতো যে ভোরে ঝরনার কাছে পৌছেছে অথবা এমন একজন অনুসন্ধানকারীর মতো, যে তার লক্ষ্য অর্জন করেছে। “আল্লাহ যা করেন মঙ্গলের জন্যই করেন।” (কুরআন—৩ঃ ১৯৮)
১। আবদার রহমান ইবনে মুলজামের (তার ওপর আল্লাহর ল্যানত) তরবারির আঘাত প্রাপ্ত হাবার পর মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্তে এ উইল ব্যক্ত করেছিলেন।