বিসমিল্লাহির নীচের নুকতা ও আলী (আঃ) —
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ – তাফসিরে কাবির গ্রন্থে উল্লেখ আছে ,
ইবনে আব্বাস (রা:) হতে বর্ণিত ,
একদিন ইবনে আব্বাস মাওলা আলি (আঃ) এর কাছে কোরআনের তাফসির শুনতে বসলেন ।
বর্ণনা করতে করতে রাত পেরিয়ে সকাল হয়ে গেল । কিন্ত শেষ হল না ।
তখন ইবনে আব্বাস ইমাম আলি (আঃ) কে বললেন , তাফসির তো এখনও শেষ হল না ।
আলি (আঃ) বললেন , তাহলে শুনে নাও ,
পুরো পৃথিবীর জ্ঞান কোরআনে আছে ,
আর সমস্ত কোরআনের জ্ঞান সূরা ইয়াসীনে আছে ,
সূরা ইয়াসীনের জ্ঞান সূরা ফাতেহা তে আছে ,
সূরা ফাতেহা এর জ্ঞান বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম এর মধ্যে আছে ,
আর বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম এর জ্ঞান বিসমিল্লাহ এর বা ঐই বা এর নীচের নুকতা তে আছে ,
আর ঐ বা এর নীচের নুকতা হলাম – আমি আলি ইবনে আবু তালিব ।
ইবনে আব্বাস তাফসির শুনলেন ।
ওখানে তখন বসা ছিল মুয়াবীয়ার এক খাস লোক ।
সে আলী (আঃ) এর এই কথা শুনা মাত্র মুয়াবীয়াকে সব কথা খুলে বলল ।
সব শুনে মুয়াবীয়া বলল যে , হ্যা , আলী যা বলেছেন সত্য বলেছেন ।
যদিও মুয়াবীয়া ইবনে এজিদ ছিল ইমাম আলী (আঃ) এর চরমতম শত্রু , ইসলামের ঘোরতর শত্রু , সর্বশ্রেষ্ঠ মুনাফিক ও কাফির ।
তখন মুয়াবীয়া ঘোষনা করল যে , আজ থেকে আমি মুয়াবীয়া ইবনে সুফিয়ান নামাজ এ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়ব না ।
তাই যারা বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম – এই আয়াতটিকে সুরা ফাতিহার সর্বপ্রথম ১নং আয়াত মনে করেন না এবং নামাজে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়েন না তারা সরাসরি মুয়াবীয়া ইবনে এজিদের অনুসারী বা শীয়া ।
তবে পৃথিবীতে যত জায়গায় শীয়া ইসনা আাসারী বা বার ইমামীয়া শীয়া আছেন তারা নামাজে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়েন ।
মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে সকল সূরার আগে বিসমিল্লাহির রাহমানির বলে শুরু করেছেন ।
তাহলে আপনার আমার বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়তে সমস্যা কোথায় ?
SKL