জামাল-যুদ্ধে শত্রুদের কাপুরুষতা সম্পর্কে তারা” মেঘের মতো গর্জন করেছিল; বিজলীর মতো চমক দিয়েছিল। লম্বফ-ঝম্বফ ছাড়া তাদের সবটুকুই কাপুরুষতা। তীব্রবেগে শত্রুকে আক্রমণ না করা পর্যন্ত আমরা গর্জন করি না এবং কথার ঢল প্রবাহিত করি না যতক্ষণ পর্যন্ত বৃষ্টি বর্ষণ না করি।
১। জামালের যুদ্ধে যারা আমিরুল মামোমেনিনের মোকাবেলা করার জন্য এসেছিল তাদের সম্পর্কে তিনি বলেন যে, তারা গর্জন আর হৈচৈ করে বিক্ষিপ্তভাবে ধাবিত হয়েছিল; কিন্তু যখন মোকাবেলা হলো তখন তারা খড়ের মতো উড়ে গেল। এক সময়ে তারা জোর গলায় দাবি করেছিল যে, তারা এটা করবে সেটা করবে। কিন্তু এখন তারা এমন কাপুরুষতা দেখালো যে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে গেল। নিজের সম্পর্কে আমিরুল মোমেনিন বলেন, “আমরা যুদ্ধের পূর্বে শক্রকে ভীতি প্রদর্শন করি না, দম্ভোক্তি করি না, অযথা চিৎকার করে শক্রকে আতঙ্কিত করি না; কারণ হাতের পরিবর্তে জিহ্বা ব্যবহার করা বীরের কাজ নয়।” এজন্যই তিনি তাঁর সাথীদেরকে বলেছিলেন, “সাবধান, প্রয়োজনাতিরিক্ত কথা বলো না, কারণ এটা কাপুরুষতা।”