আমিরুল মোমেনিনের বায়াত গ্রহণের পর তালহা ও জুবায়র অভিযোগ উত্থাপন করলো যে, তিনি রাষ্ট্ৰীয় কার্যে তাদের সাথে পরামর্শ করেন না বা ।
তাদের সহায়তা গ্ৰহণ করতে চান না। প্ৰত্যুত্তরে আমিরুল মোমেনিন বলেনঃ তোমরা উভয়ে ক্ষুদ্র বিষয়ে তোমাদের বিরাগ প্রকাশ করে থাক এবং বৃহৎ বিষয় পরিহার করে
চলো । তোমরা কি বলতে পার আমি তোমাদেরকে তোমাদের কোন অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছি অথবা কোন কিছুতে তোমাদের প্রাপ্য অংশ তোমাদেরকে দেই নি? কোন মুসলিমের দাবির (যা আমার কাছে আনা হয়েছে) বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে কি আমি কখনো অপারগ হয়েছি? আমি কি কোন বিষয়ে অজ্ঞ ছিলাম? আমি কি কোন বিষয়ে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছি? আল্লাহর কসম, খেলাফতের প্রতি আমার কোন লোভ ছিল না বা সরকার পরিচালনার প্রতি আমার কোন আকর্ষণ নেই। কিন্তু তোমরা নিজেরাই আমাকে আমন্ত্রণ করে এ দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়েছে। যখন খেলাফতের দায়িত্ব আমার কাছে এলো আমি আল্লাহর কিতাবকে সকল কাজে আমার সামনে রাখলাম। আল্লাহ। এতে আমাদের জন্য যা কিছু রেখেছেন এবং যেভাবে সিদ্ধান্ত গ্ৰহণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন সেভাবেই আমি কুরআনকে অনুসরণ করতে লাগলাম। কুরআনের বিষয়ে আমাকে উপদেশ দেয়ার মতো তোমাদের কোন কিছু নেই বা কুরআন সংক্রান্ত বিষয়ে অন্য কারো উপদেশ আমার প্রয়োজন নেই। আমার অজানা এমন কোন আদেশ কুরআনে নেই যে বিষয়ে তোমাদের বা অন্য কোন মুসলিমের সাথে আলোচনা করার প্রয়োজন হতে পারে। যদি এমন হতো যে, কোন কিছু আমার অজানা রয়েছে তাহলে অবশ্যই আমি তা তোমাদের সাথে বা অন্য কারো সাথে পরামর্শ করতাম ।
বায়তুল মালের সমন্বন্টন সম্পর্কে তোমরা যে প্রশ্ন তুলেছে সে বিষয়ে আমি নিজের খেয়ালখুশি মতো কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি নি। আমি দেখেছি এবং তোমরাও দেখেছে যে, রাসুল (সঃ) যা কিছু আনতেন তা নিঃশেষ করে দিতেন। সুতরাং এ বিষয়ে তোমাদের প্রতি নজর রাখার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। কারণ সে বিষয় আল্লাহই নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আল্লাহর কসম, এ বিষয়ে তোমরা দুজন বা অন্য কেউ আমার কাছে কোন প্রকার আনুকূল্য পাবে না। আল্লাহ আমাদের ও তোমাদের হৃদয়কে ন্যায়ের প্রতি ঝুকিয়ে দিন এবং তিনি আমাদেরকে ও তোমাদেরকে সবুর করার তৌফিক দান করুন। সেই ব্যক্তির প্রতি আল্লাহর রহমত বৰ্ষিত হোক যে সত্য দেখলে সমর্থন করে এবং অন্যায় দেখলে তা পরিহার করে। আল্লাহ তার প্রতিও রহমত বর্ষণ করুন যে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সত্যেকে সাহায্য করে ।