তালহা ও জুবায়র সম্পর্কে
আল্লাহর কসম, তারা মর্যাদাহানিকর কোন কিছু আমার মধ্যে দেখতে পায় নি এবং তারা আমার ও তাদের মধ্যে ন্যায় বিচার করে নি। নিশ্চয়ই, তারা এখন এমন এক অধিকার দাবি করছে যা তারা পরিত্যাগ করেছে এবং এমন এক রক্তের বদলা দাবি করছে যে রক্তপাত তারা নিজেরাই ঘটিয়েছে। যদি আমি এ কাজে তাদের সাথে জড়িত থাকতাম তা হলে তো এতে তাদেরও অংশ রয়েছে। আর যদি তারা আমাকে ছাড়া তা করে থাকে তাহলে রক্তের বদলার দাবি তাদের বিরুদ্ধে হওয়া উচিত। তাদের বিচারের প্রথম পদক্ষেপেই তাদের রায় নিজেদের বিরুদ্ধে যাবে। ঘটনার বিস্তারিত তথ্য ও সমাচার আমার জানা আছে।
আমি কখনো কোন বিষয়ে তালগোল পাকাই নি এবং তালগোল পাকানো কোন বিষয় আমার কাছে উপস্থাপিত হয় নি (অর্থাৎ আমি কোন কিছু নিয়ে বক্র চিন্তা করি নি এবং কুট কৌশলও আঁটি নি)। নিশ্চয়ই, এ দলটি বিদ্রোহী যাদের মধ্যে রয়েছে নিকটজন (জুবায়র), বৃশ্চিকের বিষ (আয়শা) এবং সংশয় যা সত্যকে ঢেকে দিয়েছে। কিন্তু বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে পড়েছে এবং অন্যায়ের ভিত কেঁপে উঠেছে। এর জিহবা ফেতনার প্রচারণা বন্ধ করেছে। আল্লাহর কসম, আমি তাদের জন্য একটা জলাধার তৈরী করবো যেটা থেকে আমি একাই জল নিতে পারবো। না তারা এর পানি পান করতে সমর্থ হবে, আর না তারা অন্য স্থান থেকে পান করতে পারবে।
“বায়াত’, ‘বায়াত” বলে তোমরা আমার দিকে এমনভাবে দৌড়ে এসেছে যেন উস্ত্রী তার নব প্রসাবিত শাবকের দিকে দৌড়ে যায়। আমি আমার হাত গুটিয়ে রেখেছিলাম। কিন্তু তোমরা তা তোমাদের দিকে টেনে নিয়েছো। আমি আমার হাত আবার টেনে গুটিয়ে নিয়েছিলাম। কিন্তু তোমরা তা আবার জোরে আকর্ষণ করেছো। হায় আল্লাহ, এরা দুজন আমার অধিকার উপেক্ষা করে আমার প্রতি অবিচার করলো। তারা উভয়ে বায়াত ভঙ্গ করেছে এবং জনগণকে আমার বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলছে। তারা যা বন্ধন করছে তুমি তা মুক্ত কর; তারা যে মিথ্যার জাল বুনছে তুমি তা দুর্বল কর। যে উদ্দেশ্য নিয়ে তারা কাজ করছে তার কুফল তাদেরকে দেখিয়ে দাও। যুদ্ধের পূর্বে আমি তাদেরকে অনুরোধ করেছিলাম তাদের বায়াতে দৃঢ় থাকতে এবং আমি তাদের প্রতি কোমল আচরণ করেছিলাম। কিন্তু তারা এ আশীর্বাদো খাটো করে দেখলো এবং নিরাপত্তার পথ অবলম্বন করতে অস্বীকৃতি জানালো।